![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এবার যাত্রীবাহী কোচ মেরামতে রেকড সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি মেধা ও শ্রমে কারখানার প্রকৌশলী থেকে শ্রমিকরা বিএনপি-জামায়াত জোট কর্তৃক আন্তঃনগর ট্রেন দ্রুতযান ট্রেনের পুড়ে দেয়া ৬১০৩ নম্বর যাত্রীবাহী ১টি কোচ (বগি) সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পুনর্নির্মাণ সম্পন্ন করতেও সক্ষম হয়েছে। কোচটি নতুনভাবে মেরামতে শোভন শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীর কোচ হিসেবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। গত সপ্তাহে ঐ কোচটি লালমনিরহাট ট্রাফিক ডিভিশনে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোচটি এক নজর দেখলে মনে হবে সবে মাত্র বিদেশ থেকে আমদানি করা। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সৈয়দপুর রেল কারখানার শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে কোচটি মেরামত করতে সক্ষম হয়।
বর্তমান সরকারের পক্ষে সৈয়দপুর রেল কারখানাটি আধুনিকায়নের পর কারখানাটি এখন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। শ্রমিকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনায় কোচ মেরামত চলছে পুরোদমে। চলতি বছরে আরও ৮৩টি যাত্রীবাহী কোচ মেরামত করে যাত্রী পরিবহনে বিভিন্ন আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনে সংযোগ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেনের ১১টি বগি সিরাজগঞ্জের ছায়েদাবাদে বিএনপি-জামায়াত জোট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে পুড়ে যাওয়া কঙ্কালসার ওই ১১টি বগি মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। পরীক্ষামূলকভাবে পুড়ে যাওয়া ১১টি বগির মধ্যে একটি বগি পুনর্নির্মাণ শুরু করা হয়। পুড়ে যাওয়া শোভন শ্রেণীর এ বগিটি স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেরামত করে তা প্রথম শ্রেণীর বগিতে উন্নীত করা হয়। মেরামতকৃত এ বগিটি ৫১ জন প্রথম শ্রেণীর যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এ ধরনের একটি প্রথম শ্রেণীর কোচ বিদেশ থেকে আমদানি করতে প্রায় তিন কোটি টাকা সরকারের খরচ হতো। যা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামত করায় এতে সরকারের দুই কোটি ৭০ লাখ টাকার মতো সাশ্রয় হয়েছে।
©somewhere in net ltd.