নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথমবারের মতো রপ্তানি হচ্ছে সয়াবিন। বর্তমান সরকারের আমলে যুক্ত হলো রপ্তানিখাতে নতুন পণ্য

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১



এই প্রথম সয়াবিন রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে যুক্ত হলো রপ্তানি খাতে নতুন এক পণ্য। যে পণ্যটির চালান এরই মধ্যে চীনে পাঠানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এসিআই লিমিটেড ১২০ টন সয়াবিন পাঠিয়েছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চীনে রপ্তানি করা হচ্ছে পণ্যটি। পরবর্তী পর্যায়ে অন্য দেশে রপ্তানি করা হবে। এক্ষেত্রে পণ্যটির মূল্য এবং সম্ভাবনার বিষয়টিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদি রপ্তানির অপার সম্ভাবনা থাকে তাহলে এ পণ্যটি অন্যদেরও রপ্তানি করার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে বাংলাদেশ সরকার। এদিকে রপ্তানিকারকরা যাতে নির্বিঘ্নে সয়াবিন রপ্তানি করতে পারে সে ব্যাপারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সহযোগিতা করবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পণ্যটি রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে তা দূর করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে। এর পাশাপাশি নগদ প্রণোদনাসহ শুল্ক ও অশুল্ক বাধা অপসারণের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। দেশে সম্ভাবনাময় এ ফসলটির আবাদ ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দাম না পাওয়ায় আগ্রহ হারাতে থাকেন কৃষকরা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রায় ৭০ হাজার টন সয়াবিন উৎপাদন হলেও গত অর্থবছরে তা ৬৪ হাজার টনে নেমে আসে। বর্তমানে ১ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে ফসলটির আবাদ হচ্ছে। উৎপাদিত সয়াবিন থেকে ১০-১৫ হাজার টন মানুষের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। বাকি ব্যবহার হচ্ছে পোলট্রি খাদ্য হিসেবে। তাছাড়া দেশে সয়াবিন প্রক্রিয়াকরণ মেশিন না থাকায় পুরোপুরি প্রাণী খাদ্যের কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর কোম্পানিগুলো দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের পরিবর্তে আমদানিতেই বেশি নজর দিচ্ছে। এতে সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের উৎপাদকরা। এ অবস্থায় রপ্তানি বাড়ানো হলে কৃষকের সুদিন ফিরে আসবে। দেশে সিংহভাগ সয়াবিন উৎপাদন হচ্ছে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলায়। উপকূলীয় অঞ্চল এবং সিলেটের কিছু এলাকা সয়াবিন চাষের আওতায় আনা গেলে প্রতি বছর ফসলের উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ লাখ টনে উন্নীত করা সম্ভব। এর মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি ব্যয় কমানো সম্ভব। দেশও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.