![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
তৃণমূলে হাসপাতাল আছে, আছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচ সহস্রাধিক কমিউনিটি হেলথ সেন্টারও। বিনামূল্যে সরকারীভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে পর্যাপ্ত ওষুধ। সবই আছে কিন্তু নেই শুধু চিকিৎসক। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হলেও তারা থাকতে চান না। নিয়োগ পেলেও চিকিৎসকরা কর্মস্থলে থাকেন গরহাজির। চিকিৎসকের অভাবে তৃণমূলের সাধারণ মানুষ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত থেকেছেন স্বাধীনতার ৪৩ বছর ধরেই। মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সারাদেশে চিকিৎসক সঙ্কট দূর করতে দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে ৬ হাজার ২২১ জন চিকিৎসক সরকারী চাকরি পাচ্ছেন। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আগামী বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই বিপুলসংখ্যক চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে একসঙ্গে এই বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগকে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশের সর্বস্তরের জনগণ, পাশাপাশি তারা আশা করছে এ নিয়োগ সম্পন্ন হলে দেশের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আর কোন চিকিৎসকের অভাব থাকবে না। স্বাস্থ্যসেবা পেতে আর গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ছুটতে হবে না শহর অভিমুখে। গ্রামে বসেই দেশের মানুষ এখন থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। স্বাধীনতার ৪২ বছরের ইতিহাসে একসঙ্গে এতো বিপুলসংখ্যক চিকিৎসককে সরকারীভাবে নিয়োগের ঘটনা ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবেই বিবেচিত হবে।
©somewhere in net ltd.