![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
প্রযুক্তির কল্যাণে গ্রামীণ জনপদ বদলে যাচ্ছে। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র (ইউআইএসসি) হলো এর প্রধান ধারক। এই তথ্যসেবা কেন্দ্রের প্রধান উদ্দেশ্য হলো- তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। ২০০৭ সালে ‘কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার’ (সিইসি) নামে যার যাত্রা শুরু। সারা দেশে চার হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে কম্পিউটার কম্পোজ, ই-মেইল, ইন্টারনেট, ছবি তোলা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন সরকারি ফরম পূরণ, জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন ও সরবরাহ, মোবাইল ব্যাংকিং, ফটোকপি, জীবনবীমা, প্লাস্টিক আইডি কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম পূরণ, লেমিনেটিং, ভিডিও ফোন, জন্মনিবন্ধন, নেট ব্রাউজিং, পাবলিক পরীক্ষার ফল দেখা, কৃষি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য তথ্য প্রদান, বিদেশে যাওয়ার রেজিস্ট্রেশন, ছাপার কাজ ও বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা হয়। পরিষদে তথ্য সেবাকেন্দ্র চালু হওয়ায় মানুষ এখন অনেকটা ঘরে বসেই স্বল্পমূল্যে আধুনিক জীবনযাত্রার সব ধরনের সুবিধা পাচ্ছে। নাগরিক সেবায় মডেল হয়েছে দেশের আঞ্চলিক জনপদগুলো। তথ্যের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে এলাকা গুলো এবং খুবই অল্প সময়ে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল পদ্ধতির সব ধরনের আদান-প্রদান। তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তথ্য সেবাকেন্দ্র যথেষ্ট অবদান রাখছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমগুলোকে গতিশীল করার পাশাপাশি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারের এমন উদ্যোগে ডিজিটাল দেশ গড়ার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.