![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
টয়োটা গাড়ি কিংবা সনি টেলিভিশনের মতো বিশ্বখ্যাত জাপানী ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রী তৈরি হবে বাংলাদেশে। উৎপাদিত এসব পণ্য জাপানে যাওয়ার পাশাপাশি রফতানি হবে সারা বিশ্বে। আর বাংলাদেশের মানুষের হবে কর্মসংস্থান। সরকার পাবে ট্যাক্স ও ভ্যাট। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে বড় অঙ্কের রাজস্ব, যা দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণসহ দেশের উন্নয়ন করা হবে। ঠিক এই ধরনের একটি প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাপানের বিনিয়োগকারীরা। ঐ দেশের উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশমুখী। জাপানী বিনিয়োগাকারীরা এদেশে টয়োটা গাড়ি ও সনি টেলিভিশনের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী। এজন্য ‘জাপানী ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন’ নামে একটি আলাদা শিল্পাঞ্চল করার মতো জমি বরাদ্দের দাবি রয়েছে তাদের। আর ঐ জোনটি হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আশপাশে। জাপানী উদ্যোক্তারা এদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। তারা তাদের দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলো বাংলাদেশে রি-লোকেট করতে আগ্রহী। আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার নিয়ে বিসিআইএম গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই জাপানী তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে। তারা বাংলাদেশকে পাশে পেতে চায়। এ কারণে ঐ দেশের বড় ধরনের বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকেরও বড় বাজার হবে জাপান। সেখানে ডিউটি ও কোটা ফ্রিতে পোশাক বিক্রির দাবি রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য অংশীদার জাপান। বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের রফতানির পরিমাণ ১০৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে জাপানে আমদানির পরিমাণ মাত্র ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে বাণিজ্যিক ভারসাম্য জাপানের অনুকূলে রয়েছে। তবে বাংলাদেশে জাপানী বিনিয়োগ ও জাপানী শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে এই অসমতা দূর করা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.