![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ভিড়তে পারবে বড় জাহাজ। এর ফলে কন্টেইনার ও সাধারণ পণ্যবাহী দুই ধরনের জাহাজই বর্তমানের চেয়ে বেশি পণ্য নিয়ে জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারবে। বর্তমানে বন্দর জেটি ও টার্মিনালে সর্বোচ্চ ১৮৬ মিটার ও সাড়ে আট মিটার গভীর জাহাজ ভেড়ার অনুমতি রয়েছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজগুলো ভেড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ড্রেজিং করে কর্ণফুলীর নাব্যতা বাড়িয়ে বন্দর চ্যানেল দিয়ে বড় ধারণক্ষমতার জাহাজ চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এখন সব কিছুই প্রস্তুত, আগামী মাসের শুরুর দিকে বন্দর ব্যবহারকারীদের জানিয়ে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ২০১৪ সালের ২ মার্চ বন্দরের বোর্ডসভায় ১৯০ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর অনুমতির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিনা খরচে বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে নদী খনন করে নাব্যতা বাড়ানোর কাজ শুরু করে। ১৯০ মিটারের জাহাজে কমপক্ষে ৪০ হাজার টন পণ্য নিয়ে জাহাজ জেটিতে কম খরচে প্রবেশ করতে পারবে। সাধারণ পণ্যের জাহাজের পাশাপাশি কন্টেইনার জাহাজেও পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। তখন শিপিং কম্পানিগুলোর মধ্যে সাশ্রয়ী রেটে পণ্য দেয়ার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হবে। আর শেষ পর্যন্ত সুফল ভোগ করবে ভোক্তা, আমদানি-রপ্তানিকারকরাই। ১৮৬ মিটারের বড় জাহাজ জেটিতে প্রবেশ করতে না পারায় আমদানিকৃত ৬০ শতাংশ পণ্য বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে স্থানান্তর করতে হয়। এরপর সেই জাহাজগুলো আবার জেটিতে আনতে হয়। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বন্দর জেটিতে পণ্য ওঠানামা বেড়ে যাবে। এতে বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়বে, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে খরচ বর্তমানের চেয়ে অনেক কমে আসবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
©somewhere in net ltd.