![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
১৯৭১ সালে বাঙালী যেমন রাজনৈতিকভাবে একটি ভূখণ্ড পায় তেমনি মনোজাগতিক ক্ষেত্রে পায় তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে। ১৯৭৫ সালের আগস্টের বিপ্লবের পর শত্রুরা তাদের মূল প্রতিপক্ষ চিনতে ভুল করেনি। তারা ক্রমাগত বাঙালী সংস্কৃতির ওপর আঘাত করে চলছে এবং বাঙালী সংস্কৃতিকে এ দেশের মানুষের জীবন থেকে উপড়ে ফেলে সেখানে ধর্মের নামে অতীত আরেকটি সভ্যতার আচরণকে গেঁথে দেবার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেটা এখনও বহমান, যার নেতৃত্ব দিচ্ছে হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি। সরকারের উচিত সুচিন্তিত পথে একে মোকাবিলা করা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে যেভাবে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে ঐ মাটি সরানো। বাঙালী সংস্কৃতি বিকাশে পহেলা বৈশাখ পালনকে ঘিরে জাতীয় জীবনে দেশজুড়ে উদ্দীপনা তৈরি করা। অন্যটি ঘটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের ভেতর প্রবাহিত করা, তা ঘটে যুদ্ধাপরাধীর বিচার কেন্দ্র করে গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টির ভেতর দিয়ে। যার ভেতর দিয়ে নতুন প্রজন্মের কণ্ঠে ফিরে আসে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনিসহ বাঙালী জাতি বিকাশের চেতনা। গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে ওঠার পরে সরকার যে অবস্থান নেন সেটা ঐতিহাসিক। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর নষ্ট হয়ে যাওয়া জাতির জন্য যে শুদ্ধি বিপ্লবের দরকার ছিল তা কিন্তু শুরু করে দিয়ে গেছে গণজাগরণ মঞ্চ। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আওয়ামী লীগের গত পাঁচ বছরে এটাই সব থেকে বড় মাইলফলক। যা নতুন প্রজন্ম নিজ থেকে করেছে। সরকার অবশ্য তাদের সে পরিবেশ দিয়েছে । এই সরকার বাঙ্গালী জাতি সত্তা বিকাশে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্য দিকে বিএনপি এবং হেফাজত বাঙ্গালী অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে মুছে দিয়ে একটি হিংসা ভিত্তিক সমাজ গড়তে অবিরাম চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফল ভোগ করছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়ার মতো দেশগুলো। এখানে বিভিন্ন গোত্র একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে। আমাদের দেশে শান্তি বজায় রাখতে হলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক বাহক মহাজোট সরকারের কোন বিকল্প নেই।
©somewhere in net ltd.