নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ সরকার তার দুই মেয়াদেই খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের দুরূহ কাজটি করে দেখিয়েছে

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

বর্তমান সরকারের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তথা গ্রামের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে চমৎকার সাফল্যের প্রমাণ সহজেই চোখে পড়ে। গত দুই দশকের মধ্যে এখন দেশের বেশিরভাগ জমিতে দুই ফসল এমনকি তিন ফসলের আবাদ চলছে। আবার দুই ফসলের মধ্যবর্তী সময় চাষ হচ্ছে শাক-সবজি। ফলে কৃষি খাতে নীরবে অগ্রগতির বিপ্লব চলছে। বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত চেষ্টা ও গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কৃত উচ্চফলনশীল জাতের ধান থেকে শুরু করে নানা ধরনের শস্য, শাক-সবজি, ফলমূল উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের কাহিনী তো এখন সবার জানা। এর সুবাদে বাংলাদেশের মাটি ও প্রকৃতির সঙ্গে সহজে খাপ খাওয়া উচ্চফলনশীল জাতের বীজ ব্যবহার কৃষিক্ষেত্রে বাম্পার উৎপাদনে বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠেছে। রাসায়নিক সারের এবং কীটনাশকের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের কৃষকরা আগে যতটা না সচেতন ছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী তারা বর্তমানে। আজকাল গ্রামীণ এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ খুবই সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। একইভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সার ও প্রয়োগ অধিক পরিমাণ কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করছে। দেশের সার কারখানায় পর্যাপ্ত রাসায়নিক সার উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়াও বিদেশ থেকে সার আমদানি করে কৃষকদের চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ মনোযোগ কৃষি উৎপাদন নতুন গতির সঞ্চার করেছে তা না মানার কোন উপায় নেই। ন্যায্যমূল্যে সার, কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ যেমন বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, জ্বালানি ইত্যাদি প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে সরকার। কৃষি ও কৃষকের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ছিল তখন কৃষি খাতে ভর্তুকির প্রবর্তন করেছিল। ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আগের মতো কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদান করে। শুধু তাই নয়, কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ আগের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া হয়। প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদানের সুফল আমরা ইতোমধ্যেই পেতে শুরু করেছি। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এ সরকারকে কৃষিবান্ধব সরকার হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন। আর আওয়ামী লীগ সরকার তার দুই মেয়াদেই এই দুরূহ কাজটি করে দেখিয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.