![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
এরই অংশ হিসেবে তিনি বিদেশ থেকে আমদানি করা এই বিপুল পরিমাণ ঔষধের বিকল্প হিসেবে এদেশে ঔষধ উৎপাদন বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। বিশেষজ্ঞরা তাঁকে জানান যে, এই আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ ঔষধের অধিকাংশই অপ্রয়োজনীয় এবং এগুলোতে ক্ষতিকর ঔষধও রয়েছে। আমদানিকৃত ঔষধের পেছনে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় কিভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ১০ জুলাই ১৯৭৩ তারিখে তখনকার বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. নূরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান করে ৭-সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে আমদানিকৃত ঔষধগুলোর নাম, মান, পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া হয়। এ কমিটি ঔষধ আমদানি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই কমিটি দেশের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ঔষধের একটি তালিকাও প্রণয়ন করে। বঙ্গবন্ধু সরকার এগুলো গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে জাতীয় ঔষধনীতি প্রণয়নের সময় অত্যাবশ্যকীয় ঔষধের তালিকা এই তালিকার ভিত্তিতেই করা হয়। ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষধনীতিতে বিদেশী ঔষধের আমদানি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব শর্তাবলী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল সেগুলোর ভিত্তিও ছিল বঙ্গবন্ধু গঠিত কমিটির এই সুপারিশমালা। সে অর্থে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক ১৯৭৩ সালে প্রণীত এসব নীতিমালাকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ঔষধনীতি স্বীকৃতি না দিলেও ঔষধনীতির সূচনা হিসেবে কিংবা ছায়া ঔষধনীতি হিসেবে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর এসব ঔষধ নীতিমালার লক্ষ্য ছিল জীবন রক্ষাকারী ও নিরাপদ ঔষধের সরবরাহ নিশ্চিত করা, দামি ঔষধের বিকল্প হিসেবে তুলনামূলক কম দামি কিন্তু কার্যকর ঔষধের সরবরাহ বাড়ানো, ক্ষতিকর অপ্রয়োজনীয় বা অত্যন্ত দামি ঔষধের আমদানি নিষিদ্ধ করা এবং ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহারকে নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু কমিটিকে ছাড়াও আরও যেসব দায়িত্ব প্রদান করেন সেগুলো হলো টিসিবি কর্তৃক আমদানিকৃত সব ঔষধের মান নিশ্চিত করা ও আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ, সরকারী ঔষধ কেনার সময় টেন্ডার যাচাই এবং আমদানিকৃত ঔষধের বিক্রয় মূল্য পুনর্নির্ধারণ। (চলবে.....................।)
©somewhere in net ltd.