![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশের সমুদ্র মৎস্য সম্পদের মজুদ অনুসন্ধানে ৬৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যে মালয়েশিয়ায় নির্মিত হচ্ছে বিশেষায়িত জরিপ জাহাজ। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) আর্থিক সহায়তায় এ জাহাজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সে দেশের সাম্বার-রিচমেন জয়েন্ট ভেঞ্চার। চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ এটি সরবরাহ করার কথা রয়েছে। ২০০৭ সালে আইডিবির আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং নামে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে এটি সে প্রকল্পের একটি অংশ। স্বাধীনতার পর সাগরে মৎস্য অনুসন্ধানে ‘মাছরাঙা’ ও ‘অনুসন্ধানী’ যে দুটি জাহাজ মৎস্য জরিপ কাজে ব্যবহৃত হতো, সেটি ১৯৮২ সালের আগে একটি ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে গিয়ে এবং অপরটি অচল হয়ে বর্তমানে অনেকটা স্ক্র্যাপ অবস্থায় রয়েছে। এরপর থেকে সাগরের মৎস্য জরিপ কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ২০০৭ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং নামের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামে রয়েছে একটি ফিল্ড অফিস। মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন এই জরিপ জাহাজটি তারই একটি অংশ। বর্তমান সরকার আমলে বিশাল সমুদ্র বিজয়ের ঘটনার পর এটির পাশাপাশি আরও একটি জরিপ জাহাজ ক্রয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর সমুদ্রে মৎস্য জরিপ কাজে নতুন জাহাজ কেনার সরকারী সিদ্ধান্ত ইতিবাচক বলে সর্বোত্র বিবেচিত হচ্ছে। অদূরভবিষ্যতে সরকার আরও একটি জরিপ জাহাজ কেনার চিন্তা-ভাবনা করছে, তা নিয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলে মৎস্য সম্পদ আহরণ খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.