![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে ও কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই বীজ, সার ও কীটনাশক পেতে পারে, তা নিশ্চিত করেছে সরকার। কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করার জন্য গত পাঁচ বছরে কৃষক পরিবারের মাঝে দুই কোটি ৩০ লাখ কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের জন্য ব্যাংক হিসেব খোলা সহজ করা হয়েছে। মাত্র ১০ টাকা জমা দিয়ে এখন সহজেই ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন কৃষকরা। ন্যূনতম সুদে প্রায় ১ কোটি কৃষকের মধ্যে ঋণ বিতরণ করেছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের অক্লান্ত চেষ্টার ফলেই বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে কৃষি উৎপাদন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে মোট খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় তিন কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল তিন কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছিল তিন কোটি ৬১ লাখ ৮২ হাজার টন। ২০১০-১১ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছিল তিন কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার টন। এই খাদ্য স্বনির্ভরতা ধরে রাখার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ৮ বছর মেয়াদী (২০০৮-২০১৫) একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ৭৭ লাখ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ভিজিএফ, জিআর, ওএমএস কার্ড। বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ দেশের কৃষিবিদরা প্রায় ৫ শতাধিক উচ্চফলনশীল ধান, গম, বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং সবজির উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে যেগুলো বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশেও টিকতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া সময় ২০১৫ সাল হলেও বাংলাদেশ তার দু’বছর আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ফেলে। এই অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডিপ্লোমা এ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।
©somewhere in net ltd.