নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান, বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প বিকাশেঃ (পর্ব-৬)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪



কিন্তু এই কথাগুলো কখনই প্রচার করা হয়নি। বিদেশী পেটেন্টধারীরা বঙ্গবন্ধুর পেটেন্ট না মানার সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষুব্ধ ছিল। কিন্তু কতটুকু ক্ষুব্ধ? বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান-মধ্যপ্রাচ্য অক্ষশক্তি ও তাদের অনুসারী এদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং এদেশের কিছু বিভ্রান্ত বাম মিলে যে নীলনকশা সঙ্গোপনে তৈরি হচ্ছিল সেখানে ক্ষুব্ধ বিদেশী ঔষধ-পেটেন্টধারীদেরও ইন্ধন ছিল কি? থাকা বিচিত্র নয়। ভবিষ্যত গবেষণা হয়ত এ বিষয়ে আলো ফেলতে পারবে। তবে একথা তো সহজেই বলা যায় যে এসব ক্ষুব্ধ বিদেশী ঔষধ-পেটেন্টধারীদের দেশগুলো মহাশক্তিধর এবং এরা কখনও গরিব দেশে কোন জাতীয়তাবাদী নেতার উত্থানকে মেনে নেয় না। মেনে নেয়নি আলেন্দে, ইন্দিরা, সুকর্ণ, মোসাদ্দেকের মতো মুজিবকেও। বঙ্গবন্ধু এদেশে যে ঔষধ শিল্পের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে নিয়েও সেই ঔষধ শিল্পটি আজ উঠে দাঁড়িয়েছে। আজ এদেশের ঔষধ কোম্পানিগুলো খাদ্যে স্বনির্ভরতার মতোই দেশকে ঔষধেও প্রায় স্বনির্ভর করে ফেলেছে। বাংলাদেশ এখন তার বার্ষিক ঔষধ চাহিদার ৯৭% নিজেই উৎপাদন করে। সিঙ্গাপুরে এই সংখ্যাটি ৭৫%, শ্রীলঙ্কায় ৮৫%, বার্মায় ৯০%। উপরন্তু আমাদের বেশ কিছু ঔষধ কোম্পানির মান এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। তারা যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইইউ সার্টিফিকেশন, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের টিজিএ, উপসাগরীয় দেশগুলোর জিসিসি, ব্রাজিলের আনভিসা ইত্যাদি প্রখ্যাত সনদগুলো পেয়েছে। আরও খুশির খবর হচ্ছে যে বাংলাদেশের ঔষধের আন্তর্জাতিক মান ও স্বল্প মূল্যের কারণে বাংলাদেশ এখন মোট ৯৩টি দেশে ঔষধ রফতানি শুরু করেছে। যারা একসময় আমাদের মিসকিন বলে অবজ্ঞা করত, আজ তারাই মিসকিনদের দেশের ঔষধ ব্যবহার করছে। এসবই আমাদের জাতিগত অর্জন। এর পেছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণ, এদেশের উদ্যোক্তাদের আগ্রহ এবং ফার্মাসিস্টদের শ্রম। কিন্তু আমরা আমাদের দেশের ঔষধশিল্প নিয়ে আরও বহুদূর যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য এখন দুনিয়ার সবচাইতে কঠিন নিয়ন্ত্রিত বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে। এজন্য তাদের দেশের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) সনদটি আমাদের প্রয়োজন। এর জন্য আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি ঔষধ কোম্পানি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি এ বছর না হলেও আগামী বছরের মধ্যে আমরা এফডিএ-এর স্বীকৃতি পেয়ে যাব। যেদিন আমাদের দেশের কোন ঔষধ কোম্পানি পৃথিবীর সবচাইতে মূল্যবান এফডিএ-এর সনদটি পাবে সেদিন আমরা বাংলাদেশের হাজার হাজার ফার্মাসিস্ট আনন্দে কাঁদার জন্য দেশজুড়ে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। সেখানে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর সুযোগ্য কন্যাকে আমন্ত্রণ জানাব বঙ্গবন্ধুর প্রতি ঋণ স্বীকারের সাক্ষী থাকতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ-এর স্বীকৃতিটি পেলে পৃথিবীর সব দেশে আমরা সহজেই ঔষধ রফতানি করতে পারব। আর তা হলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে আমরা গার্মেন্টস শিল্পকেও ছাড়িয়ে যেতে পারব। বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা হাত লাগাতে পারব।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.