![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
নীতিমালা কোন আইন নয়, এটি বার বার বলা সত্ত্বেও যারা সমালোচক, তারা এসবের তোয়াক্কা করছেন বলে মনে হচ্ছে না। কয়েকদিন আগেও সম্পাদক পরিষদে যারা গুজব রটনায় পারদর্শী, বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছিল, তারা আবার সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে তাদের সেই একই কলের গান বাজিয়ে চলেছে। তাদের সেই একই বক্তব্য, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা, বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্যই নাকি নীতিমালা করা হচ্ছে। দেশে নানা প্রকার নীতিমালা আছে, শিল্প নীতি, কৃষি নীতি, নারী নীতি, শিশু নীতি, শ্রম নীতি ইত্যাদি। এই নীতিমালাগুলো কি শিল্পের কিংবা কৃষির কিংবা নারীর কিংবা শিশুর কিংবা শ্রমিকের কল্যানের জন্য করা হয়েছে, নাকি শিল্প-কৃষি-নারী-শিশুর ধ্বংস ডেকে আনার জন্য করা হয়েছে? সম্প্রচার নীতিমালার সমালোচকদের সমালোচনার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে, ‘যে যা বলুক ভাই, আমরা নীতিমালা বা নিয়মের মধ্যে নাই’ এমন অরাজক অবস্থার মধ্যে উনারা বাস করতে চাইছেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে, নীতিমালা কোন আইন নয়, এটি একটি দিকনির্দেশনা, যা না মানলে শাস্তি দেয়ার কোন বিধান নেই। কিন্তু আইন হবে, সেই আইনটি গণমাধ্যমের সবার সাথে আলোচনা করেই হবে এবং সেখানে সমালোচকরা বক্তব্য হাজির করার সুযোগ পাবেন। সেই আইনের ভিত্তিতে সম্প্রচার কমিশন হবে, যারা সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এসব স্পষ্ট বক্তব্যের পরেও যখন বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য অযৌক্তিক বক্তব্য দিনের পর দিন হাজির করা হয়, সেটাকে কি বাক-স্বাধীনতা বলা যায়? বাক-স্বাধীনতারও দায়িত্ব-জ্ঞানের একটা গন্ডি আছে। বাক-স্বাধীনতা অর্থ পরিকল্পিত উপায়ে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া নয়। যারা সমালোচনা করছেন, তাদের এ বিষয়গুলোও ভেবে দেখতে হবে।
©somewhere in net ltd.