![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশের তৃতীয় ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর’ দক্ষিণ উপকূলের মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে এ জনপদের অর্থনৈতিক চিত্রও। অবহেলিত রামনাবাদপাড়ের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন এই পায়রা সমুদ্রবন্দর। তাদের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন অনুধাবন করছেন প্রতি মুহূর্তে। বন্দর ঘিরে প্রকল্প এলাকায় চলছে বিরামহীন উন্নয়ন কার্যক্রম। শত শত শ্রমিক পেয়েছে কর্মসংস্থান। টিয়াখালী নদীর তীরে প্রকল্প এলাকা এখন পরিণত হয়েছে আলোকিত জনপদে। এ জনপদের মানুষ এক সময় জমিজমা চাষাবাদে চরম অনীহা দেখাত। আর এখন তাদের কাছে সেই জমি যেন সোনা ফলা মাটি। এটা তাদের আর্থিক দৈন্যের যেন ইতি টানছে। ইতোমধ্যে পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত ইট বিছানো সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর থেকে পর্যটন শহর কলাপাড়া উপজেলা সদর হয়ে সোজা গাড়িতে মানুষ যেতে পারছে পায়রা বন্দর প্রকল্প এলাকায়। পড়ন্ত বিকেলে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় লেগে যায় বন্দর এলাকায়। প্রকল্প এলাকায় টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে সৌরবিদ্যুত সিস্টেম। আলোকিত হচ্ছে জনপদ। টানা হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের লাইনও। চলছে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় বহির্নোঙ্গরের কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। রামনাবাদ মোহনা থেকে কাজল, তেতুলিয়া নদী হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত সমুদ্রের (নৌপথের) গভীরতা যাচাইয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। অধিকাংশ রুটের গভীরতা সাত থেকে ১৫ মিটার। তবে শুধু চালিতাবুনিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় খনন কাজ করতে হবে। অন্য বন্দরে জাহাজ চলাচলে যেমন জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হয়, পায়রা বন্দরে এ সমস্যা নেই। গভীরতা বেশি থাকায় এ রুটে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ চলাচলের সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে কাউয়ারচরে বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এর বাস্তব প্রতিফলন এখন দেখছেন তারা। অজানা, অচেনা এ জনপদ এখন হয়ে আছে কর্মমুখর। ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলবে অন্তত টানা ১৫ বছর। হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে মানুষ সারা বছর থাকবে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি অনুসারে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বেছে নেয়া হয় রামনাবাদ চ্যানেলকে। বেশ কয়েক বার দেশী এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল সমীক্ষা চালায়। ঝড়-ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ এ অঞ্চলের মানুষকে এক সময় শুধু কৃষি এবং মাছ ধরার পেশাকেই বেছে নিতে হয়েছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এ পেশায় দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ধুঁকে ধুঁকে চলা পেশার চলন শক্তিতে এখন যেন গতির সঞ্চার ঘটেছে পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ঘিরে। সরকার প্রাকৃতিক বৈরী পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় উপলব্ধি করতে পেরে পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তনের ছোঁয়া এনে দিয়েছেন। শিল্পভিত্তিক অঞ্চল ছাড়াও পর্যটন শিল্পকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রূপ নিতেই তার এ প্রচেষ্টা। মাদার ভ্যাসেলকে বহির্নোঙ্গরে রেখে লাইটার জাহাজে এই বন্দর দিয়ে পণ্য ওঠানামা করা যাবে। বন্দর এলাকা এক্সক্লুসিভ জোনে পরিণত হবে।
©somewhere in net ltd.