![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সরকারের উদ্যোগ এবং সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুই বিজ্ঞানী শোধন যন্ত্র বানিয়েছেন। নাম দিয়েছেন 'গরম পানিতে ফল শোধন যন্ত্র'। যেটির ব্যবহার ফরমালিন ছাড়া ২০ দিন পর্যন্ত ফলের পচন রোধ করবে। প্রতি কেজি ফল শোধনের খরচ পড়বে মাত্র ১৭ পয়সা। প্রতি ঘণ্টায় শোধন করা যাবে ১ টন ফল। এ যন্ত্র ব্যবহার করলে ফলের পচন রোধ হবে। বেশিরভাগ ফল পচে যায় বলে ব্যবসায়ীরা ফলে ফরমালিন দেন। 'গরম পানিতে ফল শোধন যন্ত্র' ব্যবহার করলে ফরমালিনের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করতে হবে না। পরীক্ষামূলকভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয় যন্ত্রটি। পরীক্ষায় দেখা গেছে সাধারণ তাপমাত্রায় ২০ দিন পর্যন্ত রাখার পরও কোনো আম পচেনি এবং আমের বর্ণ হলুদ হয়েছিল। যারা মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার আম ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য শহরে বাজারজাত করেন। তাদের জন্য যন্ত্রটির দাম তেমন বেশি নয়। এই যন্ত্র ব্যবহার করলে ফলের অপচয় রোধ হবে। অপচয় রোধ হলে বর্তমানের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের ফল বিক্রয় করার এবং কম মূল্যে ক্রেতাদের ফল ক্রয় করার সম্ভাবনা থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধঘোষিত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন। সেজন্য অনেকে ফল কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। গরম পানিতে শোধন করা ফল কিনতে পারলে ক্রেতাদের এই বিরূপ মনোভাব দূর হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারি বাঙালিরা বেশি দাম দিয়ে হলেও দেশে উত্পাদিত গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি প্রভৃতি জাতের আমসহ অন্যান্য ফল কিনতে আগ্রহী। তবে বাজার থেকে আম কেনার দু'চার দিনের মধ্যে আম পচে যায়। তাই রপ্তানিকারকগণ রপ্তানি করতে আগ্রহী হন না। আর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমের পচনরোধ করতে ব্যবহার করেন ফরমালিন। তবে নতুন উদ্ভাবিত ফল শোধন যন্ত্র দিয়ে শোধন করলে আমে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না। শোধনের পর পলিইথাইলিন ফোম নেট দিয়ে মুড়িয়ে এবং রপ্তানির জন্য ব্যবহৃত কার্টন ব্যবহার করলে পচন সমস্যা দূর করা যাবে। এই যন্ত্র বানাতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। তবে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করলে খরচ আরো কমবে। এই যন্ত্র আবিস্কারের ফলে, ফল ব্যবসায় এক দিকে স্বস্তি ফিরে আসবে, অন্য দিকে বাংলাদেশ হবে ফরমালিন মুক্ত এবং মানুষ ফিরে পাবে সু-স্বাস্থ্যকর জীবণ।
©somewhere in net ltd.