![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশের চাহিদা মিটিয়ে ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। গত এক দশক আগেও প্রয়োজনমতো ফ্রিজ আমদানি করা হতো। এখন দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফ্রিজ উৎপাদন ও বিপণনে এগিয়ে আসায় এ পণ্যটিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশে ফ্রিজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১১ লাখ, বিপরীতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ লাখ। অর্থাৎ উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার দ্বিগুণেরও বেশি। দেশীয় এ শিল্পের দ্রত বিকাশে এখন আমদানি নিরৎসাহিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা। তবেই দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে এ শিল্প খাতটি। ফ্রিজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছেন ক্রেতারা। অভ্যন্তরীণ বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় এ পণ্যটি। আমদানি কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রাও রক্ষা পাচ্ছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে রেফ্রিজারেটর বিক্রি হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে দেশে তৈরি ফ্রিজ ছিল ৮ লাখ ৩৭ হাজার, একই সঙ্গে আমদানি ২ লাখ ৪০ হাজার ফ্রিজ। আগের অর্থবছরে আমদানিকৃত ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার। অর্থাৎ এ বছর আমদানি করা ফ্রিজের বিক্রি কমেছে ৭৭ হাজার ইউনিট। পক্ষান্তরে দেশে তৈরি ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ইউনিট। চলতি অর্থবছরে দেশীয় ফ্রিজের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। সেক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরের শেষে ফ্রিজের দেশীয় বাজার ১৪ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আমদানিকৃত ফ্রিজের বাজার আরও সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। এটা দেশের জন্য ভাল দিক। ফ্রিজের মতো অন্যান্য পণ্যও দেশে উৎপাদন হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশে ফ্রিজ তৈরি করছে এরকম প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-যমুনা, আরএফএল, ওয়ালটন, মার্সেল, ইকো প্লাস, মাই ওয়ান এবং মিনিস্টার। এর মধ্যে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এছাড়া ইউরোপের বাজারেও রপ্তানির চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই ভাবতেই ভালো লাগছে, সত্যিকার অর্থেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই সোনার বাংলা।
©somewhere in net ltd.