![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত আল ফুয়াদের উদ্যোগে ঢাকায় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। উইকিপিডিয়াতে প্রকাশ, বর্তমানে আবু নাসের মুহাম্মদ আবদুজ জাহের এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ইউসুফ আবদুল্লাহ আল রাজী ভাইস চেয়ারম্যান। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ইসলামী জঙ্গী এবং জামায়াতে ইসলামীর অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড বলে বার বার প্রমাণিত। জামায়াতে ইসলামীর ছত্রছায়ায় বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদের প্রসার ঘটেছে। জঙ্গীবাদ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে তাদের অর্থনৈতিক মদদদাতা, সমর্থকদের দেয়া আর্থিক সহযোগিতাই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রবৃদ্ধি শতকরা ২০ ভাগ। দেশের গোটা ব্যাংক ব্যবস্থার গড় হারের দ্বিগুণ। ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমের কিছু দিক এইচএসবিসিসহ বিভিন্ন বহুজাতিক ব্যাংককেও আকৃষ্ট করেছে। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক এইচএসবিসির দুই ডজন এ্যাফিলিয়েটেড কাস্টমার। এ কারণে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রসার অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়ে যায়, জঙ্গী অর্থায়নের সুযোগ বেড়ে যায়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৫টি জেলার মধ্যে ৬৪টি জেলায় জঙ্গীরা সিরিজ বোমা হামলা চালালে এ দেশে জঙ্গীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এরপরও জেএমবি, জামায়াতের দাতা এবং ইসলামী ব্যাংকের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করেনি তখনকার গোয়েন্দা অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারকরা। জেএমবি, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রকে ‘শয়তানের সৃষ্ট ব্যবস্থা’ বা ‘তাগুতি শাসন’ অভিহিত করে দেশে আল্লাহর শাসন বা ইসলামী হুকুমত কায়েমের নামে জঙ্গী তৎপরতা শুরু করে এইচএসবিসির রিপোর্টে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে জঙ্গী সংগঠন জমিয়াতুল মুজাহিদীনের বাংলাদেশ শাখার সাবেক প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান ও তার ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়েরও এ্যাকাউন্ট ছিল। আবদুর রহমান, বাংলাভাইসহ ৬ জেএমবি নেতাকে ২০০৭সালে দুই বিচারককে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের ২টি শাখা সন্দেহজনক অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন প্রমাণ পায়। তবে সেই সময়ে এই লেনদেনের তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পর ইসলামী ব্যাংকের ২০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন দেশের কাউন্টার টেররিজমের তালিকায় জঙ্গী অর্থায়ন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয় মার্কিন সিনেট অধিবেশনের আলোচনায়। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংক এবং সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক জঙ্গী অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত এমন তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এইচএসবিসি ব্যাংকের যুক্তরাষ্ট্র শাখার অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার সুযোগে বাংলাদেশের এই ব্যাংক দুটির প্রতি সন্দেহের তীর- জঙ্গী এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। একই সঙ্গে এই ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিপুল অর্থ পাচার করে চলেছে এমন সন্দেহও রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলের। দেশ বাসী আশা করে ইসলামী ব্যাংক অনতি বিলম্বে বন্ধ করা হোক।
©somewhere in net ltd.