![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
১৯৯৭ সালের ৬ জুন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিআইএসটি-ইসি) গড়ে তোলা হয়। সে বছরই মিয়ানমার সদস্য হিসেবে যোগ দেয়ার পর এর নতুন নাম হয় বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিআইএমএসটি-ইসি)। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেপাল ও ভুটান সদস্য হিসেবে যোগ দেয়ার পর চূড়ান্তভাবে এই জোটের নাম হয় ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’ (বিমসটেক)। ১৯৯৭ সালে সহযোগিতার ছয়টি ক্ষেত্র নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে আরও আটটি নতুন ক্ষেত্র যোগ হওয়ায় বিমসটেক এখন উন্নয়ন এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৪ খাতের ওপর জোর দিচ্ছে। বিমসটেক সচিবালয় উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে এই প্রথম কোন আঞ্চলিক জোটের প্রধান কার্যালয়ের যাত্রা শুরু হলো। বিমসটেক প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে গভীর বোঝাপড়া ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অন্যতম ক্ষেত্র। সংস্থাটি এ অঞ্চলের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। বিমসটেক অঞ্চলে সহযোগিতার লক্ষ্যে চিহ্নিত ১৪টি ক্ষেত্র এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনের জন্য আমাদের সময়োপযোগী ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ চ্যালেঞ্জকে সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করার মাধ্যমেই আমাদের সকল অর্থনৈতিক অর্জন অর্থবহ করা সম্ভব। আমাদের জনসংখ্যার সিংহভাগই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও কর্মসংস্থানের অন্যতম প্রধান উৎস হল কৃষি খাত। প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার ঘাটতি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিমসটেকের আওতাধীন হিমালয় বেসিন অঞ্চলে জলবিদ্যুত এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে হাইড্রো-কার্বন প্রাপ্তির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকায় বিমসটেকের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.