![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেসরকারি উদ্যোগে মুক্তমঞ্চে তৎকালীন পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের নবনির্বাচিত দলের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যবৃন্দের শপথগ্রহণ শেষে ‘জিয়ে সিন্ধ’, ‘জিয়ে পাঞ্জাব’, ‘জিয়ে পাখতুন’, ‘জিয়ে বেলুচিস্তান’, ‘জিয়ে পাকিস্তান’ উচ্চারণ করেছিলেন। এটাকে অনেকেই ৭ই মার্চ এর ভাষনের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। স্মৃতি বিস্মৃত হয়ে যেতেই পারে, কিন্তু সেই বিস্মৃত স্মৃতি যদি কেউ শুধরে দেয়, তবে তার জন্য বিস্মৃত স্মৃতির জন্য ক্ষমা চেয়ে সত্যে ফিরে আসলে দোষের কিছু থাকে না, বরং মহত্ত্ব বাড়ে। আমাদের শ্রদ্ধেয় কবি শামসুর রাহমানকে স্মৃতি বিস্মৃত করেছিল, পরে সেটা শুধরে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। কবি শামসুর রাহমান সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে সত্যে ফিরে আসেন। ঘটনাটা ২০০৪ সালের। সাপ্তাহিক ২০০০ এ আলোচনাটি এসেছিল। আলী যাকের বলেছেন, ৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় সংসদ ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক মুক্ত শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু ভাষণের শেষে “জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান” শ্লোগান দিয়ে ভাষণ শেষ করেছেন। কিন্তু অনেকে ভুল করে সেই শপথ বাক্য পাঠ করানোর ভাষণ (জানুয়ারি, ১৯৭১) আর ৭ই মার্চ এর ভাষণকে এক করে ফেলছেন। ১৯৭১ সালের তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের সাংবাদিক মনজুর আহমেদও ৭ই মার্চ এর ভাষণ বিষয়ে একটি কলাম লিখেছিলেন, যেখানে তিনিও বলেছেন, ভাষণের শেষে বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেননি. ইতিমধ্যে প্রথমা প্রকাশনীর বই ব্যবসা তুঙ্গে, শোনা যাচ্ছে প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে দ্বিতীয় সংস্করনে এসেছে বইটি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকায় এ কে খন্দকার নাকি ৭ই মার্চ এর ভাষণকে আবার একটি বিকৃত সংশোধনী এনে করে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ভাষণের শেষে ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলেছেন। স্মৃতি যদি বিস্মৃত করে, তবে এ কে খন্দকার নিশ্চয়ই ক্ষমা চাইবেন। আর যদি স্মৃতির সাথে সচেতন দুরভিসন্ধি যোগ করে এ কে খন্দকার ইতিহাসের সাথে বেঈমানী করার দুঃসাহস প্রদর্শন করেন, তবে তিনি নিশ্চয় নতুন মীরজাফরের তালিকাভুক্ত হবেন এবং বাঙ্গালী জাতি তাকে কোন দিন ক্ষমা করবে না।
©somewhere in net ltd.