![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সদ্য প্রকাশিত এ কে খন্দকারের ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইয়ে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু নাকি ৭ মার্চের ভাষণে জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো উনি তো সেখানে ছিলেন না। এখনো যারা বেচে আছেন, তারা অনেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা তো শুনেন নি। এ কে খন্দকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু শেষ জীবনে এসে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের হাতে একটা অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল না বলেও লিখেছেন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা। কেউ না কেউ তাকে প্ররোচনা দিয়েছেন। অন্য কোনো ইচ্ছায় তিনি জাতির পিতাকে ছোট করার জন্য এটা করেছেন। তিনি নানাভাবে কাজকর্ম করেন। তিনি সব সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। এই সরকারের কাছ থেকেও সুবিধা নিয়ে তারপর তিনি এই বই লেখেন। এ কে খন্দকার কলকাতায় হেডকোয়ার্টারে ছিলেন। সামরিক নেতৃত্বে নয়, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। এক শ্রেণির লোক পাকিস্তানের এজেন্ট। খন্দকার সাহেব তাদের একজন। তিনি পাকিস্তানের বুদ্ধি-পরামর্শ নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কারো ইন্ধনে অথবা কারো প্ররোচনায় মোটা অংকের টাকা খেয়ে এ বই লিখেছেন। তিনি এরশাদের সময় সুবিধা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সময় শেখ হাসিনাকে ধরে মন্ত্রিত্ব নিয়েছেন। বিকৃত ইতিহাস রচনা করে এ কে খন্দকার আইএসআইয়ের পয়সা খেয়েছেন বলেও সন্দেহ পোষণ করছেন বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। এদের চরিত্র সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.