![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
জলদস্যু দমন, অস্ত্র উদ্ধার, কাঠ পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো ও অপহৃত উদ্ধারে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ৩ হাজার ৩৯ জন জলদস্যু গ্রেপ্তার, ৩৫৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৩ হাজার ৯০০ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার ৮৬ জন বিপন্ন জেলেকে উদ্ধার করেছে। একই সময়ে অপহৃত ও ভাসমান অবস্থায় ২০৪টি নৌকা উদ্ধার ও অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বিদেশ যাওয়ার সময় ১ হাজার ৩৪২ জনকে আটক এবং ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকার মালামালও জব্দ করা হয়। এছাড়া ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৬৮৯ জন মিয়ানমার নাগরিককে ৯২টি বোটসহ পুশব্যাক করার পাশাপাশি ২৫ জন মিয়ানমার নাগরিককে ২টি বোটসহ গ্রেপ্তারের পর সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় কোস্টগার্ডের সাফল্য বেশি। কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তায় রাতদিন কাজ করে চলেছেন। জলদস্যু দমন ও জেলেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কোস্টগার্ড নিরলসভাবে কাজ করে। এছাড়া সমুদ্রে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নৌ সীমানাগুলোতে তাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। খুব শিগগিরই এই বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে। আরো কয়েকটি এলাকায় কোস্টগার্ডের স্টেশন বৃদ্ধি ও উন্নত প্রযুক্তির জলযানও এই বাহিনীতে যোগ করা হবে। সেখানেও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দিয়ে উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান সরকার অভ্যন্তরীণ নৌ অঞ্চলে টহলের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত কোস্টগার্ডে যুক্ত করতে যাচ্ছে পর্যাপ্ত ঘাঁটি, প্রশিক্ষিত জনবল, হোভার ক্রাফটসহ আধুনিক বোট। জলসীমায় মানুষের নিরাপদ চলাচল, অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কোস্টগার্ড অবজারভেশন টাওয়ার, ওয়াচ পোস্ট, ভেসেল ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ উন্নত অনেক প্রযুক্তি। বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় চাহিদা মাফিক জনবল ও উন্নত প্রযুক্তির জলযান পেলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড অন্য দেশের কোস্টগার্ডের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন দেশের সাধারণ মানুষ।
©somewhere in net ltd.