নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ভাবে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে তাতে হয়ত একদিন আবার বলবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জিয়াই লিখে দিয়েছিলেন

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩





বিএনপি আন্দোলনের কোনো ইস্যু না পেয়ে বঙ্গবন্ধুর ইমেজ আর ইতিহাস বিকৃতির মরণ খেলায় মেতে উঠেছে নতুন করে। লন্ডনে থেকে ইতিহাস বিকৃতির সাথে সাথে কিছু স্বঘোষিত ইতিহাসবিদ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ আর জাতির জনকের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বইয়ের পর বই ছাপিয়ে ‘চায়ের কাপে ঝড়’ তোলার অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই শেষ সংযোজন এ কে খন্দকারের সদ্য প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা একটি বই। স্বঘোষিত ইতিহাসবিদ ভেবেছিলেন বইটি লিখে মানুষের মন জয় করে জাতিকে আলোকিত করবেন। আলো তো দুরের কথা, বইটি ছাপিয়ে খন্দকার সাহেব এখন চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখছেন। এই খন্দকার সাহেব ‘৭১ এর মার্চের সেই উত্তাল দিনগুলোতে স্বপরিবারে ঢাকাতেই ছিলেন পাক বিমান বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসাবে। অথচ তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধের কোনো প্রস্তুতি দেখেন নি। দেখবেন কি করে? তিনি তো ছিলেন মনে প্রাণে ‘অখন্ড পাকিস্তান’ এ বিশ্বাসী বিমান বাহিনীর একজন নিবেদিত অফিসার। তাই বাঙালি হয়েও পাঞ্জাবিরা তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখেছিল সেই ক্রান্তিলগ্নে। অথচ মার্চের শুরুতেই ব্রিগেডিয়ার মজুমদার সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব বাঙালি অফিসারদের কড়া নজরদারীতে রেখেছিল পাঞ্জাবীরা, অনেককে হত্যাও করেছিল ২৫ মার্চের কালো রাতে। অথচ খন্দকার সাহেবের গায়ে আচড়ও লাগেনি, নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন সেই রাতে। আমাদের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চের গভীর রাতে, আর খন্দকার সাহেব দলবলসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন মে মাসের মাঝখানে। তাও আবার পাকিস্তানিদের কঠোর নিরাপত্তার চোখকে ফাঁকি দিয়ে। ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইয়ের ভাষা পড়ে বোঝা যাচ্ছে তিনি হয়তো পাকি এজেন্ট হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আবার যে ভাবে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে তাতে হয়ত একদিন কেউ আবার বলবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জিয়াই লিখে দিয়েছিলেন। দেশের মানুষ আজ সুখে দিনাতিপাত করছে, তাই গণআন্দোলনের কোনো সম্ভাবনা নেই। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ না দেখে বিএনপির আজ মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই বিদেশী প্রভুদের পরামর্শে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করতে বিএনপি আজ উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা বুমেরাং হয়ে তাদেরকেই আঘাত করছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদয়ে আরো গেথে যাচ্ছে, দল হিসাবে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা আরো বেড়ে যাচ্ছে।

















মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.