![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সাইদির রায়ে বিএনপির কোন প্রতিক্রিয়া নেই, কেননা তারা তো মাসতুত ভাই। ১৯৭১ সালে জামাত-শিবির যা করেছে তা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়ে গেছে। বাংলাদেশে যে পরিমান মানুষ হত্যা করা হয়েছে, ১ম এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধে এত মানুষ হত্যা করা হয় নাই। নাজি বাহিনীর চেয়ে ভয়ংকর ছিল আলবদর, রাজাকার বাহিনী। এটা ছিল জামাতের প্যারা মিলিটারি বাহিনী। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক আদেশ জারির মাধ্যমে এই বাহিনী তৈরি করেছিল। লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতাকামীদের সমূলে বিনাশ করা, তাদের স্ত্রী, কন্যাদের ধর্ষণ করা, বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, লুটপাট করা এবং দেশ ত্যাগে বাধ্য করা। এই কাজে তারা সফল হয়ছিল। ১৯৭৫ সালের পর জেনারেল জিয়ার হাত ধরে রাজাকাররা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে। বিএনপি নামক পাকিপন্থি দল আবার পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন গড়ার চেস্টা চালিয়ে যায়। তাদের সহযোগী হয় বিএনপি। নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের দল বললেও তারা আদতে সবেক মুসলিম লীগ, পিডিবির নয়া সংস্করন বিএনপি। নব্য এই মুসলিমলীগ শিয়াল, নেকড়ের চেয়ে আরও ধুরন্ধর। তারা মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির কথা বললেও তাদের প্রীতি জামাত, হেফাজতের সাথে। কওমি পন্থী আমিনি, সফিদের সাথে এরা ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে স্কুল কলেজ হয় না, তৈরি হয় মাদ্রাসা। সেই মাদ্রাসায় তৈরি হয় জঙ্গিবাদ যা মানবতাবাদের বিরোধী। ধর্মের নামে তারা হয় অধার্মিক। দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, দেশের মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে, ঠিক সেই সময়ে বিএনপি তাদের মূখে কুলুপ এটে দরজা বন্ধ করে আছে। কারণ ভাসুরের নাম মুখে আনতে মানা। জামাত তাদের ভাসুর। যুদ্ধাপরাধী সাইদির আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় ঘোষিত হওয়ায় দেশের সকল নাগরিক, রাজনৈতিক দল তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। কেবল মাত্র বিএনপি নেত্রী তার দলের কোন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি। ইতিপূর্বে যে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে, তাদের বেলায় একই নিয়ম অনুসরন করেছে দলটি। দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষ দল হিসাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছে বিএনপি।
©somewhere in net ltd.