নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত প্রশ্ন, এত আক্রোশ কেন জাতির পিতাকে নিয়ে?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭





জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। জেল-জুলুম, নির্যাতন, হুলিয়া বহন করেছেন তিনি। পূর্ববাংলার শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগণকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনিই এবং প্রতিষ্ঠাও করেছেন তিনি। তিনি না হলে তো এ দেশ স্বাধীনই হতো না। যুগে যুগে কিছু মহাপুরুষ পৃথিবীতে আসেন কোনো কোনো জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। বঙ্গবন্ধুও তেমনি একজন। এ কথা সত্য যে, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ কোনো কাকতালীয় বিষয় নয় বরং পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল এই স্বাধীনতা। কোনো জাতি যখন স্বাধীন হতে চায় তখন সে প্রত্যাশিত স্বাধীনতাকে ঠেকিয়ে রাখার শক্তি আর কারো থাকে না। ৭১-এ স্বাধীনতা অর্জনের বিষয়ে সমগ্র জাতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েছিল। কারণ বাঙালি চেয়েছিল স্বাধিকার তথা স্বায়ত্তশাসন। দেখেছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের। অথচ স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও তার স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। এর মূল কারণ রাজনৈতিক বিদ্বেষ, দলীয় সংকীর্ণতা ও হানাহানি। যে বাঙালির জন্য তার স্বপ্ন ও সংগ্রাম ছিল, ওই বাঙালিরই একটি অংশ তাকে বাঁচতে দিল না। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ কি এত বেশি ছিল যে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করতে হবে? এর চেয়ে দুঃখ আর পরিতাপের বিষয় আর কি হতে পারে? তাতে কি দেশের কোনো লাভ হয়েছে? দেশ প্রগতিশীল ধারা থেকে প্রতিক্রিয়াশীল ধারায় ফিরেছে। রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্থান ঘটেছে। আধুনিক ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে আমরা ছোট হয়ে গেছি। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। কারণ বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্য লোক পূর্ববাংলায় দ্বিতীয়জন ছিলেন না। আমাদের আজও পশ্চিম পাকিস্তানিদের গোলামি করতে হতো। আজ যে বাঙালিরা স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে আসীন আছেন, স্বাধীনভাবে কাজ করছেন, মুক্ত বাতাসে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন এর কোনো সুযোগ ছিল না। এ কঠিন সত্যকে ভুলে গিয়ে একশ্রেণির মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ছোট করতে গিয়ে নিজেই ছোট হয়ে যাচ্ছে। কতটা অকৃতজ্ঞ আর হীনমন্য হলে মানুষ জাতির জনক সম্পর্কে এমন সব কথা বলতে পারে? মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু কারো প্রতিপক্ষ নন। জীবদ্দশায় যেমন ছিলেন না, মৃত্যুর পরেও নন। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনকের প্রতিপক্ষ কেউ হতে পারে না, যৌক্তিক ও সঙ্গতও নয়। যদি কেউ অসম, অসুস্থ ও হাস্যকর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন তবে তাকে পাগল ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.