![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
পালিত হলো বিএনপির অস্তিত্ব জানান দেয়ার হরতাল। সেই সাথে আরো স্পষ্ট হলো বিএনপি এখন অস্তিত্বহীন হবার দ্বার প্রান্তে। স্বঘোষিত ৯৫ শতাংশ জনগণের নেত্রী খাম্বাম্মার হরতালে কত শতাংশ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল? যথারীতি হরতাল ডেকে বিএনপির নেতারা হরতালের মাঠে অনুপস্থিত। আর মাঠের অতি চতুর নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে কয়েকজন মিলে ফটোসেশন করেই হাওয়া। আর সেই ফটোসেশনের খবর পড়ে শোনালেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান। বিচারপতিদের অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আসা হয়েছে সংবিধানে। ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে জাতীয় সংসদকে। আগে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ছিল সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল হলো মহামান্য রাষ্ট্রপতি মনোনীত ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিল। অর্থাৎ সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাত্র ৩ জন বিচারপতির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতিকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারতেন। এখন এই দায়িত্ব এসেছে জাতীয় সংসদের হাতে। আর বিচারপতিদের অপসারণ করতে এখন প্রয়োজন হবে জাতীয় সংসদের সাংসদবৃন্দের দুই তৃতীয় সমর্থন, অর্থাৎ এখন অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারিত করতে হলে কমপক্ষে ২৫৪ জন সাংসদের সমর্থন লাগবে। বিচারপতিবৃন্দের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনীর বিরুদ্ধে বিএনপি গত সোমবার হরতাল ডেকেছিল। এই হরতাল কতোটা যৌক্তিক, সেটা বিচার করে দেখেছে দেশের সাধারণ মানুষ। আসলে বিচারপতিদের অপসারণ হরতালের প্রধান কারন নয়, তাদের হরতাল ডাকার প্রধান কারন হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অন্যদলে ভাগতে শুরু করেছে। আবার অনেক নেতা খাম্বা আর খাম্বার মা মাইনাস বিএনপি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাই খাম্বা আর খাম্বার মা বিনা কারনে হরতাল দিয়ে নেতা-কর্মীদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র মূলক হরতাল দেশের সাধারণ মানুষের সাড়া না পেয়ে আবারো ব্যর্থতায় পরিণত হলো।
©somewhere in net ltd.