![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
নদীর মাটি ও বালু রপ্তানি করে ১০০ কোটি ডলার আয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। রপ্তানির যৌক্তিকতা ও কৌশল নির্ধারণ করতে আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে কিভাবে বালি ও মাটি রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে মাটি আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব দেন মালদ্বীপের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নদী ড্রেজিং করে মালদ্বীপকে মাটি রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পরিকল্পনা কমিশন বালি ও মাটি রপ্তানির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রপ্তানির পক্ষে মতামত দেয়। সরকার বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, জার্মানি, মেক্সিকো, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ মাটি ও বালি রপ্তানি করে। আর আমদানিকারক দেশের তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও মালদ্বীপ। ২০১২ সালের ৪ মার্চ বালু রপ্তানির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ভূমি মন্ত্রণালয় ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঐ সময় কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি শর্তসাপেক্ষে বালু রপ্তানির ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয় মত দেয়। এতে বলা হয়, বালু রপ্তানি করা নিয়ে যেন পরিবেশের ওপর কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে। এছাড়া বালু রপ্তানির মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বালু নিয়ে এবারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বালু রপ্তানির বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের নদ-নদীতে যে পরিমাণ বালু রয়েছে তাতে বালু রপ্তানি করা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে বালু রপ্তানি করে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করতে চায় সরকার। সরকার এজন্য বেসরকারী খাতকে উৎসাহিত করছে। শীঘ্রই দেশ থেকে বালু রপ্তানি হতে পারে।
©somewhere in net ltd.