![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিদেশী কূটনীতিক ও দাতাগোষ্ঠী। সরকার তার লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন তাঁরা। এদিকে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে নেই বলে মনে করছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নজর রেখেছেন বিদেশী কূটনীতিকরা। এখন অধিকাংশ বিদেশী কূটনীতিকরা বলছেন, সরকার যে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেটা অত্যন্ত ইতিবাচক। বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশ সরকারের নেয়া উন্নয়ন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলেছে ‘বিএনপি-জামায়াত জোটসহ মৌলবাদী গোষ্ঠীর ব্যাপক সহিংসতার মধ্যেও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা হচ্ছে। এই সহিংসতার মধ্য দিয়েও কোটি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট’। এদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে আরও অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগামী সাত বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ অর্থ সহায়তা বৃদ্ধি করবে সংস্থাটি। এটিকে কূটনীতিকরা অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। কেননা গত জুলাই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এই ঘোষণা দেয়ার পর কূটনীতিকরা মনে করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক আরও বাড়বে। বাংলাদেশকে বিদেশীরা দুর্যোগের দেশ হিসেবে জেনে এসেছে। কিন্তু এখন আগের বাংলাদেশ নেই। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ যে অচিরেই একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে তাই নয়, বাংলাদেশই হবে পরবর্তী এশিয়ান টাইগার এবং দেশটির জনগণই এটি সম্ভব করে তুলবে। বর্তমানে অধিকাংশ বিদেশী কূটনীতিকরা বলছেন, সরকারের নেয়া এসব পদক্ষেপ উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।
©somewhere in net ltd.