![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, জিয়া সৌদি আরবে নিম গাছ রোপণ করেছিল, সেই নিম গাছকে সে দেশে ডাকা হয় “জিয়া ট্রি” নামে, সেই নিম গাছগুলোর সুশীতল ছায়াতলে হাজীরা বিশ্রাম নেন, জিয়ার পুণ্যের কারনে বাংলাদেশিরা জান্নাতে প্রবেশ করবে ইত্যাদি। অথচ তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, “জিয়া ট্রি” নামকরণের পিছনে যার নাম রয়েছে সে হচ্ছে পাকিস্তানী সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউল হক, বাংলাদেশী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নয়। শুনা যায়, পাকিস্তানী স্বৈরশাসক জিয়াউল হক সৌদি আরবে সবুজায়নে অবদান রেখেছিল। আর এই গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল ১৯৮৬, ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে অর্থাৎ ১৯৮১ সালে বাংলাদেশী জিয়ার মৃত্যুর অনেক পরে। উল্লেখ্য, সৌদি সরকার ১৯৮৩-১৯৮৪ সালে প্রথম আরাফাতের ময়দানে বৃক্ষ রোপণের প্রকল্প গ্রহন করে। বিএনপির এসকল প্রচারণায় এদেশের ধর্মীয় অনুভূতি সম্পন্ন মানুষেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। অথচ বঙ্গবন্ধু যে পবিত্র কাবা শরিফের জন্য সৌদি বাদশাহকে গিলাফ পাঠিয়েছিলেন, স্বল্প আয়ের মানুষদের কম খরচে হজ্জ পালনের সুবিধার্থে “হিজবুল বাহার” নামক জাহাজ ক্রয় করেছিলেন (যা পরবর্তীতে জিয়া প্রমোদ তরী হিসেবে ব্যাবহার করেছিল), স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়া সৌদি আরবে এদেশের মানুষের হজ্জ পালনের জন্য মিশরের সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন এই বিষয়গুলোর দিকে কেউ নজর দেয় না। আর দিবেইবা কেন? আওয়ামী লীগতো আর বিএনপির মত ধর্মকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিল করতে প্রচারণা চালায় না। বিএনপির কাছে দেশের সাধারন মানুষের প্রশ্ন, জিয়া নিজের দেশের নিজের এলাকার খরা পীড়িত অঞ্চলেইবা কয়টি “জিয়া ট্রি” লাগিয়েছিল?
©somewhere in net ltd.