নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির সামনে গণতন্ত্রের মুখোশ, মুখোশের পিছনে জামাতের জঙ্গীবাদ, উদ্দেশ্য তাদের একটাই, ৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া এবং বাংলাদেশে তালেবানী শাসন কায়েম করা

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩



জিয়া বিএনপি সৃষ্টি করেছে অবৈধ পথে দখল করা ক্ষমতাকে গণতন্ত্রের মুখোশে ঢেকে রাখার জন্য, যে বিএনপি সৃষ্টির জন্য পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা-আইএসআই। আইএসআই চেয়েছে, বিএনপির মাধ্যমে ৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে, বাংলাদেশে আইএসআইএর দোসর স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত আর জঙ্গীবাদীদের শাসন কায়েম করতে। আইএসআই এর সেই মিশন বাস্তবায়ন করতে জিয়া ১১০০ যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে মুক্ত করে দেয়, গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে, বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনীদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা ও বিদেশী দুতাবাসে চাকুরি প্রদান করে, দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনাঅফিসার হত্যা করে। জিয়ার সেই ধারাবাহিকতাই রক্ষা করেছে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিল, রাজাকারদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল, বাংলাভাই-ইংরাজীভাই জঙ্গীগোষ্ঠীকে লালন-পালন-পরিপুষ্ঠ করেছিল, তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশ থেকে অবৈধপথে অস্ত্র আমদানী করা হয়েছিল, আহসানউল্লাহ মাস্টার-শাহ এসএম কিবরিয়াসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূণ্য করার চেষ্টা চলেছিল, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেণেড হামলা করে হত্যা করার চেষ্টা চলেছিল, সারাদেশে গ্রেণেড হামলা-বোমাবাজি চলেছিল, বাঙালী সংস্কৃতি-রীতি-নীতির উপর আঘাত করা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন-অনৈক্য-বিভেদ দুর করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল নিয়ে মহাজোট গঠিত হওয়ার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মহাজোট সরকার আসীন হয়, ফলে আইএসআই এর জঙ্গীবাদী মিশন স্থবির হয়ে পড়ে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী এসব রাজনৈতিক ঘটনাকে বিবেচনায় নিতে হবে। সৃষ্টি থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি কখনো গণতান্ত্রিক চর্চা করেনি, গণতন্ত্রের পথে চলেনি। তাই যারা বিএনপিকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির অংশ হিসাবে বিবেচনা করেন, তারা ঐতিহাসিক ভুল করছেন। বিএনপিকে রাজনীতিতে রেখে কখনোই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের পুনর্জাগরণে শরীক হয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশে সোচ্চার থাকতে হবে দেশের সাধারন মানুষকে এবং স্বাধীনতাবিরোধী-জঙ্গীবাদীদের বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.