![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশের বড় দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি। ১৯৯০ সালের পর থেকে পালাক্রমে এ দুই দলই দেশের সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আসছে। অবশ্য ব্যতিক্রম ঘটেছে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আরোহণ করে। এদিকে জনসমর্থনের ভিত্তিতে এ দুই দল দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে এগিয়ে থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে কার্যত সুবিধাজনক অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিভিন্ন সময় হুংকার দিয়েও আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে ব্যর্থ বিএনপি। আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে অন্তর্কোন্দল মিটিয়ে দলকে গুছিয়ে নিতে শুরু করলেও বিএনপি তা পারছে না। কেন্দ্র-তৃণমূল দ্বন্দ্বেই নাকাল দশা বিএনপির।দল গুছিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলেই নাকাল দলটি। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সহসাই সরকারবিরোধী আন্দোলনে যেতে পারছে না দলটি। যার জন্য সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রশ্নে ধীরে চলো নীতিতে এগোচ্ছেন খালেদা জিয়া। দেশব্যাপী সফর করেও তৃণমূলের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনে ব্যর্থ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের তৎপরতাহীনতাকেই দায়ী করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, শুধু ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখার মধ্য দিয়েই গণসংযোগ কর্মসূচি শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া বিগত আন্দোলনে রাজপথে নিষ্ক্রিয় নেতাদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী গণসংযোগ করারও সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে তৃণমূল বিএনপি। নিষ্ক্রিয় নেতাদের দিয়ে তৃণমূলে গণসংযোগ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের আগ্রহ ছিল কম। কারণ বিগত আন্দোলন তৃণমূলে সফল হলেও ব্যর্থ হয় ঢাকা মহানগরে। কারণ কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো আন্দোলনেই সক্রিয় ভূমিকা রাখেননি।জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণার পর থেকে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।এই বিভক্তি দিনে দিনে প্রগাঢ় হয়ে বর্তমানে কোন্দলে রূপ নিয়েছে। নিজ দলের কোন্দল ঠেকাতেই চাপে থাকা বিএনপি এখন মুখে মুখে সরকার পতনের আন্দোলনের বুলি ছেড়ে গায়ের ঝাল ঝেড়ে ফেলছে মাত্র।
©somewhere in net ltd.