নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে ও বিশ্বাসে গোলাম আযম পাকিস্তানী ছিল, পাকিস্তানী আছে ও থাকবে

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮





বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের যদি একটি তালিকা করা হয় তাহলে গোলাম আযমের নাম স্বাভাবিকভাবে প্রথম দশের ভেতরেই পড়ে। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও হাতেগোনা যে কয়েকজন পূর্ব পাকিস্তান ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে তাদের মধ্যেও গোলাম আযমের নাম প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে। রাজা ত্রিদিব রায়, মাহমুদ আলী (এককালের বামপন্থী ও পরবর্তীতে পাকিস্তানের মন্ত্রী) বা হাজেরা মাহমুদের মতো ব্যক্তিরা পাকিস্তানে থেকে গিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের পাকিস্তানপ্রীতিকে বজায় রেখেছে। গোলাম আযম সেই ব্যক্তি যে পাকিস্তানের হাতের পুতুল হয়েই কেবল বসে থাকেনি ১৯৭১ সালে, বরং স্বউদ্যোগে পাকিস্তানীদের সহযোগী বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে তার নেতৃত্ব দিয়েছে বাঙালী নিধনে এবং গোটা ৯ মাসের যুদ্ধকালে তার অপকর্মের ভূরি ভূরি প্রমাণ আমাদের সামনে রয়েছে। একটি স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য যেখানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের নিষ্ঠুর শাস্তি হওয়ার কথা ছিল ঠিক সেখানেই তাকে এদেশে ফিরিয়ে আনা হলো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের রাষ্ট্রচরিত্র বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রকাঠামোকে দুর্বল করার যে ছক কাটা হয়েছিল, সেই ছকে গোলাম আযম গংকে দেশে ফিরিয়ে আনাটা কেন জরুরী হয়ে পড়েছিল, তা খানিকটা ব্যাখ্যা করা দরকার। বিশেষ করে গোলাম আযম ততদিনে পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাকিস্তানী পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত। ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়েই কেন গোলাম আযমকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন বোধ করলেন নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও, সে প্রশ্ন তোলাটা অযৌক্তিক হবে না নিশ্চয়ই। আমাদের সরল ব্যাখ্যায় যে কারণটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে তা হলো-জেনারেল জিয়া আসলে ‘পাকচক্রে’ মুক্তিযোদ্ধা, এখানে পাকচক্র বলতে পাকিস্তানী চক্র বোঝাতে চাইছি। পাকিস্তানীদের যে ফর্মুলা নিয়ে এগোচ্ছেন তাতে তার রাজনীতি ও রাজনীতির ফাঁদ কিছুকালের মধ্যেই বুদ্ধিমান বাঙালী ধরে ফেলবে এবং সেটা যাতে না হয় সেজন্য তিনি এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রণয়নের নামে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে উন্মুক্ত করলেন এবং গোলাম আযম গংকে দেশে ফিরিয়ে আনলেন। উদ্দেশ্য একটাই, তার সৃষ্ট রাজনৈতিক দলের জন্য একটি ‘জড়ুয়া ভাই’ তখন অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানাতে হলে গোলাম আযমদের ফিরিয়ে না আনা ছাড়া জিয়াউর রহমানের কাছে বিকল্প কিছু ছিলও না। গোলাম আযম পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে এলো, রাজনীতি করার সুযোগ পেল, যদিও এ দেশের সংবিধানে বিদেশীদের রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই। যেখানে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য তার বিচার হওয়ার কথা সেখানে সে পেল এ দেশেরই মানুষের মাথার ওপর ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্র ও ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আজকে যে বিশাল বিষবৃক্ষকে গোলাম আযম বাঙালীর জন্য রেখে গেল তার নাম জামায়াতে ইসলামী, তার নাম জঙ্গীবাদ, তার নাম রাজনৈতিক ইসলাম, তার অপর নাম ইসলামের নামে ব্যবসা। গোলাম আযম তার জীবদ্দশায় ৭১ সালে তার কৃত কর্মের জন্য অনুতাপ করেন নাই, বাংলাদেশকে স্বীকার করেন নাই। মনে ও প্রানে গোলাম আযম পাকিস্তানী ছিল পাকিস্তানী আছে ও থাকবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.