![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রয়াত বাদশা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মালিকানাধীন ১২০ একর জমিতে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এই হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এতে খরচ হবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা রাঙ্গুনিয়ার এই বিশাল জমিতে অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক সুবিধা সম্বলিত একটি হাসপাতাল নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু হবে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের আমন্ত্রণে তৎকালীন আরব আমিরাতের বাদশা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান চট্টগ্রাম ও কাপ্তাই সফর করেন। কাপ্তাই পার্বত্য এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে বাদশা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীতীরে প্রাকৃতিক পরিবেশের সুবিশাল জায়গাটি দেখে সেখানে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে অবকাশযাপন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সরকার মাত্র ১০১ টাকা প্রতীকী মূল্যে বাদশা আল নাহিয়ানকে পোমরার ১২০ একর জমি হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে জায়গাটির মালিকানা পায় বাদশা আল নাহিয়ান পরিবার। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জায়গাটি বুঝে নিয়ে সেখানে প্রাসাদ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। মধ্যপ্রাচ্যের ধরনে সুবিশাল দুটি তোরণ নির্মাণ, যাতায়াতের জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ এবং চতুর্পাশে প্রাচীর নির্মাণ করে প্রাসাদ নির্মাণের উপযোগী করা হয় জমিটি। প্রায় তিন বছরের বেশি সময় প্রাসাদ নির্মাণের কাজ চলার পর অজ্ঞাত কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন বাদশা আল নাহিয়ান। বাংলাদেশ সরকারও অসাধারণ সুন্দর পরিবেশের এই জমি কোনো কাজে লাগাতে পারছিল না। প্রায় ১৫ বছর ধরে আমিরাতের প্রকল্পটি পরিত্যক্ত থাকায় বিশাল জমি কাজে লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে ঐ জমিতে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল নির্মাণে ইচ্ছা প্রকাশ করেন আরব আমিরাতের সরকার।
©somewhere in net ltd.