![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দুই লাখের বেশি হকার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কণ্ঠে হাহাকারের ধ্বনি। সম্প্রতি হরতালে দুই লাখ পরিবারে ৫ করে প্রায় ১০ লাখ লোক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিএনপির পরামর্শে জামায়াতের ডাকা হরতালে ব্যবসায়ী ও হকারদের ব্যবসার লাভের আশা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। হরতালের কারণে বেশির ভাগ দিনই তারা দোকান-পাট খুলতে পারছেন না। এতে প্রতিদিন তার সুদের বোঝাতো বাড়ছেই, তারউপর কেনা কাপড়গুলোও বিক্রি করতে পারছেন না। দুশ্চিন্তায় চোখে ঘুম নেই। বড় ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। সব ক্ষতি গরিবের। এই রকম অহেতুক হরতাল চলতে থাকলে গরিব না খেয়ে মরবে। তাদের সংসার চালানো ও দুবেলা ডাল-ভাত খাবার জোগানোই দায় হয়ে পড়েছে। প্রায় সবাই এসময় বেকার থাকে। ইদানীং হরতালে আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুণ। বেড়েছে জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর, ককটেল ফোটানোসহ বোমাবাজি। এতে রয়েছে জীবনের ঝুঁকিও। অনেক হকারই ফুটপাতের দোকান খুলতে পারছেন না। যারাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুলছেন। ক্রেতার অভাবে তাদেরও কোন পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। আতঙ্কে আছেন কখন মিছিল আসে, বোমাফোটে, আগুন লাগে। হরতাল, মিছিল মিটিংসহ যেকোনো কর্মসূচিই শেষ পর্যন্ত ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের উপর এসে পড়ে। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা দিনে রোজগার করে দিনে খায়। তাদের সঞ্চয় বলতে তেমন কিছু থাকে না। অনেকে আবার সুদের ওপর টাকা নিয়ে মাল কিনে। তাই একদিন বেচাকেনা বন্ধ থাকলে আয়তো যায়ই, বাড়ে সুদের দেনা। পরিবার পরিজন নিয়ে কয়েক লাখ হকারকে না খেয়ে থাকতে হয়। শুধু হকাররা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে না, এর সঙ্গে মহাজন, মাল প্রস্তুত কারক, মালিক, কর্মচারী, তাদের পরিবার পরিজন সবাই ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে। তাই দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিরোধীদের এই ধরণের ধ্বংসাত্মক ও মরননাশী হরতাল রুখে দিতে সরকারের তথা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
©somewhere in net ltd.