![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সামাজিক প্রায় সব সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। যদিও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখনো ৬০ শতাংশ কম। অথচ ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই প্রতিবেশী দেশ ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। ভারতের মানুষ দ্বিগুণের বেশি আয় করলেও স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর বাংলাদেশের মানুষ গড়ে তাদের তুলনায় তিন বছর বেশি বেঁচে থাকে। তবে ভারতের তুলনায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে মেয়েরা। ভারতের মেয়েদের তুলনায় বাংলাদেশের মেয়েদের শিক্ষার হার ৬ শতাংশ পয়েন্ট বেশি, নারীপ্রতি জন্মহারও দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট কম। বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ও ভারতের তুলনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০ থেকে ৭০ ডলার। আর ভারতের ছিল ১১৬ ডলার। আর এখন ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৮৮৩ ডলার এবং ভারতের আয় তিন হাজার ৮৭৬ ডলার। সুতরাং, বর্তমান সরকারের যুগান্তকরী প্রচেষ্টায় সামাজিক সূচকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা এবং লিঙ্গ সমতার বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সচেতনতা ও উদ্যোগের কারণে তা সম্ভব হয়েছে। নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন তাঁর নিজের দেশ ভারতের তুলনায় সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের এই সাফল্যের কথা বারবার লিখেছেন। তিনি তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যান আনসারটেইন গ্লোরি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস কনট্রাডিকশন্স বইয়ে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে আলাদা একটি অধ্যায়ও রেখেছেন। এমতাবস্থায় বর্তমান সরকারের উচিত হবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুলভ শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে রপ্তানিনির্ভর দ্রুতগতি ধরে রাখা, অর্থনৈতিক বৈষম্য সীমিত রেখে সামাজিক ভারসাম্য বজায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক সুশাসনে একই সঙ্গে অগ্রগতির দৃষ্টান্ত তৈরি করা।
©somewhere in net ltd.