![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বিএনপিসহ দেশী-বিদেশী গোষ্ঠীর আশীর্বাদে বাইরে যতই হুঙ্কার দিক না কেন ইতিহাসে সবচেয়ে সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত উগ্রবাদী গোষ্ঠী জামায়াত-শিবির। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের আদলে প্রতিষ্ঠিত হলেও জামায়াতীরা এবার অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। নেতৃত্বে চলছে মহাসঙ্কট। যুদ্ধাপরাধসহ নানা অপকর্মের দায়ে শীর্ষ নেতারা কারান্তরীণ। গোলাম আযমসহ কয়েকজন নেতার মৃত্যুর সঙ্গে একের পর এক ফাঁসির রায়ে এ সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে। মামলায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সারির অধিকাংশ নেতা দীর্ঘদিন কারাগারে আটক থাকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্তরের অনেকটা সাধারণ নেতাকর্মীরা দিচ্ছেন দলের নেতৃত্ব। যার ফলে কর্মসূচী দেয়া কিংবা অন্য কোন বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সমন্বয়ও করতে পারছে না। নেতৃত্বের সঙ্কট এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, কোন সিদ্ধান্তই এখন আর জামায়াত ঠিকভাবে নিতে পারছে না। আবার গোপন বৈঠক করে কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেও নেতারা জড়িয়ে পড়ছেন মতবিরোধে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কোন পথে যাচ্ছে জামায়াত। রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমনকি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, অন্তত পাঁচটি কারণে এই মুহূর্তে জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীটি। কারণগুলো হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একের পর এক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির আদেশ ও রায় কার্যকরের উদ্যোগ তাদের গুরু গোলাম আযমের মৃত্যু, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং মানবতাবিরোধিতার বিচার বন্ধে ক্রমশ বিদেশীবন্ধু রাষ্ট্রগুলোর হস্তক্ষেপ ও প্রভাব হ্রাস। নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে সঙ্কট আরও ঘনিভূত হয়েছে দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে। শীঘ্রই বিল আকারে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে উত্থাপনের প্রস্তুতি রয়েছে। জনরোষের ভয়ে দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপিও সেভাবে সমর্থন করতে পারছে না জামায়াতকে, যা জামায়াতের চিন্তার আর এক কারণ। চিন্তায় তাদের কপালে বলি রেখা পড়ে গেছে, চোখের নীচে কালো দাগ পড়েছে। পাকি মন্ত্রী তাদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন । তাতে কি শেষ রক্ষা হবে, হবে না। ১৬ কোটি বাঙ্গালীর দেশে গোটি কয়েক জামাত শিবির দেশের উন্নয়নে বাঁধা দিতে পারবে না। তারা বিলিন হয়ে যাবেই।
©somewhere in net ltd.