![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সারাদেশে শিবির করাকে এখন আর ভাল চোখে দেখছে না পরিবারগুলো। আসছে সংসার থেকে ও চাপ। শিবির নেতাকর্মীদের বাবা-মা ভাই-বোনরাও আছেন আতঙ্কে। ছেলে কখন ধরা পড়ে। কখন কারাগারে যায়। কখন সংঘর্ষে পড়ে এই উদ্বেগ তাদের নিত্যসঙ্গী। অনেক অভিভাবকই চাইছেন তার সন্তানরা শিবির ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। অনেক অভিভাবক অভিযোগ করছেন, তাদের সন্তানদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ অনেকেই জেনে গেছেন জামায়াত-শিবির যত না ইসলামী সংগঠন তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। শিবিরের এইসব সঙ্কট নিয়ে দলের নেতারা কেউ মুখ খুলছেন না। প্রতি মুহূর্তে তারা মোবাইলের সিম বদলান ধরা পড়ার ভয়ে। থাকারও নির্দিষ্ট জায়গা নেই। এদিকে এসব প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সংগঠনটির রিক্রুটমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। তরুণরা নতুন করে কেউ শিবিরে যোগ দিচ্ছে না। কারণ শিবির পরিচয়টি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণ মানুষের মধ্যে শিবিরের গ্রহণযোগ্যতা এখন নেতিবাচকতার সর্বনিম্ন পর্যায়ে। গণজাগরণ মঞ্চ শিবিরকে অনেকটাই কোণঠাসা করতে পেরেছে। গণজাগরণ মঞ্চ তরুণদের মধ্যে একটি বিষয় অন্তত ছড়িয়ে দিতে পেরেছে যে, জামায়াত-শিবির এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী। এ বিষয়টিও ভাবিয়ে তুলেছে শিবিরকে। অভিভাবকরা মনে করে তাদের সন্তান যেন শিবির না হয়। দেশ বিরোধী এই সংগঠন শিবির কর্মীদের কোন ভালো জীবন উপহার দিতে পারবে না।
©somewhere in net ltd.