![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সারা জীবন রাজনীতির পাঠ পড়লেন, রাজনীতি করলেন, সেমিনার সিম্পজিয়াম করলেন, ভুরি ভুরি বই লিখলেন কিন্ত গণমানুষের নেতা হতে পারলেন না ডঃ বদরুদ্দিন উমর, থেকে গেলেন শহুরে বুদ্ধিজীবী হয়ে। বাঙ্গালী জতিসত্তার নেতা জাতির পিতাকে নিয়ে অপাংতেয় কথা বার্তা বলে পত্রিকার পাতায় শিরোনাম হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। ১৯৬৯ সালে যে সব নেতা জাতির পথ নির্দেশনা দিতে পারে নাই, যেমন কমরেড তোহা, আব্দুল হক, আব্দুল মতিন- আলাউদ্দিন সুখেন্দদু দস্তিদার, বদরুদ্দিন উমর শুধু বুক চাপড়িয়েছেন হা হুতাস করে বাতাস ভারি করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেছেন। গুটি কয়েক সঙ্গি-সাথী নিয়ে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা না বলে মুজিব ভাই বলে ডেকেছেন। ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে জয় লাভ করে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী নেতা রুপে আত্মপ্রকাশ করেন। তার সমসাময়িক নেতারা আর উঠে আসতে পারলেন না। তাই তাদের মনে রয়ে গেল, না পাওয়ার বেদনা। কথা সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদ বলেছেন ব্যর্থ মানুষের জ্বালার শেষ নেই। ঠিক তেমনি আমাদের রাজনীতির মাঠে ডঃ বদরুদ্দিন উমর একজন ব্যর্থ মানুষ । ৫০ বছরের বেশী সময় তিনি রাজনীতি করলেন, কিন্তু সাবেক ১৯ টি জেলায় তার কোন কমিটি নেই, নয়া পল্টনে একটা জনসভা করার মুরদ নেই। নাম সর্বস্ব একটা অফিস আছে যাতে তিনি মাঝে মাঝে বসেন লেখালেখি করেন। অন্য কোন দল আলোচনা সভা করলে অথিতি বক্তা হিসাবে নিজের না পাওয়া মনের জালা ব্যক্ত করেন। এই হলো জ্ঞান পাপি বুদ্ধিজীবী ডঃ বদরুদ্দিন উমরের দৈনন্দিন জীবনের ডায়েরী। না পাওয়ার বেদনা, ব্যর্থতার অনলে সারাটি জীবন পুড়ে ছাড়-খার হচ্ছে প্রতিটি মুহুর্ত পাশাপাশি জ্বালা মিটাতে তিনি এখন পাগলের প্রলাপ বকছেন এমন কি শেষমেষ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে জাতির পিতা অস্বীকার করে শাসক শ্রেনীর পিতা বলে শিরোনামে উঠতে ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত হলেন।
©somewhere in net ltd.