নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলাকাশ

নিলাকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট ক্রয় ? অভিজ্ঞতা বিনিময়

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫


সম্প্রতি কেউ কি ব্যাংক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন ?

ঢাকা শহরে একটা ফ্লাটের মালিক হওয়া সবার সারা জীবনের সপ্ন । কিন্তু টাকার অভাবে সবার সম্ভব হয়না । কারো বা পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাঙ্কের দারস্ত হতে হয় । ব্যাংক লোন নিতে গিয়ে অনেকের নানান রকম অভিজ্ঞতা হয় । এ নিয়ে চলুন অভিজ্ঞতা বিনিময় করি ।

কারো কোন অভিজ্ঞতা থাকলে, হোক তা ভালো বা খারাপ, শেয়ার করুন প্লিজ ।
কিংবা কোন পরামর্শ থাকলে জানান প্লিজ ।
ব্যাংক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে গেলে কী কী বিষয় খেয়াল রাখা উচিত ?

অভিজ্ঞতা শেয়ারকারীদের জন্য আগাম ধন্যবাদ ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এই লিংক টা পড়ে দেখুব

আশায় ব্যাংকের দ্বারস্থ হই। এক পর্যায়ে একটি বেসরকারি হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানি ১০.৭৫% হারে ঋণ দিতে সম্মত হয়।
ফ্লাট কেনার জন্য হাতে সময় কম থাকায় বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) এ না গিয়ে ওই কোম্পানির সাথে ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর চুক্তিবদ্ধ হই। বিএইচবিএফসিতে তখন কিছুটা কম সুদে ঋণ দেওয়া হত। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সুদের হার যখন যা হবে সে অনুযায়ী উত্তোলিত ঋণের সুদ প্রযোজ্য হবে।
ভালো কথা, দশ বছর মেয়াদি অর্থাৎ একশত বিশ কিস্তিতে তা পরিশোধের শর্তে রাজী হই। মাসিক কিস্তি ১৩৬৩৪/- টাকা।
লিজিং কোম্পানিকে মাসিক কিস্তি দেয়া শুরু করলাম। আরে দেখি কী, তিনমাস পরই সুদের হার বেড়ে ১৩% হয়ে গেল। প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু লাভ হলো না। তাদের কথা, বর্তমানে সুদের হার বেশী তাই চুক্তি অনুযায়ী তা আপনাকে দিতে হবে। এভাবে সুদের হার বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে ১৬.৭৫% এসে দাঁড়ালো। আমি চিন্তা করলাম কিভাবে অতিরিক্ত সুদ থেকে বাঁচা যায়।
এজন্য কিস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে প্রথমে ১৯০২৩ টাকা ও পরবর্তীতে তা আবার ২৪৫১২ করি। দেখা গেল সুদ আর আশানুরুপ কমছে না। একপর্যায়ে এককালীন টাকাও জমা দেই। এতে কিছুটা কাজ হলো। সুদের পরিমাণ কমল। পরে বুঝলাম চুক্তির সময়ই মূল সমস্যা হয়েছে। তখন যদি ফিক্সড সুদে চুক্তি করতাম, হয়তো সুদের হার ১০.৭৫% এর স্থলে বড়জোড় ১২% হতো। যাক যা হবার হয়েছে, তা চিন্তা করে লাভ নেই।
এক পর্যায়ে খবর পেলাম, সুদের হার কমা শুরু হয়েছে। খুশি হলাম এবার হয়ত আমার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু যেভাবে বৃদ্ধির সময় সুদের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ত, কমার সময় তা আবার খুব ধীর গতিতে নামল। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিলে এসেও তা ১৪% এর নীচে নামল না। মজার ব্যাপার হলো, নতুন ঋণ গ্রহীতাদের বেলায় তখন সুদের হার ক্ষেত্র ভেদে ৯.৫%।
নিয়মিত কিস্তি দেয়ার পরও সুদ কিভাবে আসত তার একটি উদাহরণ দেয়া প্রাসঙ্গিক মনে করছি। জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০১৩ অর্থাৎ বৎসরে ১৬৩,৬০৮.০০ টাকা পরিশোধ করা হয়। তন্মধ্যে মূল টাকা ১২,৩৫৮, সুদ ১৫১,২৫০ টাকা। যা দেখে রীতিমত আমার ভড়কে যাওয়ার অবস্থা।
এ অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে মাসিক কিস্তি বাড়ানোর পাশাপাশি এককালীন টাকা জমা দেয়ার পরিমাণও বাড়িয়ে দেই। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল এককালীর দুই লক্ষ টাকা জমা দেয়া হয়।
তারপরও ৩০ জুন এর হিসাব অনুযায়ী সুদ হিসেবে আসে ১,০৭,২৪৪ টাকা, আর মূল টাকা ১,২২,৩৮৬ হয় যা আমার গৃহীত ঋণ থেকে বাদ যায়। অবশেষে অনেক কষ্ট করে এককালীন অনেক টাকা একসাথে জমা দেই। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ অবশিষ্ট ২৯১০৪ টাকা জমা দিয়ে এই হাউজিং কোম্পানি থেকে নিষ্কৃতি পাই।
ঋণ করে ফ্লাট কিংবা বাড়ি কেনা ছাড়া মধ্যবিত্তের খুব একটা উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সুদের হার নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। আলাপ আলোচনা করে সুদের হার ফিক্সড করা দরকার। আর যারা সুদ দিয়ে বাড়ি কিংবা ফ্লাট কিনতে চান না তাদের বিষয়টি আলাদা। তারা নিশ্চয় নিজস্ব পরিকল্পনা মাফিক আগাবেন। ঋণ গ্রহণ ছাড়া ফ্লাট কিংবা বাড়ি করতে পারলে তো ভালো হয়।
২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একটি পত্রিকায় সংবাদ দেখি যে, বাড়ি নির্মাণে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। বাড়ি নির্মাণে সুদের হার ৯.৫%, ফ্লাট কেনায় ১০%। সংবাদটি পড়ে ভালো লাগল যে সরকারি প্রতিষ্ঠান তো, গ্রাহক সুদের যাঁতাকল থেকে কিছুটা হলেও বাঁচবে। তবে অনেক সময় সহজে ও কম সময়ে ঋণ পাওয়ার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। তখন যেন সুদের হারের বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া আবাসন খাত বিকাশের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপশি বেসরকারি ব্যাংক, লিজিং খাতের ভূমিকাও ব্যাপক।
ঋণ ছাড়া স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করা মধ্যবিত্তের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দুরাশা। এক্ষেত্রে সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া নিম্নবিত্তদের আর কোন উপায় থাকে না।
সুন্দর স্বপ্নদেখা দোষের কিছু নয়। আমাদের প্রত্যাশা, দেশ আরো অনেক উন্নত হবে, ২০২৪ সালে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। জিডিপির গ্রোথও প্রতি বছর বাড়ছে। আশা করি এক সময় নিম্ন মধ্যবিত্ত, গরীব কিংবা সাধারণ নাগরিকদের থাকার জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা পর্যায়ক্রমে করার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এই লিংক টা পড়ে দেখুব

আশায় ব্যাংকের দ্বারস্থ হই। এক পর্যায়ে একটি বেসরকারি হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানি ১০.৭৫% হারে ঋণ দিতে সম্মত হয়।
ফ্লাট কেনার জন্য হাতে সময় কম থাকায় বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) এ না গিয়ে ওই কোম্পানির সাথে ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর চুক্তিবদ্ধ হই। বিএইচবিএফসিতে তখন কিছুটা কম সুদে ঋণ দেওয়া হত। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সুদের হার যখন যা হবে সে অনুযায়ী উত্তোলিত ঋণের সুদ প্রযোজ্য হবে।
ভালো কথা, দশ বছর মেয়াদি অর্থাৎ একশত বিশ কিস্তিতে তা পরিশোধের শর্তে রাজী হই। মাসিক কিস্তি ১৩৬৩৪/- টাকা।
লিজিং কোম্পানিকে মাসিক কিস্তি দেয়া শুরু করলাম। আরে দেখি কী, তিনমাস পরই সুদের হার বেড়ে ১৩% হয়ে গেল। প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু লাভ হলো না। তাদের কথা, বর্তমানে সুদের হার বেশী তাই চুক্তি অনুযায়ী তা আপনাকে দিতে হবে। এভাবে সুদের হার বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে ১৬.৭৫% এসে দাঁড়ালো। আমি চিন্তা করলাম কিভাবে অতিরিক্ত সুদ থেকে বাঁচা যায়।
এজন্য কিস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে প্রথমে ১৯০২৩ টাকা ও পরবর্তীতে তা আবার ২৪৫১২ করি। দেখা গেল সুদ আর আশানুরুপ কমছে না। একপর্যায়ে এককালীন টাকাও জমা দেই। এতে কিছুটা কাজ হলো। সুদের পরিমাণ কমল। পরে বুঝলাম চুক্তির সময়ই মূল সমস্যা হয়েছে। তখন যদি ফিক্সড সুদে চুক্তি করতাম, হয়তো সুদের হার ১০.৭৫% এর স্থলে বড়জোড় ১২% হতো। যাক যা হবার হয়েছে, তা চিন্তা করে লাভ নেই।
এক পর্যায়ে খবর পেলাম, সুদের হার কমা শুরু হয়েছে। খুশি হলাম এবার হয়ত আমার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু যেভাবে বৃদ্ধির সময় সুদের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ত, কমার সময় তা আবার খুব ধীর গতিতে নামল। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিলে এসেও তা ১৪% এর নীচে নামল না। মজার ব্যাপার হলো, নতুন ঋণ গ্রহীতাদের বেলায় তখন সুদের হার ক্ষেত্র ভেদে ৯.৫%।
নিয়মিত কিস্তি দেয়ার পরও সুদ কিভাবে আসত তার একটি উদাহরণ দেয়া প্রাসঙ্গিক মনে করছি। জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০১৩ অর্থাৎ বৎসরে ১৬৩,৬০৮.০০ টাকা পরিশোধ করা হয়। তন্মধ্যে মূল টাকা ১২,৩৫৮, সুদ ১৫১,২৫০ টাকা। যা দেখে রীতিমত আমার ভড়কে যাওয়ার অবস্থা।
এ অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে মাসিক কিস্তি বাড়ানোর পাশাপাশি এককালীন টাকা জমা দেয়ার পরিমাণও বাড়িয়ে দেই। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল এককালীর দুই লক্ষ টাকা জমা দেয়া হয়।
তারপরও ৩০ জুন এর হিসাব অনুযায়ী সুদ হিসেবে আসে ১,০৭,২৪৪ টাকা, আর মূল টাকা ১,২২,৩৮৬ হয় যা আমার গৃহীত ঋণ থেকে বাদ যায়। অবশেষে অনেক কষ্ট করে এককালীন অনেক টাকা একসাথে জমা দেই। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ অবশিষ্ট ২৯১০৪ টাকা জমা দিয়ে এই হাউজিং কোম্পানি থেকে নিষ্কৃতি পাই।
ঋণ করে ফ্লাট কিংবা বাড়ি কেনা ছাড়া মধ্যবিত্তের খুব একটা উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সুদের হার নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। আলাপ আলোচনা করে সুদের হার ফিক্সড করা দরকার। আর যারা সুদ দিয়ে বাড়ি কিংবা ফ্লাট কিনতে চান না তাদের বিষয়টি আলাদা। তারা নিশ্চয় নিজস্ব পরিকল্পনা মাফিক আগাবেন। ঋণ গ্রহণ ছাড়া ফ্লাট কিংবা বাড়ি করতে পারলে তো ভালো হয়।
২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একটি পত্রিকায় সংবাদ দেখি যে, বাড়ি নির্মাণে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। বাড়ি নির্মাণে সুদের হার ৯.৫%, ফ্লাট কেনায় ১০%। সংবাদটি পড়ে ভালো লাগল যে সরকারি প্রতিষ্ঠান তো, গ্রাহক সুদের যাঁতাকল থেকে কিছুটা হলেও বাঁচবে। তবে অনেক সময় সহজে ও কম সময়ে ঋণ পাওয়ার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। তখন যেন সুদের হারের বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া আবাসন খাত বিকাশের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপশি বেসরকারি ব্যাংক, লিজিং খাতের ভূমিকাও ব্যাপক।
ঋণ ছাড়া স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করা মধ্যবিত্তের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দুরাশা। এক্ষেত্রে সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া নিম্নবিত্তদের আর কোন উপায় থাকে না।
সুন্দর স্বপ্নদেখা দোষের কিছু নয়। আমাদের প্রত্যাশা, দেশ আরো অনেক উন্নত হবে, ২০২৪ সালে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। জিডিপির গ্রোথও প্রতি বছর বাড়ছে। আশা করি এক সময় নিম্ন মধ্যবিত্ত, গরীব কিংবা সাধারণ নাগরিকদের থাকার জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা পর্যায়ক্রমে করার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: eTao দেখুন

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এই লিংক টি আপনার সবচাইতে বেশি কাজে দিবে ।

মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের জন্য গৃহঋণ দেয়া হয়ে থাকে। তবে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন ঢাকা মহানগরী এবং চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকার জন্য এই ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। ১ হাজার ৪শ’ ২৯ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের জন্য ৩ হাজার ৫শ’ টাকা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকায় ১ হাজার ৬শ’ ৬৭ বর্গফুট ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের নির্মাণের জন্য ৩ হাজার টাকা গৃহঋণ দিয়ে থাকে এবং ঋণের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকা। ঋণের আবেদনকারীকে মোট বিনিয়োগের ২০% নিজস্ব বিনিয়োগ থাকতে হবে। বাকি ৮০% হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স বিনিয়োগ করে। সুদের হার ১২ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সর্বোচ্চ ১৫ বছর।
এইচএসবিসি ব্যাংক
ফ্ল্যাটের মূল্যের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত হোম লোন দিচ্ছে এইচএসবিসি ব্যাংক। কোন ধরণের ব্যক্তিগত জামানত ছাড়াই ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে। ঋণ গ্রহীতার যোগ্যতা হচ্ছে চাকরিজীবী হলে মাসিক আয় ৪০ হাজার টাকা হলে তাহলে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। আর ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে মাসিক ৫০ হাজার টাকা। পরিশোধের সময়সীমা ১৫ বছর।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
তিন বছরের মেয়াদের চাকরিজীবী, পেশাজীবী ও ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে পারেন। সহজ ডকুমেন্টশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংকটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ঋণ অনুমোদন করে।
ন্যাশনাল ব্যাংক
ফ্ল্যাট ও বাড়ি বর্ধিতকরণে ন্যাশনাল ব্যাংক গৃহঋণ রয়েছে। ফ্ল্যাট কেনার জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা ঋণ সুবিধা রয়েছে। যা ১৫ বছরের কিস্তিতে শোধ করতে হবে। আর বাড়ি বর্ধিতকরণের জন্য স্মল হাউস বিল্ডিং লোনের আওতায় ১০ লক্ষ টাকা ঋণ যা ৫ বছওে পরিশোধ করার সুযোগ। সুদের হার ১৩ শতাংশ। উভয় ঋণগ্রহীতার বয়স ৫০ বছর হতে হবে।
প্রাইম ব্যাংক
প্রাইম ব্যাংকও দুই ধরণের হোম লোন দিয়ে থাকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য এবং বাড়ি বর্ধিতকরণের জন্য। ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা এবং ঋণগ্রহীতার বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৫৫ বছর। বর্তমান সুদেও হার ১৩ শতাংশ। ১৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ডাচ-বাংলা ব্যাংক ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ৭০শতাংশ লোন দিয়ে থাকে। তবে দীর্ঘমেয়াদী কিস্তির সুবিধা নেই। ৩৬ কিস্তি এবং ৪৮ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া যে সমস্ত গ্রাহক ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারাই কেবল এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাদেও সুদেও হারও বেশি ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
ঢাকা ব্যাংক
চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের ফ্ল্যাট কেনার জন্য গৃহঋণের ব্যবস্থা রয়েছে ঢাকা ব্যাংকে। চাকরিজীবীদের মধ্যে যাদের মাসিক বেতন ৪০ হাজারের বেশি তাদের জন্য ৫ লক্ষ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ সুবিধা দিচ্ছে ব্যাংকটি। আর ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে ৭০ শতাংশ ঋণ সুবিধা রয়েছে। সুদের হার তুলনামূলক কম। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১৫ বছর।
ইস্টার্ন ব্যাংক
কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ে ইস্টার্ন ব্যাংক অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। তাদের অনেক প্রডাক্ট রয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয় এডুকেশন লোন। গৃহঋণের ক্ষেত্রেও ইস্টার্ন ব্যাংকের রয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ঋণগ্রহীতার বয়স ২২ থেকে ৫৭ বছর। লোনের পরিমান ৫ লক্ষ থেকে ৭৫ লক্ষ পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে হতে হবে। সুদের হার ১৪ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত এবং প্রসেসিং ফি ১.২৫ শতাংশ। তবে সুদের পরিবর্তন হতে পারে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

নিলাকাশ বলেছেন: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপানার দরকারি লিংক গুলোর জন্য ।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

কে ত ন বলেছেন:
পারিবারিক প্রয়োজনে ঢাকা শহরে ছোট আকারের একটি ফ্লাট কেনার চিন্তা করি। এজন্য আমার জমানো টাকার সাথে আরো দশ লক্ষ টাকা ঋণ হিসাবে পাওয়ার আশায় ব্যাংকের দ্বারস্থ হই। এক পর্যায়ে একটি বেসরকারি হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানি ১০.৭৫% হারে ঋণ দিতে সম্মত হয়।

ফ্লাট কেনার জন্য হাতে সময় কম থাকায় বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) এ না গিয়ে ওই কোম্পানির সাথে ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর চুক্তিবদ্ধ হই। বিএইচবিএফসিতে তখন কিছুটা কম সুদে ঋণ দেওয়া হত। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সুদের হার যখন যা হবে সে অনুযায়ী উত্তোলিত ঋণের সুদ প্রযোজ্য হবে।

ভালো কথা, দশ বছর মেয়াদি অর্থাৎ একশত বিশ কিস্তিতে তা পরিশোধের শর্তে রাজী হই। মাসিক কিস্তি ১৩৬৩৪/- টাকা।
লিজিং কোম্পানিকে মাসিক কিস্তি দেয়া শুরু করলাম। আরে দেখি কী, তিনমাস পরই সুদের হার বেড়ে ১৩% হয়ে গেল। প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু লাভ হলো না। তাদের কথা, বর্তমানে সুদের হার বেশী তাই চুক্তি অনুযায়ী তা আপনাকে দিতে হবে। এভাবে সুদের হার বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে ১৬.৭৫% এসে দাঁড়ালো। আমি চিন্তা করলাম কিভাবে অতিরিক্ত সুদ থেকে বাঁচা যায়।

এজন্য কিস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে প্রথমে ১৯০২৩ টাকা ও পরবর্তীতে তা আবার ২৪৫১২ করি। দেখা গেল সুদ আর আশানুরুপ কমছে না। একপর্যায়ে এককালীন টাকাও জমা দেই। এতে কিছুটা কাজ হলো। সুদের পরিমাণ কমল। পরে বুঝলাম চুক্তির সময়ই মূল সমস্যা হয়েছে। তখন যদি ফিক্সড সুদে চুক্তি করতাম, হয়তো সুদের হার ১০.৭৫% এর স্থলে বড়জোড় ১২% হতো। যাক যা হবার হয়েছে, তা চিন্তা করে লাভ নেই।

এক পর্যায়ে খবর পেলাম, সুদের হার কমা শুরু হয়েছে। খুশি হলাম এবার হয়ত আমার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু যেভাবে বৃদ্ধির সময় সুদের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ত, কমার সময় তা আবার খুব ধীর গতিতে নামল। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিলে এসেও তা ১৪% এর নীচে নামল না। মজার ব্যাপার হলো, নতুন ঋণ গ্রহীতাদের বেলায় তখন সুদের হার ক্ষেত্র ভেদে ৯.৫%।

নিয়মিত কিস্তি দেয়ার পরও সুদ কিভাবে আসত তার একটি উদাহরণ দেয়া প্রাসঙ্গিক মনে করছি। জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০১৩ অর্থাৎ বৎসরে ১৬৩,৬০৮.০০ টাকা পরিশোধ করা হয়। তন্মধ্যে মূল টাকা ১২,৩৫৮, সুদ ১৫১,২৫০ টাকা। যা দেখে রীতিমত আমার ভড়কে যাওয়ার অবস্থা।

এ অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে মাসিক কিস্তি বাড়ানোর পাশাপাশি এককালীন টাকা জমা দেয়ার পরিমাণও বাড়িয়ে দেই। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল এককালীর দুই লক্ষ টাকা জমা দেয়া হয়।

তারপরও ৩০ জুন এর হিসাব অনুযায়ী সুদ হিসেবে আসে ১,০৭,২৪৪ টাকা, আর মূল টাকা ১,২২,৩৮৬ হয় যা আমার গৃহীত ঋণ থেকে বাদ যায়। অবশেষে অনেক কষ্ট করে এককালীন অনেক টাকা একসাথে জমা দেই। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ অবশিষ্ট ২৯১০৪ টাকা জমা দিয়ে এই হাউজিং কোম্পানি থেকে নিষ্কৃতি পাই।

ঋণ করে ফ্লাট কিংবা বাড়ি কেনা ছাড়া মধ্যবিত্তের খুব একটা উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সুদের হার নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। আলাপ আলোচনা করে সুদের হার ফিক্সড করা দরকার। আর যারা সুদ দিয়ে বাড়ি কিংবা ফ্লাট কিনতে চান না তাদের বিষয়টি আলাদা। তারা নিশ্চয় নিজস্ব পরিকল্পনা মাফিক আগাবেন। ঋণ গ্রহণ ছাড়া ফ্লাট কিংবা বাড়ি করতে পারলে তো ভালো হয়।

২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একটি পত্রিকায় সংবাদ দেখি যে, বাড়ি নির্মাণে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। বাড়ি নির্মাণে সুদের হার ৯.৫%, ফ্লাট কেনায় ১০%। সংবাদটি পড়ে ভালো লাগল যে সরকারি প্রতিষ্ঠান তো, গ্রাহক সুদের যাঁতাকল থেকে কিছুটা হলেও বাঁচবে। তবে অনেক সময় সহজে ও কম সময়ে ঋণ পাওয়ার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। তখন যেন সুদের হারের বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া আবাসন খাত বিকাশের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপশি বেসরকারি ব্যাংক, লিজিং খাতের ভূমিকাও ব্যাপক।

ঋণ ছাড়া স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করা মধ্যবিত্তের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দুরাশা। এক্ষেত্রে সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া নিম্নবিত্তদের আর কোন উপায় থাকে না।

সুন্দর স্বপ্নদেখা দোষের কিছু নয়। আমাদের প্রত্যাশা, দেশ আরো অনেক উন্নত হবে, ২০২৪ সালে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। জিডিপির গ্রোথও প্রতি বছর বাড়ছে। আশা করি এক সময় নিম্ন মধ্যবিত্ত, গরীব কিংবা সাধারণ নাগরিকদের থাকার জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা পর্যায়ক্রমে করার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির: অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.