![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।
একশ’ বছর তাকিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় চোখ প্রথম চোখকে বললো, “আর কত কাল অপেক্ষা করা যায়! ঐ চোখ দু’টি তো এদিকে তাকাচ্ছেই না।”
প্রথম চোখ সেদিক থেকে দৃষ্টি না ফিরিয়েই বললো, “ধৈর্য্য ধর। যে কোন মুহুর্তে তাকাবে। ধৈর্য হারিয়ে যদি মনোযোগ অন্য দিকে নিয়ে যাই তাহলে সে তাকালে আমরা দেখতে পাবো না। পলক ফেলাই যাবে না।”
দুই চোখ আবার তাকিয়ে থাকলো ওপাশের দু’ টি চোখের সাথে কখন চোখাচোখি হয় এই আশায়। এভাবে তাদের আরো একশ বছর কেটে গেলো। এবারে প্রথম চোখ ধৈর্যহারা হয়ে পড়লো। “নাহ্। এ জীবনে আর বোধহয় হবে না। ঐ চোখদু’টির মান দেখেছো? এদিকে তাকাচ্ছেই না। চল ফিরে তাকাই।”
এবার দ্বিতীয় চোখ বাধা দিল। “না। এতদিন ধৈর্য ধরে তাকিয়েছিলাম। আর কয়টা দিন দেখিই না। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের দিকে তাকানোর সময় হবে। এতদিনের কষ্টকে এক মুহুর্তের মধ্যে মাটি করে দিতে মন চাচ্ছে না।”
দুই চোখ আবারো তাকিয়ে থাকলো, অপলক, আরো একশো বছর। কিন্তু ওপাশ থেকে চোখ দু’টি একটিবারের জন্যও ফিরে তাকায়নি। এপাশে চোখ দু’টি ততদিনে ভেতরে ভেতরে হাল ছাড়তে বসেছে। দারুণ হতাশা আর আফসোস তাদের ভেতরটাকে মুচড়ে দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ ওপাশ থেকে চোখ দু’টি মাত্র এক মুহুর্তের জন্য এপাশের চোখ দু’টির উপরে চোখ রাখলো। এপাশের চোখ দু’টি চিরকালের জন্য অন্ধ হয়ে গেলো।
“এটা কী হলো!” দ্বিতীয় চোখ প্রথম চোখকে বললো। “তিনশ’ বছর প্রতীক্ষার পর এক মুহুর্তের দৃষ্টিদান আর বিনিময়ে এক জীবনের অন্ধত্ব!”
“ঐ একমুহুর্তের স্মৃতি নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেয়া যাবে, কী বলো?”
“হুম,” দ্বিতীয় চোখ একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো।
“একটা ব্যাপার খেয়াল করেছো?” প্রথম চোখ বললো।
“কী?”
“ঐ চোখ দু’টিও অন্ধ ছিল।”
১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:২৮
মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ধন্যবাদ, কল্পদ্রুম, আপনার মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১:৫২
কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার এই লেখাটা আগে পড়েছিলাম। মন্তব্য করা হয়নি। চমৎকার লেখা।