নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মাসুদ রানা সাব্বির। নারায়ণগঞ্জ জেলায় বাড়ি। বর্তমানে আরব আমিরাতে আছি। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি। অন্যের দুঃখে দুখী হই। ভালো লাগে প্রেমের কবিতা লিখতে। ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেও ভালোই লাগে।

মাসুদ রানা সাব্বির

আমার ফেইসবুক আইডিঃ https://www.facebook.com/profile.php?id=100058755710821

মাসুদ রানা সাব্বির › বিস্তারিত পোস্টঃ

¤ দোয়েল পাখি ¤

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২০

দোয়েল হল বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। ছোট্ট এই পাখিটা বাংলার কবিতা, গানে, গল্পে নানা ভাবে এসেছে।দোয়েল পাখির ইংরেজি নাম Oriental Magpie Robin। আর বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis।

বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হলেও এটি ভারত, পাকিস্তান,শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চীন, ফিলিপাইন সহ বেশ কয়েকটি দেশে দেখা যায়।



আকারঃ

দোয়েল আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার বা ৭ - ৮ ইঞ্চি লম্বা। এর লম্বা লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে। পাখিটা লেজ সহ লম্বায় ১৯ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন, চাষাবাদকৃত জমির আশে পাশেও জনবসতিতে মানুষের কাছাকাছি এদের দেখতে পাওয়া যায়।

দোয়েল আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার বা ৭ - ৮ ইঞ্চি লম্বা। এর লম্বা লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে। পুরুষ দোয়েলের শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচে কালো রঙের, পেট সাদা। ডানার দুই পাশে সাদা রঙের প্যাচ আছে। স্ত্রী দোয়েলের উপরিভাগ ও গলার নিচে ছাই- ( ধূসর বা ধূসর-সাদা ) রঙা হয়। পেটেরঅংশ পুরুষ দোয়েলের মত উজ্জ্বল নয়, বরং কিছুটা ফিকে সাদা।বাংলাদেশের মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়ানো এই পাখিটি বেশ সুরেলা কন্ঠে ডাকতে পারে।



স্থান ও খাদ্যঃ

গাছের ডাল, মাটি বা ঝোপ জঙ্গলে এরা লাফিয়ে বা উড়ে চলাচল করে। আর এর ফাঁকেই চলে পোকা শিকার। কীট পতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা, ঘাসফড়িং, পিঁপড়ে, পিঁপড়ের ডিম, ঝিঁঝিঁ পোকা ইত্যাদি এদের প্রধান খাদ্য। পাকা ফল, বিভিন্ন বড় বড় ফুলের মধু খেতেও অনিচ্ছুক নয়। কখনো কখনো সন্ধ্যার আগে আগে এরা খাবারের খোঁজে বের হয়।



বৈশিষ্ট্যঃ

স্ত্রী দোয়েল এরা সারাদিন খাবারের খোঁজে ডাল থেকে ডালে নেচে বেড়ায়।এরা বনে, ক্ষেত খামারে আর মানুষের বাড়ির আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। এরা খুব চঞ্চল পাখি। কখনো এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারে না।দোয়েল অমিশুক ও অসামাজিক পাখি। বাগানে দু'এক জোড়া দোয়েল থাকলেও নিজ নিজ এলাকা বা গণ্ডীর বাইরে বড় একটা যায়না। অন্যকেও নিজের এলাকায় দেখতে পছন্দ করেনা।

পুরুষ দোয়েল স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে। তবে স্ত্রী দোয়েলও পুরুষ দোয়েলের উপস্থিতিতে ডাকতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় দোয়েলের প্রজননকাল মার্চ থেকে জুলাই; আর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় জানুয়ারি থেকে জুলাই। প্রজনন সময় পুরুষ দোয়েলের শরীরের রঙ উজ্জ্বলতর হয়। ডিম দেয়ার এক সপ্তাহ আগে এরা গাছের কোটরে বা ছাদের কার্ণিশে বাসা বানায় মাটি থেকে ৫-২০ ফুট উপরে। গাছের ফোকর, দেয়ালের গত, ঝোপের ভিতর এমনকি ভেন্টিলেটরে এদেরকে বাসা বানাতে দেখা যায়। চায়ের পেয়ালার মত এদের বাসার আকার। সাধারণত ৪/৫টি ডিম দেয়। ডিমের রং ফিকে লালচে সবুজ বা নীলচে-সবুজও তার উপর বাদামী ছোপ থাকে। স্ত্রী দোয়েল ডিমেতা দেয়; ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। প্রজনন কালে পুরুষ দোয়েল আগ্রাসী হয়ে ওঠে।তখন বাসার আশেপাশে অন্য পাখিদের আসতে দেয়না।আর তা থেকে একদিন বের হয়ে আসেফুটফুটে সব বাচ্চা দোয়েল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কার্জন হলের সামনে রয়েছে দোয়েল চত্বর। এখানে বিশাল দুটো দোয়েল পাখির ভাস্কর্য রয়েছে।

শ্যামা পাখি হচ্ছে দোয়েলের জাত ভাই। খঞ্জনা পাখি দেখতে অনেকটা দোয়েলের মতো। কিন্তু খঞ্জনার সাথে এর পাথর্ক্য হচ্ছে খঞ্জনা লেজ নাচায় কিন্তু দোয়েল লেজ নাচায় না।











সূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.