নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিট

মাসুদ ইউসুফ

মাসুদ ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীন- এক সুপার পাওয়ার এর খোঁজে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৪

এই বিষয়ে সবাই সহমত পোষণ করেন যে এই শতাব্দী এশিয়ান শতাব্দী। পৃথিবীর অর্থনৈতিক নেতৃত্ব এর মাঝেই এশিয়ার হাতে চলে আসছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই দশকের শেষেই চীন পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এ পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে অর্থনীতির পাশাপাশি চীন কি পৃথিবীর এক নম্বর সামরিক শক্তির দেশ হতে পারবে কিনা? এই নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ তামাম দুনিয়ার আগ্রহের অন্ত নেই। চলছে নানা বিশ্লেষণ। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর প্রকাশিত একটি মার্কিন প্রকাশনার মতে আগামী ২০৩০ সালের মাঝে চীন পৃথিবীর এক নম্বর অর্থনীতির দেশ হতে পারলেও সামরিক আধিপত্য অর্জন করতে পারবে না, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর সামরিক আধিপত্য বজায় থাকবে। এই ধারণা বদলে যেতে পারে যদি কোন অস্বাভাবিক কিছু ঘটে।

চীনের সুপার পাওয়ার না হওয়ার পিছনে অনেকেই অনেক কারন খুজে পেয়েছেন। এর মাঝে কিছু যুক্তির পিছনে ইতিহাসের সমর্থন পাওয়া যায়, কিছু প্রজুক্তিগত, ফিলসফিকাল।

রেনেসাঁর পর থেকে বা তার আগে ইসলামী সভ্যতার সময়কাল থেকে ধার করে নিয়ে বলা যায় যে সময় যে সভ্যতা বিশ্ব শাসন করেছে, সে সময় তারা এমন বিধান, মতবাদ বা ইন্টেলেকচুয়াল ক্ষমতার অধিকারী ছিল যা তারা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে ছেয়েছিল এবং সফল হয়েছিল। ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ব্রিটেন এর প্রযুক্তি, জ্ঞান ছিল দুনিয়ার সেরা। আমেরিকান নেতৃত্বর যে সময় আমরা পার করছি এই সময়ে আমে রিকান প্রযুক্তি ও জ্ঞানের সুপ্রিমেসি তর্কের অতীত। দার্শনিক Hegel এর মতে এক মতবাদ আরেক মতবাদের উপর জয়লাভ করে বা এক জাতি আরেক জাতির উপর যুদ্ধে জয়লাভ করে কারণ জয়ী জাতির মতবাদ বিজিত জাতির মতবাদের চেয়ে শ্রেয়। তার সময়ে ব্রিটেন দুনিয়াকে গনতন্ত্র বুঝাতে চেয়েছিল, মার্কিনীরা পুজিবাদ, বাক্তিসাতন্ত্রবাদ নিয়ে আছে। প্রশ্ন জাগে চায়না কি নিয়ে যাবে মানুষের দ্বারে। পুরাতন কনফুসিয়ান মতবাদ নতুন মোড়কে? এই যুগে তা কি খুব গ্রহণযোগ্য হবে? আধুনিক পৃথিবীকে দেওয়ার মত চীনের নিজস্ব কি মতবাদ বা প্রযুক্তি আছে? হ্যাঁ, চায়না শিখাতে পারে কিভাবে অনুকরন করতে হয়? কিন্তু সেটা কি নেতা সুলভ কাজ হবে? অরিজিনাল কিছু না থাকলে আর যাই হওয়া যাক না কেন সবার নেতা হওয়া যায় না। চীনে চলছে COMMUNISM ও MARKET ECONOMY এর সমন্বয়- যা পরস্পরবিরোধী। আবার ধরা যাক চীন চায় বিশ্বজুড়ে তার যেকোনো মতবাদ পৌঁছে দিতে। সেক্ষেত্রে ভাষা একটি সমস্যা হিসেবে দাঁড়াতে পারে। সম্ভবতঃ হাজার বিশেকের উপর বর্ণমালা রয়েছে চাইনিজ ভাষায়। কেও যদি এই ভাষায় আন্তরিক ভাবেও শিখতে চায় তার জন্য তা সহজ হবেনা। এই দিক থেকে ও চীন পিছিয়েই আছে ইংলিশভাষী আমেরিকান দের চেয়ে। মতবাদ ছড়িয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরী যেকোনো সুপার পাওয়ার এর জন্য। সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অনুবাদ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমেই তারা সারা দুনিয়ায় তাদের মতবাদ ছড়িয়েছিল এবং অনেক অনুসারী সৃষ্টি করেছিল- যার ফলে তারা অনেক দিন প্যারালাল সুপার পাওয়ার ছিল। ভাষা গত দুর্বলতা কাটিয়ে চীন এই ক্ষেত্রে কতটুকু অগ্রসর হতে পারে তা দেখার বিষয়।

আরেকটি বিষয় যা বিতর্কিত তা হল আধুনিক ধ্যান ধারণায় কেও যদি প্রচলিত অর্থে সুপার পাওয়ার হতে চায় তাকে আগ্রাসী অর্থাৎ পরদেশ আক্রমণ করার মানসিকতা এবং শক্তি থাকতে হবে। এর সাথে সমর বিদ্যায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি এক শক্তিশালী ব্লক গড়ার বিষয়টি জড়িত। চীনের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে চিন্তা করা যায়। সমর বিদ্যায় মার্কিনীদের চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে অনেক দূর। শক্তিশালি সামরিক ব্লক গড়া তার পক্ষে দুরহ। জাপানের সাথে আছে চির বৈরিতা, south Korean দের সাথে সম্পর্ক ভাল নয়, অনেক পুরনো বন্ধু মায়ানমার সম্প্রতি মার্কিন এর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে, আরেক বন্ধু পাকিস্তানের অবস্থা বলার মত নয়। মার্কিনীদের সাম্প্রতিকালের অভিযানে ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ ন্যাটোর সমর্থন প্রশ্নাতীত এবং বিশাল আকারের। চীনের সামরিক শক্তির মহড়ায় যোগ্য সহচর কে হবে? শক্তিশালী সামরিক জোটের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, তীব্রভাবে অনুভূত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্যারালাল শক্তি হয়েছিল এর বিশাল সাম্রাজ্য এবং বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্ম এর বিস্তার এর কারণে। চীনের ক্ষেত্রে এই ধরণের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি দেখা যায় না। এ ছাড়া চীনকে তার নিজের আভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন যেমন তিব্বত সমস্যা, তাইওয়ান সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে ভাবনায় থাকতে হয়। এর সাথে যোগ হবে জাপানের সাথে সাথে সময়ে সময়ে চলা সীমান্ত সমস্যা। বর্তমান সুপার পাওয়ার ইউ এস এ এর ক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যার কথা শোনা যায় না। সম্প্রতি এক জাপানিজ নাগরিক থেকে জাপান সরকারের ক্রয় করা সেঙ্কাকু দ্বীপ নিয়ে চীন-জাপান সম্পর্কের অবনতি ঘটছে, যা চীনের জন্য কখনো ভাল হবেনা। জাপান এখনো পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং এমনকি ২০৫০ যখন এর অর্থনীতির GROWTH অনেক কমে যাবে তখন জাপান ফিফথ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত থাকবে। জাপানের বর্তমান সামরিক শক্তি উন্নয়নের জন্য খুব উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখেনা। তবে তা এমন নয় যে দেশের মৌলিক প্রতিরক্ষার জন্য অপ্রতুল। জাপানে রয়েছে ৪০,০০০ মার্কিন সেনার সমন্বয়ে গঠিত এক শক্তিশালী মার্কিন ঘাঁটি- যা SECOND WORLD WAR এর পর থেকে জাপানের অকিনাওয়া প্রদেশে অবস্থান করছে। US-JAPAN DEFENSE TREATY এবং জাপানে মার্কিনীদের বিশাল আর্থিক স্বার্থের কারণে জাপানের সাথে যে কোন ধরনের সংঘর্ষে ইউ এস এ জড়িয়ে পরবে। এ ছাড়া ইদানীং জাপান সামরিক যেমন ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ রাখছে। জাপানের SOPHISTICATED TECHNOLOGY র কারণে তাদের পক্ষে উন্নত অস্র বানানো সহজতর। MITSUBISHI HEAVY INDUSTRY এর পক্ষে যে কন কিছু বানানো সম্ভব বলে মনে হয়। SECOND WORLD WAR –এর অনেক অস্র এখানেই তৈরি হয়েছে। তাই চীন- জাপান সংঘর্ষ চীনের সুপার পাওয়ার হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই সমস্যা শেষ হবার নয়। জাপানীরা হারিকিরি তে বিশ্বাস করে কম্প্রমাইজে নয়, চাইনিজরা এখন তাদের আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে যাবে শক্তির নিদর্শন হিসেবে।

আধুনিক কালে Germany অন্যতম রাষ্ট্র ছিল যার মাঝে সুপার পাওয়ার হওয়ার মোটামুটি সব উপাদান ছিল বলে মনে করা হয়। 2nd World War ফলাফল টাকে উল্টো করে দেখলে জার্মানদের সুপার পাওয়ার এর জায়গায় দেখা যায়। নিজেদের শ্রেষ্ঠ জাতি মনে করার পাশাপাশি তাদের ছিল জাতীয় একতা। তার সাথে যুক্ত হয়েছিল জার্মান দর্শনের(হেগেল, মার্ক্স প্রমুখের) অনুষঙ্গ conflict বা সংঘর্ষের চেতনা যা হিটলারের হাতে পরে ভয়ানক ফ্যাসিবাদী বিকৃত ধারণায় রুপ নেয় এবং ধ্বংস হয়। চাইনিজ দের মাঝে তা পাওয়া যায় না। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের কারণে অনেকেই তাদের দেশে ফিরতে চায় না। পৃথিবীর HIGHEST DEATH PENALTY কার্যকর কারী এই দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। CLOSED কাঠামোর কারণে অনেক সংবাদ প্রকাশ পায় না। সম্প্রতি চীনা শাসক শ্রেণীর দুর্নীতি COMMUNIST রাষ্ট্রটির মূল কাঠামো সমতার ভিত্তিমূলে আঘাত হেনেছে। চীনে আঞ্চলিক বৈষম্য প্রচুর- যা কোন COMMUNIST রাষ্ট্রে কাম্য নয়। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা কিউবা র মত তাদের ওয়েলফেয়ার কর্মসূচী যেমন স্বাস্থ্যসেবা ভাল নয়। আভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন যেমন তিব্বত সমস্যা, তাইওয়ান সমস্যা ইত্যাদির কথা না হয় বাদই দিলাম। এইসব নানাবিধ কারণে চীনাদের তাদের সরকারের উপর খুব SATISFY থেকে নিজেদের খুব বেশি উন্নত জাতি এবং একক জাতি মনে করা কষ্টকর।এই ক্ষেত্রে ও তারা পিছিয়ে আছে বলে মনে হয়।

সবশেষে চীনের পৃথিবীর এক নম্বর অর্থনীতি হওয়া নিয়ে একটু সন্দেহ করা যায়। গত শতাব্দীর ৭০ এর দশকের শেষের দিকে এবং আশির দশকের শুরুতে জাপান ঠিক চীন এখন যে অবস্থানে সেই অবস্থানে ছিল। ECONOMIC GROWTH RATE(জাপানের) ৯ বা এর অধিক দুই অংকের ঘরে পৌঁছেছিল। সারা পৃথিবী প্রস্তুত ছিল TOKYO কে NEWYORK এর উপর স্থান দিতে। কিন্তু ৯০ দশকের শুরুতে এসে জাপানের সম্ভাবনার বেলুন ফুটো হল- সে থেকে জাপানের অর্থনীতি ২য় এখন ৩য়...পরে পঞ্ছম। মার্কিন পলিসি মেকার রা চীন কে বরণ করার জন্য হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। যে কোন ধরনের শক কিংবা নেতিবাচক প্রচারনা বদলে দিতে পারে হিসাব। অর্থনীতিতে স্পেকুলেসান এর গুরুত্ব অনেক বেশি। শেয়ার বাজারে ধস নামবে এই প্রচারণায় শেয়ার বাজার ধসাতে যথেষ্ট ভুমিকা পালন করতে পারে। চীনের জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ার কারনে শ্রম সস্তা নয়, এই বাস্তবতা এবং প্রচারণা চীনের গার্মেন্টস ও অন্যান্য LABOUR INTENSIVE INDUSTRY র জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। হতে পারে আর অনেক কিছু। তবে সামরিক ক্ষেত্রের চেয়ে অর্থনীতির ক্ষেত্রে চীনের সম্ভাব্য মুরব্বি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দেখার অপেক্ষায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৭

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আপনি তো মনে হয় চানিজ বিশেষজ্ঞ , অনেক দিন আগে চাইনিদের নিয়ে এই লিখাটা লিখেছিলাম , কিন্তু এই লেখাটার কোন সুত্র খুজে পাইনি , তবে অনেক আগে আমি এমন একটা নিউজ পড়েছিলাম , সেই কথা স্বরন করেই এই লেখাটা , এই ঘটনার আসল কোন লিংক পাইলে দিবেন প্লীজ , এইটা আমার লেখা আসল কোন লিংক থেকে কপি করা নয় ।

১৯৭৩ বা ১৯৭৪ এর দিকে হবে , অ্যামেরিকা আর চায়নার মধ্যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে , কে কার চাইতে এগিয়ে যেতে পারে অর্থনীতি বানিজ্য এবং সাময়িক শক্তি , বলতে গেলে এটাকে স্নায়ু যুদ্ধ বলা যেতে পারে , এই দুইদেশের মধ্যে মাঝে মাঝে যুদ্ধের পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়ে যেতো । সারা বিশ্বই এই দুইদেশের কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত ছিল , কারণ যেই কোন সময়ে যুদ্ধ লেগেগেলে সেটা ৩য় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিয়ে পারে । তাই সংবাদ মাধ্যম হতে শুরু করে সবারই দৃষ্টি এই দুই দেশের দিকে , এমন উত্তেজনা পুন্য সময়ে অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে বসলে তারা চিনের সাথে বাণিজ্যিক সাময়িক অর্থনীতিক সম্পর্ক ঘরতে চায় ,

এবং তখন ইতিবাচক সাড়া আসলো চিন থেকেও । বিশ্বের সব মানুষ বেচে থাকার নতুন স্বপ্ন দেখলো , বিশ্ব মিডিয়ার চোখ এখন চায়না এবং অ্যামেরিকার নতুন সম্পর্কের দিকে ।

তো হঠাত একদিন চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যামেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালো চায়নাতে , দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা বসে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক একে অপরকে সহযোগিতা মূলক আলোচনার এবং বিভিন্ন খ্যাতে চুক্তির জন্য ।

তখন অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ২৫ জন সিনেট সদস্য নিয়ে আসে চায়নায় পরস্পরিক আলোচনার জন্য , বিশ্ব মিডিয়ার সব সাংবাদিক তখন চায়না , এই দুই পরাশক্তির মধ্য কি আলোচনা হয় , আর কি কি ব্যাপার নিয়ে চুক্তি হয় , তায় নিয়ে চলছিল সাড়া বিশ্বে গুঞ্জন :P এবং সময় মোতাবেক আলোচনা শুরু হলো , তখন অ্যামেরিকার অনেক দাবীঅই মেনে নেয় চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রী , সামরিক বাণিজ্যিক অর্থনীতিক সব দিক দিয়ে আমেরিকাকে সহায়তার করবে এবং অ্যামেরিকার সব চুক্তি মেনে নেওয়া হবে বলে জানায় চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রী , কিন্তু চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী একটাই দাবী :) যদি অ্যামেরিকা তায় মেনে নেয় তাহলে সব চুক্তিতেই চায়না রাজি আছে ।

চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রী দাবী ছিল চায়নার অনেক নারী শ্রমিক আছে, তাই এতো শ্রমিক নিয়ে চায়না হিমশিম খাচ্ছে , তাই ২ কোটি নারী শ্রমিককে আমেরিকায় কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে বা আমেরিকায় নিয়ে যেতে হবে , এমন কি তাদের তেতন ভাতা বা দিলেও চলবে শুধু থাকা খাওয়ার জায়গা করে দিলেই হবে । এই কথা শুনে অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হা হা হা হা করে হাসা শুরু করে দিলো , এটা কোন চুক্তি হলো নাকি , সে মনে করেছিল চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রী তার সাথে মশকরা করছে , কিন্তু বার বার চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রী এই দাবী শুনে অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিব্রত বোধ করলো এবং সে নিশ্চিত হলো আসলে চায়না মজাক করছেনা সত্যি তাদের দাবী এটা :P , এবং চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন চিন আমেরিকাকে সব ধরনের সহায়তা করবে সাময়িক বাণিজ্যিক এবং সব সময় তারা অ্যামেরিকার পাশে থাকবে । তখন অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন সে অ্যামেরিকার পালামেন্টে এই দাবী উত্থাপন করবে , তার পরই চায়নার সাথে সব ধরনের চুক্তি হবে , সেখানেই এই অতি আগ্রহের আলোচনার সমাপ্তি ঘটে ।

কিন্তু এই দিকে বিশ্ব মিডিয়ার সাংবাদিক এবং চায়নার সাংবাদিকের হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হলো পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে , সবাই বলা শুরু করলো এটা কোণ চুক্তি হলো নাকি , হাস্যকর দাবী চায়নার এবং চায়নার সাংবাদিকরাও এই মন্ত্রীর উপর ক্ষেপে গেলেন ।
তখন চায়নার মিডিয়ার সাংবাদিকরা হলো করে প্রচারনা শুরু করলো , এই পররাষ্ট্র মন্ত্রী চায়নার মা বোন দের ইজ্জৎ জারজ অ্যামেরিকার শিয়াল কুকুরদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল , তার পদত্যাগ চাই ,আমাদের দেশে কি কাজ এবং খাদ্যের অভাব আছে নাকি , কেন চায়নার মা বোনদের এভাবে অপমান করা হলো । এবং এই নিয়ে এই পররাষ্ট্র মন্ত্রী চায়নার পালামেন্টেও অপমানিয় হয় এবং তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পরিষদ থেকে বহিস্কার করা হয় ।

কিন্তু এমন চুক্তি কেন করতে চেয়েছিল এই বিজ্ঞ পররাষ্ট্র মন্ত্রী , সবার মনে একই প্রশ্ন এবং কৌতুল সৃষ্টি হলো । দীর্ঘ ২৬ বছর সাংবাদিকরা তার পেছনে পেছনে ঘুরেছে এই প্রশ্নের উত্তরের খোজার জন্য । কিন্তু তিনি সব কিছুই নিজের মাঝে গোপন করেন এবং এই চুক্তি সম্পর্কে কাউকেই কিছুই বলেননি এই মন্ত্রী , এমন কি দেশ প্রধানের কাছেও সে মুখ খুলেনি । দীর্ঘ ২৬ বছর হাজারো মানুষ তার কাছে এই চুক্তি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল , এমন কি বিশ্বের বড় বড় গণমাধ্যম এই চুক্তির রহস্য উতঘাটন করতে পারেনি , বার বার তার কাছে সাংবাদিক গিয়েছে একই প্রশ্ন নিয়ে , কিন্তু তার মুখে একই জবাব ছিল নো কমেন্ট । এতো এতো হাজার হাজার মানুষের একই প্রশ্ন থেকে এরিয়ে চলার জন্য এক সময় এই চানিজ মন্ত্রী ঘর থেকে বেড় হতেন না , তার ঘরের সামনে সকাল সন্ধ্যা রাত সাংবাদিকরা বসে থাকতো এই রহস্য জানার জন্য , এমন কি অনেক মিডিয়া থেকে কোটি কোটি ডলার প্রস্তাবও করা হয়েছিল তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে যেন এই রহস্য উন্মোচন করে , কিন্তু না তার আর মুখ খোলা যায়নি :P :P

১৯৯৯ এর দিকে এই মন্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুর দরজায় দাড়িয়ে , চিকিৎসকেদের মতে সে আর দুই থেকে ৩ দিন বাচবে , তখনো সাংবাদিকরা তার পিছু ছারেনি , এই প্রশ্ন নিয়ে তার কাছে হাজির হয় , তখন তারা বলে আপনার মৃত্যু তো নিশ্চিত এখনই যদি আপনি এই রহস্য উন্মোচন না করেন তাহলে এই চুক্তি বিশ্ববাসির কাছ অজানাই থেকে যাবে এবং আপনাকে ধিক্কার দিবে :(

তখন এই মন্ত্রী তার মুখ খোলেন :D তিনি বলেন তখন চুক্তি অনুযায়ী যদি অ্যামেরিকা চায়না থেকে ২ কোটি নারী নিতো তাহলে অ্যামেরিকা আর অ্যামেরিকা থাকতো না । চায়নার নারীদের পেয়ে অ্যামেরিকানরা উৎসবে মেতে উঠতো , আর আকামকুকামে লিপ্ত হতো আর এতে কর পুরা অ্যামেরিকা একটি যৌন্য পল্লি হয়ে যেতো , আর বছরে বছরে লাখ লাখ নতুন মুখ জন্ম নিতো , আরো বলেন চায়নার নারীরা সন্তার জন্ম দিতে খুবই পারদর্শী , এই ২ কোটি নারী প্রতি বছরই কম করে হলোও ১ কোটি করে সন্তান জন্ম দিতো :P আর এতে করে ১০বা২০ বছর পর আমেরিকায় জনসংখ্যা বিস্ফোরন হতো এবং এতো মানুষের খাদ্য বস্ত বাস স্থান যোগান দিতে অ্যামেরিকা হিমশিম খেতে এবং তাদের অর্থনীতি ধবংস হতো । আর বলেন সেই চুক্তি যদি হতো তাহলে আজকে অ্যামেরিকা বিশ্বে এতো দাপট দেখিয়ে চলতে পারতো না , আর অ্যামেরিকা হতো একটি দরিদ্র দেশ , জনসংখ্যার ভাঁড়ে কুপোকাত হয়ে যেতো অ্যামেরিকা । তখন তিনি আরো বলেন জনসংখ্যার চাপ কি জিনিশ সেটা চায়না , ইন্ডিয়া সরকাররা হাড়ে হাড়ে টের পায় :D এবং তার এই কথা বলার ২ ঘন্টা পরই তার মৃত্যু হয় :(

চায়না মন্ত্রী সেই চুক্তি যদি কার্যকর হতো তাহলে আজকে মুসলমানদের উপর এতো নির্যাতন বা ইসলামি জঙ্গলি নামে কোন সঙ্ঘটন থাকতো না এবং আমাদের দেশের ছেলে নাফিসও এফবি আই এর হাতে ধরা খেতো না । :P

তবে আমার মতে ২ কোটি না বলে ২০ বা ২৫ লাখ নারীর কথা বললে হয় তো সেই দিন অ্যামেরিকা রাজি হতো এই চুক্তির জন্য :P ২০-২৫ কোটি চাইনিজ নারী এই ৩৮ বছরে কম করে হলেও ৫-৬ কোটি জারজ অ্যামেরিকান জন্ম দিতো :P :P এতেই অ্যামেরিকার ধবংসের জন্য যথেষ্ট হতো :P

এই নিউজটা আমি সম্ভাবত ২০০৪ বা ৫ এর দিকে কোন এক নিউজ পেপারে পড়ে ছিলাম , কিন্তু বেশ কিছু দিন হলো গুগল মামার কাছে খুজে বেড়ালাম :( কিন্তু কোন তথ্যই পেলামনা :( তাই হয় তো এই চুক্তির অনেক কিছুই তুলে ধরতে পারলাম না , তবে আমি নিশ্চিত চুক্তিটা এই রকমেরই ছিল । যাই হোক কেউ যদি এই নিউজের কোন লিংক দিতে পারেন তাহলে আমার অনেক উপকার হবে ।।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫২

মাসুদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক সময় নিয়ে পড়া ও কমেন্ট এর জন্য। আমি ভাল বাংলা টাইপ করতে পারিনা। তাই অনেক ইংলিশ এসে গেছে। এটা বলছি নিজেকে হাল্কা করার জন্য।
আমি জাপান এ পাবলিক পলিসি পরছি। এখানে অনেক চাইনিজ ছাত্রছাত্রী আছে- যারা চীনের সরকারী কর্মকর্তা। তাদের কাছে হয়ত আপনার উল্লেখিত বিষয়ে কোন ডকুমেন্ট বা তথ্য পাওয়া জেতে পারে। আপনাকে তা দিতে পারলে আমার খুবই ভাল লাগবে। ভাল থাকুন।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৯

সুখী চোর বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল,
লিঙ্কনহুসাইন এর এই তথ্যটাও কখনো শুনিনি।

সব মিলিয়ে +++++

তবে একটা কথা আমি বুঝি, বিশ্বজুড়ে যা কিছু হয় তা ব্যক্তি কর্মের ফলাফল অর্থাৎ কোন একটা জাতীর উথ্থান বা পতন।এ ক্ষেত্রে এ কথাটাও প্রযোজ্য যে, যদি কোন জাতীর পতনও ঘটে তাহলেও অপর জাতী কর্তৃত্ব লাভ করে, সে ক্ষেত্রে তার মতবাদ উন্নত না হলেও।

কোন জাতীর মাস লেভেল পিকচার দেখে প্রেডিকশন তো করা সম্ভব, কিন্তু আদতে যে ফিউচার কি, সেটা অনেকটাই আনসার্টেইন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.