নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে একজন বইপোকা। লেখালেখির অভ্যাস কখনওই ছিলনা। কিন্তু একটা বই পড়ার পর সেটার ভাল লাগা মন্দ লাগা মানুষকে জানাতে ইচ্ছে করত। সাহস করে একদিন লিখে ফেলললাম একটা বইয়ের রিভিউ। পাঠকের অনেক প্রসংসাও পেলাম। সেখান থেকেই আমার লেখালেখি শুরু। কেউ কেউ বলতো, আপনি রিভি

মাসুম আহমেদ আদি

আমি আসলে একজন বইপোকা। লেখালেখির অভ্যাস কখনওই ছিলনা। কিন্তু একটা বই পড়ার পর সেটার ভাল লাগা মন্দ লাগা মানুষকে জানাতে ইচ্ছে করত। সাহস করে একদিন লিখে ফেলললাম একটা বইয়ের রিভিউ। পাঠকের অনেক প্রসংসাও পেলাম। সেখান থেকেই আমার লেখালেখি শুরু। কেউ কেউ বলতো, আপনি রিভিউয়ে কাহিনীর এত সুন্দর বর্ণনা করেন ইচ্ছে করে মূল বই থেকে আপনার লেখা রিভিউটাই বার বার পড়ি। এরকম মন্তব্য হয়তো আমার শুভাকাঙ্খিরা আমাকে খুশি করার জন্য করতো। কিন্তু আমি লেখালেখির সাহস পেয়েছি এসব মন্তব্য থেকেই।

মাসুম আহমেদ আদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

কদিন ধরেই মনটা খুব বিক্ষিপ্ত। প্রতিরাতেই মন খারাপ করে ঘুমাতে যাচ্ছি। ঘুম আসতে আসতে শেষ রাত। হয়তো এজন্যেই ভালো একটা স্বপ্ন দেখলাম।

স্বপ্নে দেখলাম আমি বিদেশ যাচ্ছি। আমার সব স্কুলের বন্ধুরা আমাকে সি-অফ করতে আসছে। সবাই আমার জন্য এটা সেটা নিয়ে আসছে। স্বপ্নে আমি বিবাহিত কিনা আমি বুঝতে পারিনি। কারণ আশে পাশে কোথাও আমার স্ত্রীকে দেখতে পাইনি। যাইহোক, স্বপ্ন এইটুকু হলে ব্যাপার ছিলনা। এই স্বপ্ন আমি প্রায়ই দেখি।

তবে এবারেরটা একটু ভিন্ন। আরও একধাপ এগিয়ে। এর আগে কখনোই স্বপ্নে প্লেন পর্যন্ত যেতে পারিনি, তার আগে ঘুম ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু আজকে প্লেন পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আমার বাবা আমার নামে কার্গো সেকশনে বিশাল একটা খাট বুকিং দিয়ে রেখেছে। তারমানে যেখানেই যাচ্ছি খুব লম্বা সফরে যাচ্ছি। কোথায় যাচ্ছি, এটা অবশ্য স্বপ্নে বুঝতে পারিনি। হয়তো ভালো জায়গাতেই যাচ্ছি, নয়তো সবাই এত হাসিমুখে বিদায় দিতনা। আমার মা, যে কিনা আমি বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার সময়ই কাঁদে, সেও হাসিমুখে বিদায় দিচ্ছে। আমি স্বপ্নের মধ্যেই ব্যাপারটা ধরতে চেষ্টা করলাম। কোথায় যাচ্ছি আসলে আমি? আমেরিকা? আমেরিকা নাকি স্বপ্নের দেশ, মানুষ বলে। এজন্যেই কি সবাই খুশি?

আমি প্লেনে উঠলাম। এবং আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, প্লেনে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আরও তাজ্জবের ব্যাপার হলো প্লেনে কোনও সিট নেই। তবে কি এটা কার্গো প্লেন? প্লেনের মাঝখানে শুধু একটা খাট দেখা যাচ্ছে। আমার বাবার বুকিং দেয়া খাট। কেউ একজন আমাকে বলল ঐ খাটে শুয়ে পড়তে। তাহলেই প্লেন ছাড়বে। আমি কিছুটা বুঝতে পারলাম হয়তো। দৌড়ে নামতে গেলাম। ততক্ষণে প্লেনের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। প্লেনের জানালা দিয়ে দেখতে পেলাম, আমার সব বন্ধু-বান্ধব রা হাউ মাউ করে কাঁদছে। আমার মা কাঁদতে কাঁদতে ফিট হয়ে গেছেন। আমার বাবা স্বভাবসুলভ এক কোণে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি জানি তার বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে।

প্লেন ছেড়ে দিল। কিছুক্ষণ পর দুজন পুরুষ এয়ার হোস্টেস আসলেন। একজন জিজ্ঞেস করলেনঃ-

আপনার রব কে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.