নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের বন্যপ্রণী সংরক্ষন করুন

বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন

মাইন রানা

আসুন বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে কিছু একটা করি। মানুষ হিসাবে আমাদের বাচার যতটুকু অধিকার আছে এই পৃথীবীতে আমাদের আগে আসার ধরুন সকল বন্যপ্রাণীর ও আরো বেশী অধিকার আছে। মানুষ হিসাবে আমরা শ্রেষ্ট তার প্রমান কি এই যে আমরা সব প্রানী মেরে সাফ করে দিব !!!!!! আমরা তাই করছি

মাইন রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াবা সেবন, সন্তান এর কাছে বাবা-মা খুন আলট্রা মডার্ণ সমাজ ও অধঃপতন। ধর্মীহীনতা চর্চা এর জন্য দায়ী বলে মনে করি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১০

পত্রিকায় পড়লাম ইয়াবা খাওয়ার জন্য নিজ মেয়ে বন্ধুদের সহায়তায় খুন করেছে বাবা মাকে। এই ধরনের কু-সন্তান কি অন্য পরিবারগুলিতে তৈরি হচ্ছে না? এদের তৈরি করার জন্য দায়ী কে? রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার, বাবা মা, নাকি সবাই?



আমাদের সমাজে আগে একটি মুসলিম সন্তান জন্ম নিলে তাকে জন্মের দিন তাঁর কানে পবিত্র কালিমা ও আজান শুনানো হতো। একটু বড় হলে তাকে মক্তবে পাঠানো হত যেখানে সে কোরআন, হাদিস, নামাজ, রোজা, হালাল-হারাম, ভাল-খারাপ, পর্দা-অশ্লীলতা, ছোটদের স্নেহ, গুরুজনের সন্মান, মা বাবার মর্যাদা, গরীবের প্রতি দয়া মায়া ইত্যাদি নানা নৈতিক বিষয়ে কিছুটা জ্ঞান লাভ করত। এর পর তাকে স্কুলে পাঠানো হলেও তাঁর ভিতরে কিছুটা হলেও নৈতিক জ্ঞান থাকত।



এখন আলট্রা প্রগতিশীল পরিবারে একটি শিশু জন্ম হলেই তাঁর কানে দেয়া হয় বিদেশি সংস্কৃতির হিন্দি ইংরেজি গান। ছোট থেকেই নিজ ঘরে বাবা মার সাথে দেখতে থাকে বিদেশি সিরিয়াল, সিনেমা, কার্টুন ও নাচ গান। কচি বয়স থেকেই শিখতে থাকে বন্ধুরা মিলে আড্ডা, মদ সেবন, উম্মত্ত আনন্দ, হই-হুল্লা, পরকিয়া-অশ্লীলতা, পিতা মাতা ও গুরুজনের সাথে বেয়াদবি ও তর্ক। আর এই সকল অনৈতিক কাজগুলির চর্চাও চলতে থাকে ইংলিশ মিডিয়াম ও আধুনিক স্কুলে, প্রাইভেট ভার্সিটিতে। জীবন হয়ে পড়ে যেনতেনভাবে শুধু টাকা কামানো আর যেনতেনভাবে আনন্দ উল্লাস এর ক্ষেত্র!!!!

এর ফলাফল পশ্চিমা দেশের মতো আমাদের দেশেও দেখে দিচ্ছে, ইদানিং একটু বেশীই।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২১

আছাদ মাসুম বলেছেন: ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই থাকতে হবে ছোটবেলা থেকেই। ধন্যবাদ এমন একটা আর্টিকেল লেখার জন্য।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

হাফিজুর রহমান মাসুম বলেছেন: ঐশীর ঘটনায় এতকিছু সবার চোখে পড়ছে শুধু চোখে পড়ছে না ঐশীর বাবার সামান্য আয়ের চাকুরীতে তাদের এত অভিজাত জীবন-যাপন কিভাবে সম্ভব হচ্ছে! আমরা সততা বিসর্জনকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ অর্জন মনে করা সমাজ নৈতিকতার খই ফুটিয়ে চলছি সংবাদপত্র আর ব্লগে!!!ঐশীদের নষ্ট হওয়ার পিছনে যেন কোন দায়ই নেই তার বাবার অর্থনৈতিক অবস্থার!

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: ধর্মিয় আর পারিবারিক মূল্যবোধের কারনেই আজ এ অবস্থা

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

স্বপনচারিণী বলেছেন: সন্তানদেরকে ছোটবেলা থেকেই সময় দেয়া উচিৎ বাবা-মার। নিজেরা বেশী সময় দিতে না পারলেও নিজেদের গণ্ডির মধ্যে তাদের বড় করা উচিৎ। যেমন- দাদা-দাদি, নানা-নানি,মামা,খালা,চাচা,ফুফু.......। উনারা সবসময় আমাদের সন্তানদের ভাল চান। একক পরিবারের কারনে সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

ভোরের সূর্য বলেছেন: ইংলিশ মিডিয়াম,আধুনিক স্কুল, প্রাইভেট ভার্সিটির দোষ দিচ্ছেন কেন।দেশের বাইরে যে ছেলে মেয়েরা পড়তে যাচ্ছে তারা কয়জন খারাপ হচ্ছে।আমরাই তাদের শিক্ষা দিতে পারিনি। একটা ছেলে মেয়ে বাইরে গেলে বিভিন্ন জনের সাথে মিশে।আমাদেরই সাবধান হওয়া উচিৎ। ইংলিশ মিডিয়ামে বড় লোকের ছেলে মেয়েরা পড়ে কিন্তু সেটা কোন দোষের কিছু না।আপনাকেও সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মাদকাশক্তরা কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে। আমার পরিবারেও ২জন আছে কিন্তু তারা বাংলা মিডিয়াম থেকেই পড়াশুনা করেছে। একটা ব্যাপার খেয়াল করেন।যিনি পুলিশ ইন্সপেকটর তার বেতন কত?সে যে অ্যাপারটমেন্টে থাকে তার ভারাই তো কিম করেও ২০হাজার টাকা।মেয়ের বেতন কমপক্ষে ১০হাজার টাকা।একজন ইন্সপেকটরের কি ক্ষমতা আছে অ্যাপারটমেন্টেএ থাকার?সরকারি হিসাবে তার বেতন সরবোচ্চ ২৫হাজার টাকা। কিন্তু তার মাসিক ব্যায় ১লাখের নিচে না।তিনি কি বাবা বা শশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালান? তাহলে তিনি তার মেয়েকে কি শিক্ষা দিবেন? আর মেয়ে তার বাবাকেই বা কিভাবে মানবে যেখানে বাবাই অধঃপতনে চলে গেছেন।প্রাইভেটের কথা বাদই দিলাম।সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক স্টুডেন্টরাই মাদক নেয়।খুন খারাবি করে।নেশার টাকা যোগাতে বাবা মা কে মেরে ফেলে।এই ইন্সপেকটরের ফ্যামিলিও কিন্তু সেই অর্থে বিত্তবান পরিবার নয়।এরাও মধ্যবিত্ত কিন্তু আসলে আমাদের সবার মধ্যেই খারাপ জিনিস যেমন ঘুষ,ঠকানো দুই নাম্বারি করা।আমরা বিবেক হারিয়ে ফেলেছি।এক ব্লগার ভাইকে দেখলাম তার ক্যাপশান দিয়েছেন সুখি হওয়ার সহজ উপায় বিবেকহিন হওয়া।কথাটা সত্যি।
বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কয়জন ইংলিশ মিডিয়ামের?
কয়জন ঋণখেলাপী ইংলিশ মিডিয়ামের?
কয়জন রাজাকার ইংলিশ মিডিয়ামের?
ঘুষখোর কয়জন পুলিশ অফিসার ইংলিশ মিডিয়ামের?
রিহ্যাব সেন্টারে যান কয়জন বড়লোকের ছেলে মেয়ে?বরং মধ্যবিত্তরাই বেশি।আর নিম্নবিত্তরাতো চিকিৎসাই করাতে পারেন না সামর্থের অভাবে। বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামের দোষ নাই।দোষ আমাদের।আমরা আমাদের সন্তানের দ্বায়িত্ত্ব পালন করতে পারিনা।সে কোথায় কি করছে খোজ রাখিনা.বায়না করলো আর দামি মোবাইল ফোন হাতে তুলে দিলাম।সহনশিল হতে শিখাই না.মানিয়ে নিয়ে চলতে বলতে পারিনা।নিজের দেশিয় কালচার শিখাই না।বাংলা হোক আর ইংলিশ মিডিয়াম হোক দেখি তো সারাদিন অন্য কালচারের টীভি অনুষ্ঠান তাহলে কি শিখবো আমর.

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

মাইন রানা বলেছেন: বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
কোরআন, হাদিস, নামাজ, রোজা, হালাল-হারাম, ভাল-খারাপ, পর্দা-অশ্লীলতা, ছোটদের স্নেহ, গুরুজনের সন্মান, মা বাবার মর্যাদা, গরীবের প্রতি দয়া মায়া এগুলি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিখানো হয়???
ইয়াবা সেবীদের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত ও পশ্চিমা কালচারের।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

পুকুরপাড় বলেছেন: ঐশীর ঘটনা প্রমান করে প্রকৃত ধর্ম শিক্ষা ব্যতীত মানুষের পক্ষে নীতিবান, চরিত্রবান, সৎ মানুষ হয়ে থাকা অসম্ভব ।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: লেখক ভাই আপনি একদম অন্ধের মতন কথা বলছেন।মাদক তো মাদকই তাইনা?সেটা ইয়াবা হোক,ফেন্সিডিল,গাঁজা হোক।সবগুলই খারাপ।যারা মাদকাশক্ত তারা যেকোন খারাপ কাজ করতে পারে।আমার লেখাটা ঠিকমত পড়েননী, আমি বলেছি আমরা সবাই এর জন দ্বায়ী।আপনি শুধু ইংলিশ মিডিয়ামের দোষ দিয়ই যাচ্ছেন।আচ্ছা ভাই,যারা বিদেশে মানে আমেরিকা,ইউরোপে মানুষ হচ্ছে তারা কি সবাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে?সেখানেতো বাংলা বা বাংলার কালচারের কোন বালায় নাই।ধর্ম,আচার আচরন কিছুই শিক্ষা দেয়া হয়না।সেখান থেকেইতো ইংলিশ মিডিয়াম এসেছে তাহলে সেখানে গেলে বাঙালিরা খারাপ হয়ে যায় না কেন? ইয়াবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বা প্রাইভেট ইউনিভারসিটির ছাত্ররা নেয় তাই তারা খারাপ কাজ করে আপনার কথা অনুযায়ী।তাহলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ডাইল,গাঁজা খায় সেটা ভাল আর সেটা খেয়ে তারা খারাপ কাজ করেনা?ভাই আমাদের কে আসলে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।বাবা মা তাদের সন্তান কে ভাল শিক্ষা দিতে হবে।এই যে ছাত্রেলীগ বলেন বা ছাত্রদল বলেন এত সন্ত্রাস,টেন্ডারবাজি,খুনখারাবি করছে বা সরকারি অফিসে গেলে যে কর্মচারিটি আপনার কাছে ঘুষ চাচ্ছে তারা কি স্কলাস্টিকা,অক্সফোর্ড,ম্যাপেল লীফ,টারকিশ হোপ,সাউথ ব্রীজ,ডন বস্কো স্কুল থেকে পাশ করেছে? আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে দেশের ঋণখেলাপী,শীর্ষ সন্ত্রাসী বা ঘুষখো অফিসার রা কি ইংলিশ মিডিয়ামের?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মাইন রানা বলেছেন: সাংস্কৃতির আগ্রাসন আজ নতুন নয়। বৃটিশরা যেদিন এই দেশ দখল করেছে সেদিন থেকে তারা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়েছে। আমরা সেই আগ্রাসন বুকে টেনে নিয়েছি।

আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা আর পশ্চিমা সামাজিক অবস্থা এক নয়। বিশ্বায়ন আর প্রযুক্তির ফলে তা আজ একাকার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা ভালটা গ্রহন না করে খারাপ গ্রহন করছি বেশী। মোবাইল ইন্টারনেট এর ভাল দিক আছে কিন্তু এটা দিয়ে চরিত্রহানীও কম হচ্ছে না।

পরিবার ও সমাজের উচিত তাঁর সন্তান ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক দিন নির্দেশনা দেওয়া। জন্মের পর থেকেই তাঁর প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া যেন সে সঠিক মানুষ হয়।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

ভোরের সূর্য বলেছেন: এইবার আপনি কথাগুলো ঠিক বলেছে।আসলেই অভিভাবক হিসাবে অনেক দ্বায়িত্ত্ব আছে কিন্তু আমরা সেগুলো পালন করিনা।আমরা নিজেরাই তো ঠিক নাই,ছেলে মেয়েরা কি শিখবে আমাদের কাছে বা ওরা কিভাবে মানবে যখন দেখে তার বাবা মা ঠিক পথে নাই।আপনি হয়তো শাসন করলে কিন্তু আপনার ছেলে বা মেয়ে যদি আপনাকে মুখের উপর বলে বাবা তুমি তো ঘুষ খাও,তুমি তো অপরাধ করো,তখন আপনি পুরা খামোশ হয়ে যাবেন।কিচ্ছু উত্তর দেয়ার থাকবেনা।

আপনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা বলেছেন।আপনার পক্ষ নিয়েই একটা উদাহরন দেই।বর্তমানের এক গায়িকা পড়শি খুবই ছোট বয়স কেবল উঠছে।সে একটি এ্যলবাম বের করেছে তার মধ্যে একটা হিন্দি গানও গেয়েছে।এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা।কিন্তু সে এটা করেছে তার এ্যলবামকে প্রমোট করার জন্য,বানিজ্যিক কারনে।ভাই,কখনোও কি চিন্তা করতে পারবেন যে একজন ভারতিয় মেয়ে তার এ্যলবামে একটা বাংলা গান ঢুকাবে হিন্দির জায়গায়? অথচ আমাদের এখানেই সম্ভব।আর একটা উদাহরন দেই। বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা গান গেয়ছিলেন।তিনি কি গান গাইলেন?দমাদম মাস্কালান্দার!!!!!!বাংলাদেশে বাংলা গানই তো গাওয়া উচিৎ ছিল বাংলাদেশ কে পরিচিত করার জন্য সেটাই কি স্বাভাবিক নয় কি?পাকিস্তানের উদ্বধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি শিল্পীরা কি বাংলা গান গাইতো? নাকি ভারতে উদ্বধনী অনুষ্ঠান হলে ওখানকার শিল্পীরা বাংলা গান গাইতো? এই হচ্ছে অমাদের সাংস্কৃতির অবস্থা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২০

মাইন রানা বলেছেন: জনপ্রিয় শিল্পী রুনা লায়লার উর্ধু গান ও পরশীর এলবামে হিন্দিগান থেকেই বুঝা যায় আমরা আমাদের ভাষা নিয়ে সন্তুস্ট নয়।

আজ বাংলাদেশে ইংরেজিতে কথা না বললে ভদ্রলোক হোয়া যায় না সেটাও নিজ ভাষার প্রতি একটি অবমাননা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.