![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি : মানুষটা বোকা..ভাল লাগে : নীরব কান্না ..প্রিয় ছিকনামা : ভাত দে .. দহনপ্রিয় বই : নহন্যতে... (মৈত্রেয়ী দেবী)প্রিয় মানুষ : ঐ তাবলিগ ওয়ালাপ্রিয় কবিতার লাইন : ধরনী বিলাসকুঞ্জ নহে নহে কারো .. অভাব বিরহ আছে . আছে ...খারাপ লাগে : লাজনীতি.. প্রিয় গান : তুমি কি সেই আগের মত আছ..প্রিয় প্রাণী : মিঁউ.. (আছে দুইটা)ঘৃণা করি : সেই সব মিথ্যাবাদী..প্রিয় খাবার : শিমের ডাল, লইট্টার শুটকী ..স্বরনীয় : নাই .. ফুক্কু.. : সতের বছর ব্রেক অব ষ্টাডি অত:পর সেকন্ড ক্লাস...
এই বিতর্কের আপনিই সভাপতি: না হয়- হয়ে যান সেরা জ্ঞানী..
Know thyself" কথাটা সম্পর্কে একটা গল্প আছে এই রকম: জ্ঞান পিপাসু এক যুবক রাজা তার জ্ঞান সংগ্রহের জন্য তার পারিষদকে নির্দেশ দেন- সারা বিশ্বের জ্ঞানকে একত্র করে তার সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
তখন তার পারিষদবর্গ ১০ বছর সময় নিয়ে ১০ টি বিশাল ভলিউমে তার সামনে উপস্থাপন করা হলে- তিনি দেখেন তার বয়স তখন ৫০ বছর। রাজকার্যের পাশাপাশি এত বিশাল সংগ্রহ পড়তে এত সময় তিনি পাবেন না। অত্রএব, এই ভলিউম আরো সংক্ষিপ্ত করার আদেশ দিলে- পারিষদবর্গ আরো ১০ বছর সময় নিয়ে সেই ভলিউমকে ৫ টিতে রূপান্তরিত করেন। এবারো তিনি দেখলেন তার বয়স ৬০ বছর। অতএব এই বিশ্বাল ৫ টি ভলিউম পড়ার সময় তার নেই। এবার আবারো তার পারিষদকে নির্দেশ দেন এটাকে আরো সংক্ষিপ্ত করার জন্য। এবার আরো ৫ বছর সময় নিয়ে বিশাল ১ টি ভলিউমে রূপান্তরিত করে আনা হলে। শেষে তিনি দেখলেন: তার বয়স তখন ৬৫ তে চলে গেছে। এবার পারিষদকে নির্দেশ দেন আরো সংক্ষিপ্ত করে একটি বাক্যে নিয়ে আসার - অতএব পারিষদ শুধু লিখলেন- সক্রেটিসের সেই বিখ্যাত উক্তি: “know thyself”
রাশিয়ান লেখক : এন্টনি চেকভ তার বিখ্যাত দ্যা বেট গল্পে সেই জ্ঞানী প্রিজনার কে দ্বারা বলিয়েছেন: The more I read, the more I am conscious about my ignorance. অর্থাৎ: আমি যতই পড়তে লাগলাম ততই আমার অজ্ঞতা সম্পর্কে সচেতন হতে লাগলাম। অথবা হযরত আলী (রাঃ) এর সেই বিখ্যাত উক্তি: মানুষ যখনই মনে করে সে জ্ঞানী হয়ে গেছে, তখনই সে বোকা হয়ে যায়।
নিউটনের কথাটাই ধরেন না: নিউটনের খ্যাতি যখন বিশ্বজোড়া তখন তার এক অন্ধ ভক্ত তার কাছে জানতে চেয়েছিল: “জ্ঞানের সমুদ্রে আপনার বিচরন কতটুকু? নিউটন তখন বিনয়ের সহিত বলে ছিলেন: সমুদ্র ?.... সে-ত বহুদূর –আমি তো সমুদ্রের বেলাভুমিতে কেবল নুড়ি কুড়াচ্ছি মাত্র।
এক দেবতা যখন অন্য দেবতাকে পুজা দেবার জন্য ১০৯ টা নীল পদ্মের সন্ধানে লাগলেন। তখন তিনি সারা বিশ্ব তন্ন তন্ন করে পেয়েছিলেন মাত্র ১০৮টি। যেখানে দেবতাদের সীমাবদ্ধতা ছিল। (আমার এই বক্তব্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবেন না) আমি বলতে চাচ্ছি যে সারাবিশ্বে নীল পদ্ম মাত্র ১০৮ টি-ই ছিলনা- ছিল আরো বেশী।
যেখানে স্বয়ং দেবতারাই সীমাবদ্ধতার মধ্যে- সেখানে কোন বিখ্যাত পাঠক যদি বলেন সক্রেটিসের সমস্ত ইতিহাস ঘেটে কোথাও পাননি- তাকে মন্দির কমিটি কর্তৃক সেরা জ্ঞানী ঘোষনা করা হয়েছিল। তাহলে দেবতার ১০৮টি নীল পদ্মের সন্ধান পাওয়ার গল্প পাঠ করে সন্তষ্ট থাকা প্রয়োজন।
আমাদের ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস মতে মুহাম্মদ (সঃ) এর পুর্ব সময়ে এক লক্ষ, চব্বিশ হাজার নবী এবং রাসুল দুনিয়াতে এসেছেন। এর মধ্যে পবিত্র কোরআনে মাত্র কয়েকজন জন নবীর নাম পাওয়া যায়। তাহলে বাকীদের নাম কোথায়? এই প্রশ্নের সহজ সমাধান হলো: বিজ্ঞ আলেমগণের ভাষায়- সক্রেটিসের মত মহা-মানবগনকেও তাদের (নাম না জানা নবীদের) একজন মনে করা হয়। কেহ যদি সক্রেটিসকে ভালবাসেন, আদর্শ মনে করেন- সমস্যা নাই কিন্তু তাকে নিয়ে আলাদা জগত তৈরি করবেন- আর অন্যকে মৌলবাদী মনে করবেন- সেটা প্রকৃত জ্ঞানীর পরিচয় না।
মোট কথা হলো: আমি জ্ঞানী হয়ে গেছি বলে অন্যরা সব মুর্খ হয়ে গেছে এমনটি মনে করার অর্থ হচ্ছে আমি চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত।
সুপ্রিয় পাঠক, এই পোষ্টটি আমার আগের একটা ছোট্ট পোষ্ট এর কাউন্টার পোষ্ট: তাই আগের পোষ্ট এবং তার মাত্র শেষের কয়েকটা কমেন্ট পড়ে.. মন্তব্য করার অনুরোধ করব।
সকলকে ধন্যবাদ..
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মুসাফির... বলেছেন: ভাইরে.. কোন মানুষই সব সময় পূর্ন মনোযোগ দিয়ে একটা লেখা লিখতে পারেনা বলেই আমার ধারনা। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। পোষ্টের মুল মেসেজ ছেড়ে অন্য দিকে টেনে নিয়ে বিতর্ক বাধানো এক ধরনের ..... মানষিকতা।
এইসব আমি পছন্দ করিনা।
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৭
টেকনো বলেছেন: সাথে আছি..
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৪
মুসাফির... বলেছেন: ধন্যবাদ..
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৩
এস এইচ খান বলেছেন:
আমি জ্ঞানী হয়ে গেছি বলে অন্যরা সব মুর্খ হয়ে গেছে এমনটি মনে করার অর্থ হচ্ছে আমি চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত।
+++++++++
সহমত।
আপনার গতকালের পোস্টের বিষয়ে ওদের সমস্যাটা ভিন্নতর মানে কোন চিন্তা ওরা মাথা খাটিয়ে করতে চায় না, ওরা করতে চায় কেবল দুস্ট রিপু যা করতে বলে তাই !!
সত্যি, মাঝে মাঝে মেজাজটা এত খারাপ হয়ে যায়! একটু কাঁচা কথা বলি, চিন্তার ক্ষেত্রে উপরের আর তলের মাথার পার্থক্য অনুধাবনের একটা ব্যপার স্যাপার সে কালেও ছিল আর একালেও আছে। তবে এ কালের সুবিধাটা হল, সুশীল ( আমি বলি ভাল নাপিত ) ভাব ধরা। এ দেশের ফ্রয়েডীয় চ্যালা চামুন্ডারা এই তলের মাথার প্রভাব থেকে আর নিস্তার পেল না। আফসুস।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: গতকালেরটাও পড়েছি, আজকেরটাও পড়লাম।
গতকালের আপনার লেখাটায় প্রথম দিকে একটু অযত্ন ছিল। একটা বিতর্ক বেঁধেছিল। অবশ্য আপনি মূল যে মেসেজটা দিতে চাইছিলেন সে দিকে না গিয়ে কিছু বিতর্ককারী শুধু শুধু প্রলম্বিত করছিল।
আজকের লেখাটা সুন্দর হয়েছে।