নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুদিনের এই দুনিয়াতে- সবাই মুসাফির

মুসাফির...

আমি : মানুষটা বোকা..ভাল লাগে : নীরব কান্না ..প্রিয় ছিকনামা : ভাত দে .. দহনপ্রিয় বই : নহন্যতে... (মৈত্রেয়ী দেবী)প্রিয় মানুষ : ঐ তাবলিগ ওয়ালাপ্রিয় কবিতার লাইন : ধরনী বিলাসকুঞ্জ নহে নহে কারো .. অভাব বিরহ আছে . আছে ...খারাপ লাগে : লাজনীতি.. প্রিয় গান : তুমি কি সেই আগের মত আছ..প্রিয় প্রাণী : মিঁউ.. (আছে দুইটা)ঘৃণা করি : সেই সব মিথ্যাবাদী..প্রিয় খাবার : শিমের ডাল, লইট্টার শুটকী ..স্বরনীয় : নাই .. ফুক্কু.. : সতের বছর ব্রেক অব ষ্টাডি অত:পর সেকন্ড ক্লাস...

মুসাফির... › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার আপন আঁধার... যে আঁধার কখনও যাবেনা মুছে..

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৮

কম বয়সী ছেলেদের সাথে ঠাট্টা বা রস করার জন্য মাঝে মাঝে কিছু অদ্বূত আচরন করি। সেদিন রাস্তায় শিপন নামের এক স্নেহভাজন ছেলে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম সাভাবিক ভাবেই ফ্লাওয়ারটি আমার উপর এসে পড়ে। সে ফ্লাওয়ারটি নিতে কাছে আসতেই আমি হালকা করে হাসি দিয়ে বল্লাম:
..''ননসেন্স" (এ রকম আমি অন্য সময়ও করে থাকি)
এবার সেও আমার মত করে আমাকে বলল:
.. ''ডগস্ ফাদার''
তার কথাটি আমার হৃদয় গভীরে একটা ক্ষত হয়ে রইল সারা জীবনের জন্য:

কারনটি হলো- আমার বাসাটি হলো একটি মুটামুটি বড় গ্রামের বাজারের এক প্রান্তে। আমি বিড়াল পুষি এ বিষয়ে আমার একাধিক পোষ্ট আছে। একদিন লক্ষ করলাম আমার বাসার সামনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে একটি কুকুর প্রায় ৬টি বাচ্চাকে দুধ পান করাচ্ছে. তার ক্ষীন শরীর। নি:সন্তান আমি সে দৃষ্য অবলোকন করে সাথে সাথেই ঘর থেকে গত কালের পুরাতন ভাত নিয়ে তাকে খেতে দিলাম। সে খেল.. আমি তার লেজ নড়ন আর কৃতজ্ঞতা ভরা চোখ দেখলাম। সেই থেকে চলল নিয়মিত খাবার দান।

এভাবেই কোন একদিন হোটেলে খেতে গেলাম গ্রামের বাজার হেতু হোটেলের সামনের অংশেই চলে রুটি ভাজন। একটি কুকুর করুন চোখে তাকিয়ে আছে রুটি ভাজা সে দৃষ্যে- আমি পাঁচ টাকা দিয়ে একটি রুটি কিনে তাকে দিলাম- সে খেল এবং আমাকে চিনে নিল। সেই থেকে নিয়মিত চলছে আমাকে সামনে পেলেই..

অন্য একটি কুকুর বাসার পিছনের অংশে খড়ির ঘরের নিচে বাচ্চা প্রসব করল- তার শরীরটাও দুর্বল তাকেও খাবার দিলাম কয়েক দিন। এবার সে সরাসরি বাসার সামনে দরজার পাশে আমার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে।
আরো অণেক ঘটনার পরিক্রমায় কুকুরেরা আমার পিছু পিছু হাঁটে.. মটর সাইকেল চালানোর সময়ও সাথে সাথে দৌড়ায় ... আমার দৈনিক প্রায় ২০/৩০ টাকা খরচ হয় ওদেরকে খাওয়াতে সেইসাথে বাসার পুরাতন ভাত, ভাতের মাড়, কখনও বাসায় বানানো রুটি, অথবা বাজার থেকে কেনা পাউরুটি। আরো কতকি? যখন যা পাই..

পান দোকান্দার তাহের এর কাছে গেলাম একটা পান খেতে.. দেখি পাশেই একটি কুকুর আমাকে দেখে তার লেজ নাড়ছে। তাহের আমাকে পান দিতে দিতে ঠাট্টার স্বরে বলে-- বাচ্চা পুলাপান এগুলো বাসায় রেখে আসতে পারেন না?
আমি.. ''না শুনার ভঙ্গিতে চুপ থাকি।

আমার দয়া আর অনুগ্রহ আজ আমার জীবনের জন্য এক চরম গালি আর বিড়ম্বনা হয়ে রইল.. ''আমি ডগস্ ফাদার"(?)। অনেক ভেবেছি কিন্তু আমি এদের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে খাওয়ানে থেকে ফিরে আসতে পারবনা। এ যেন এক নেশার মত - যা থেকে আমার মুক্তি নেই।


আমার বিড়াল/বা প্রাণী বিষয়ক আরো পোষ্ট- আশাকরি ভাল লাগবে..

ভালবাসা দিয়ে কি কি করা যায় ?
অন্য রকম দখলদারিত্ব- দেখুন আমি কেমন আছি..
জীবনের টুকরো গল্প - ১ আমার ট্রেডমার্ক - বিড়ালটির কথা
একটি কুকুরের মরনপন অভিমান ও আমার পরাজয়ের কথা..

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৬

নিলু বলেছেন: পরাজয় তো হওয়ার কথা নয়

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

মুসাফির... বলেছেন: পরাজয় কথাটি কেন লিখলেন বুঝলাম না..

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

আজমান আন্দালিব বলেছেন: চরম গালি আর বিড়ম্বনার কিছু নেই। মন চাইলে চালিয়ে যান। পশুদের প্রতি এ ভালোবাসা কয়জনেরই বা আছে।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওটা তো গালি নয়, ওটা এক ধরণের সন্মান!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.