![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আছি ব্যাক বেঞ্চার, আর কিছু ভাবনা আছে নিঃসঙ্গ। কিছু কথা আছে কাউকে বলতে না পারার- সেগুলো বলতেই আমার কিবোর্ড চাপাচাপি.।...।
ব্যবসা পাতির সেকাল একাল V-1.
প্রথমেই সকল ভাষা শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যাদের আত্নত্যাগেই আজকের বাংলাভাষাকে ফিরে পেয়েছি।
এবং অাজ বাংলায় ব্লগিং করি!
(আমার ব্লগগুলো একট ইনফরমাল ল্যাঙ্গুয়েজের। আমি ব্লগ লেখায় বেশি ফরমালিটি
পছন্দ করি না, কারণ অবসর সময়টা উপভোগ করার জন্য আমি ব্লগ লেখি। সেখানে
ফরমালিটি করে লিখতে গেলে বিরক্তি আসে শেষে আর লেখাই হয়ে উঠে না..)
ব্যবসায় লাভের সম্ভাবণা বেশি নাকি লসের? এই তক্কটা শেষ করে নিচের লেখাটি পড়েতে অাসুন.
ব্যবসায় এর প্রচলিত ধারণা এখন বেকার, সময়ের সাথে ব্যবসায়ের ধরণ বদলিয়েছে
খরগসের গতিতে। সেখানে আমি আপনি যদি কচ্ছপের গতিতে চলি, তাও আবার ঘুমিয়ে
ঘুমিয়ে তাহলে নিশ্চিত সফলতা লাইনের এতো পিছে পরবো যে- সেই লাল ফিতেই দৃষ্টি
সীমানার বাইরে চলে যাবে। তাই বদলের ধারার তাল-লয় ঠিক রেখেই আমোদের ব্যবসায়
নাচের ধারণ বদলাতে হবে।(পরিবর্তিত অবস্থার সাথে মিল রেখে ব্যবসায় কৌশল ঠিক
করতে হবে)।
ব্যবসায় বলতে কি বুঝেন??
আমার সহজ ভাষা, অন্যের টাকা বৈধ উপায়ে নিজের পকেটে আনার প্রসেস কে আমি
ব্যবসা বলি। তবে আপনি আমার চেয়ে একটু আপডেট হলে ব্যাংকেও আনতে পারেন।
এজ ইউর খায়েশ(ইচ্ছা)।
এখন কথা হচ্ছে অন্যের টাকা বৈধ উপায়ে নিজের পকেটে আনতে আপনি কি করবেন?-
-নিজের কালো গাভির দুধ বিক্রি করে, আমাদের টাকা আপনার পকেটে নিতে পারেন।
(কালো গাভি বললাম কারণ ছোটবেলার চাঁদ মামা’ কবিতার কালো গাভির কথা হঠাৎ
মনে পরেলো।
- বউয়ের জন্য প্রতিহাট থেকে লিপস্টিক আরো কিকি সব কেনেন। ভাবলেন আপনার
বউয়ের যেহেতু এইসব রঞ্জনদ্রব্য লাগে অন্যদেরও লাগে নিশ্চয়। শুরু করলেন এই
রঞ্জণদ্রব্যের কেনা বেঁচা- ব্যাস অন্যদের বুকপকেটের টাকাপর্যন্ত আপনার পকেটে চলে
আসে। এইসব গেলো ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা। এবার একটু সেবার ব্যবসায় যাওয়া যাক।
-প্রকৃতিক উপায়ে আমাদের চুল, দাঁড়ি, নখ বড় হয়। নিজের চুল-দাঁড়িতো আর নিজেই
কামানো যায় না। আপনি করলেন কি অন্যদের এই চুলদাঁড়ি,নখকে একটু সাইজ করে
দিলেন দেখবেন টাকা হুর হুর করে আপনার পকেটে ঢুকবে। ভাই মর্যাদাহানি কর ভেবে
লেখককে গালমন্দ করবেন না প্লিচ। আামাদের দেশেরে বেকারত্বে সমস্যার একটা বড়
কারণ কাজের প্রতি সম্মান না থাকা এবং কিছু কিছু কাজকে এতো ছোট করে দেখে
কেউ কেউ, মনে হয় সেগুলো ম্যাগনিফাই গ্লাস দিয়ে দেখার বস্তু।
-নদীর এপারে দাঁড়িয়ে সুধালেন, ওগো নদ লয়ে যাও না আমায় ওপাড়ে। আপনি পরেই
থাকবেন পিছে মাঝি যদি আপনাকে ওপারে পার করে না নেয়। অবশ্য আপনি সাতঁরে
পার হতে পারেন, গোসলও হলো আপনার পকেট থেকে টাকাও খরচা হলো না। এই যে
মাঝি এপার থেকে আপনাকে ওপারে পৌছেদিলেন এটা তার ব্যবসায়। এই পরিবহন
ব্যবসায় এখন নৌকার সাথে যোগ হয়েছে রেল,বাস,বিমান,লঞ্জ ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাহ! ব্যবসায়ের কতরূপ, কত পরিবর্তন। আসলে অভাববোধ আর পরিবর্তনটাই ব্যবসা।
এগুলোতো গেল, সেকেলে ব্যবসায়ের নমুনা। আরো হাজার খানের প্রচলিত ব্যবসায়ের
নমুনা আপনি একটু চিন্তা করলেই পেয়ে যাবেন।
তাই যেকেউ ব্যবসায় করতে গেলে এই দুইটি বিষয়ের উপর ফোকাস করবেনই। আমার
অনুরোধ , তাহলে আপনার ব্যবসায়ে সফলহবার চান্স বেড়ে যাবে। কারণ আপনি যদি
অভাবটাকে ঠিকমত বোধ করতে পারেন, এবং যুগ উপযোগী পরিবর্তনের মাধ্যমে তা
ভোক্তার নিকট উপস্থাপণ করতে পারেন- তাহলে সেটা বাজারে কাটবেই। এবং খুব ভালো
করেই কাটবে।
আচ্ছা, এতোক্ষণ কিছু ব্যবসাপাতি নিয়ে কথা বললাম যা হগলেতেইর জানা। আমরা
বাল্যকাল থেকেই সেগুলোর সাথে পরিচিত। এখন আধুনিক ব্যবসায় পাতি নিয়ে একটু
কিছু বলতাম চাই
-রোজার ঈদের আগের রাত। যাকে আমরা চাঁদরাইত বলে জানি, আমার বরাবরের একটা
অভ্যাস ছিলো এই ঈদের আগর রাতে মার্কেট করা। তখন কেনাকাটা করলে মার্কেট
করাই বুঝতাম, আর এর বাংলা অর্থ বাজার বলতে গ্রামের আলু-পেয়াঁজ-মাছের বাজারই
চিনতাম। বিজনেস পড়তে এসে জানলাম মার্কেট করা কথাটা ভুল। হবে শপিং করা
কিংবা কেনাকাটা করা। মার্কেট অর্থ এখানে বর্তমান+ভবিষ্যৎ ক্রেতাদের সমষ্টি, কি
মারাত্নক ব্যাপার! তাই হোক এখন আর চাঁদরাতে মার্কেট করতে থুক্কু শপিং করতে বের
হওয়া হয় না, সারা রমজান মাস ধরেই নেটে চোখ থাকে- যখনই কোন প্যান্ট, শার্ট বা
জুতা ভালো লাগে তাদের সাইটে একটু ঘাটাঘাটি করি। হাতের নাগালের মধ্যে থাকলে
অর্ডার করে দেই। বাসায় এসে দিয়ে যায় ২/৩দিনের মধ্যেই। কিন্তু সেই ঘুড়ে ঘুড়ে ইদের
শপিং করার আনন্দটা আর পাই না।
-একটা প্রোগ্রাম করতে হবে অফিসে, কর্পোরেট টাইপ। যাতে কোন কিছু মিস এরেন্জ না
হয়, তাই একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের কনসালটেন্সি নিলাম। ভিডিও কলে, তারপর
সব বুঝেশুণে তারা একটু ফর্দ(তালিকা) ধরিয়ে দিলো। সবকিছু ম্যানেজ করার দায়িত্ব
তাদের দেয়া হলো না, রেট বেশি। বাট ওই যে একটু আড্ডার ছলে আমাদের দুই চারটা
ব্যপার নিয়ে বললো, তাতেও তাদের একটা এম্যাউন্ট দিতে হলো। এটাকে তারা হনারিরম
বলে। বাহ! (বলতেছিলেন ইফাদ সাহেব) পকেটের টাকা তাদের পকেটে টান্সফার করার অভিনব পদ্ধিতি।
ভালো লাগলো আইডিয়াটা, তবে কনসালটেন্সি করতে হলে আগে উক্ত বিষয়ে পুটুর বাপ
হতে হয়। এক্ষেত্রে অল্পবিদ্যা ভঙ্কয়র কথাটা যায়।
-আর ঘটক ব্যবসায়ের সম্পের্কে তো সবাই জানেন। ঘটক যেখানে শুধু দুই পক্ষের মধ্যে
একটা সম্পর্ক পাতায় দেয়, এতেই তার লাভ। যার আধুনিক রুপ হচ্ছে এই বিক্রয়.কম,
উবার,পাঠাও ইত্যাদি সব মার্কেট প্লেস। যেখানে তারাও সর্ম্পক পাতায় ক্রেতা আর
বিক্রেতার মধ্যে একটু আধুনিক উপায়ে। মাঝখানে তারা পকেট ভর্তি করে।
এই হলো আধুনিক ব্যবসায়ের দু’একটা উদাহরণ। আরো শতশত উদাহরণ একটু
চোখমেলে তাকালেই পাবেন, আর যদি আপনার চোখের স্রোত বেশি দূর প্রবাহিত না হয়,
তবে গুগলকে জিজ্ঞাসা করেন ঠিক বলে দেবে।
আসলে আমি বিজনেসের ছাত্র হলেও বিজনেস নিয়ে এটাই সম্ভোবত প্রথম ব্লগ, তাই এই
ব্লগটা খুব বেশি দীর্ঘ করতাম চাই না। আর যেহেতু ব্লগের ভার্সন হচ্ছে V1.00 তাই
সামনের ব্লগগুলো আরো বেশি তথ্য সমৃদ্ধ করার চেষ্টা অবশ্যই করবো।
লেখকঃ হাবিব রহমান
শিক্ষার্থী- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
©somewhere in net ltd.