নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই নৈসর্গিক স্বপ্নগুলো ব্যাঞ্জনবাধা শব্দে বন্দী,যার কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই।

মুহামম্াদ হুসাইন বিল্‌লাহ

মুহাম্মদ হুসাইন বিল্লাহ

মুহামম্াদ হুসাইন বিল্‌লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল অপরাধের জন্য কার্যত দায়ী প্রচলিত সিস্টেম

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

আল্লাহর রসুল বলেন, প্রত্যেক মানবশিশু জন্ম নেয় ফেতরাত অর্থাৎ প্রকৃতির উপর অতঃপর তার বাবা মা তাকে ইহুদি, খ্রিস্টান অথবা জরোথুস্ট্রিয়ান বানিয়ে ফেলে [আবু হোরায়রা রা. থেকে বোখারী]। একইভাবে কখনও কোন মানুষ মায়ের গর্ভ থেকে চোর, ডাকাত বা দুর্নীতিবাজ হোয়ে জন্ম নেয় না, সমাজকাঠামোই তাদেরকে অপরাধপ্রবণ কোরে তোলে। যারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি কোরতে যান তাদের অনেকেই এই অভিপ্রায় নিয়ে যান না যে ইচ্ছা মতো ঘুষ খাবেন। যারা ব্যবসা কোরতে যান তারাও নিশ্চয়ই পণ্যে ভেজাল দেওয়ার নিয়তে ব্যবসা কোরতে যান না; কিন্তু এক সময় তাকে অসততার বাজারে টিকে থাকার জন্য সততা বিসর্জন দিতে হয়। রাজনীতিতে যারা যান তারাও হয়তো এই মানসিকতা নিয়ে যান না যে দুর্নীতি কোরবেন, সন্ত্রাসী লালন কোরবেন, জনগণের সম্পদ লুট কোরবেন, বিদেশে টাকা পাচার কোরবেন। তাহোলে কেন মানুষগুলো অবধারিতভাবে সততা হারিয়ে দুর্নীতিবাজ, ওয়াদা খেলাফকারী হোয়ে যায়, সন্ত্রাসী, মিথ্যাবাদী, মানুষের সম্পদ লুণ্ঠনকারী হোয়ে যান? যে ছাত্ররা শিক্ষকের পায়ে হাত দিয়ে দোয়া নিত, সেই ছাত্ররাই এখন কেন শিক্ষককে মারধোর করে? যে ছাত্রদের শিক্ষা অর্জন কোরে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করার কথা, সেই ছাত্ররা টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী, বোমাবাজি, ছাত্রাবাসের আধিপত্য নিয়ে পরস্পরকে খুন করে, রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী হিসাবে ভাড়া খাটে। প্রচলিত সিস্টেমই তাদেরকে এমন বানায়। ত্র“টিপূর্ণ সিস্টেমের মধ্যে বসবাস কোরে শত চাইলেও আপনি ভাল থাকতে পারবেন না।
সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে মানবজাতি যেন সুখে, শান্তিতে থাকতে পারে, সমৃদ্ধশালী জীবন গড়তে পারে এজন্য যুগে যুগে স্রষ্টা প্রতিটি জনপদে পথ প্রদর্শক অর্থাৎ নবী এবং রসুলগণকে পাঠান। তাঁদের কাজই ছিলো মানবজাতিকে একটি নিখুঁত সিস্টেমের সন্ধান দেওয়া। সেই সিস্টেম প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজে সৃষ্টি হয় অনাবিল সুখ, শান্তি, সস্তি ও নিরাপত্তা। মানুষ যখন স্রষ্টার দেয়া সেই জীবন ব্যবস্থাকে বিকৃত করে ফেলে তখন মানুষ পতিত হয় চরম অন্যায় অশান্তিতে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪০০ বছর আগে আরবের অন্ধকার যুগে আল্লাহ পাঠালেন মহাসত্যের আলোকবর্তিকা, বিশ্বজাহানের রহমত, খাতেমুন নাবীয়্যিন মোহাম্মদ (দ:) কে। তাঁর উপর দায়িত্ব সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর সত্যদীন, দীনুল হক প্রতিষ্ঠা যার মাধ্যমে অন্যায়, অশান্তি, অপরাধ সমাজ থেকে নির্মূল হোয়ে যাবে এবং মানুষ একটি সুখি সমৃদ্ধ প্রগতিশীল পৃথিবীতে বসবাস কোরতে পারবে। রসুলাল্লাহ, তাঁর আসহাবগণ এবং তাঁদের পরবর্তী মো’মেনরা পার্থিব সবকিছু কোরবান কোরে কঠোর ও সর্বাত্মক সংগ্রামের মাধ্যমে মাত্র ৬০/৭০ বছরের মধ্যে অর্ধ দুনিয়ায় স্রষ্টার দেয়া সেই নিখুঁত জীবন ব্যবস্থা বা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা কোরলেন। ফলে মানুষের জীবন এবং সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হোল। একজন যুবতী সারা গায়ে অলঙ্কার পরে একা শত শত মাইল পথ ভ্রমণ কোরতে পারতো, তার মনে কোন ক্ষতির আশঙ্কাও জাগ্রত হোত না। মানুষ রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব কোরত না। আদালতগুলিতে মাসের পর মাস কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা আসতো না, এমন কি বহুক্ষেত্রে অপরাধী নিজেই বিচারকের কাছে এসে অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি প্রার্থনা কোরত, উকিল বা সাক্ষী কিছুরই প্রয়োজন পড়তো না। অর্থনৈতিক মুক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, দান অথবা যাকাতের টাকা গ্রহণ করার কেউ ছিলো না। শাসক শাসনকার্যকে এবাদত মনে কোরত, আর জনগণের সম্পদকে মনে কোরত পবিত্র আমানত। প্রতিটি মানুষ আল্লাহর দেয়া সিস্টেমে বাস করার ফলে সত্যবাদীতা, আমানতদারী, পরোপকার, মেহমানদারী, উদারতা, ত্যাগ দানশীলতা, ইত্যাদি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ হোয়ে গিয়েছিল। শিক্ষাদানকে মনে কোরত এবাদত, আর সমাজে শিক্ষকের সম্মান ছিলো পিতার মতো। নারীরা পূর্ণ সম্মান ও মর্যাদার সাথে জাতীয় ও সামাজিক প্রয়োজনে নিশ্চিন্তে, নির্বিঘেœ যে কোন ভূমিকা রাখতে পারতো, কোন ফতোয়ার চোখ রাঙানী ছিলো না। স্রষ্টার দেয়া সেই সিস্টেম সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্ব বিবাদ, মারামারি, কাটাকাটিতে নিমজ্জিত সমাজের মানুষগুলিকে সোনার মানুষে রূপান্তরিত কোরল। শুধু সমাজটিই সুন্দর হোল না, জাহেলি যুগে যারা নিজের কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিত তারা হোয়ে গেলো একেকজন সোনার মানুষ।
বর্তমানে চলমান এই অশান্তি থেকে মুক্তির পথ আবারও সেই হারিয়ে যাওয়া শান্তিময় সিস্টেমটি মানবজীবনে প্রতিষ্ঠা করা। ১৩০০ বছরে এসলাম বিকৃত হোয়ে যাওয়ার কারণে সেই প্রকৃত এসলাম দুনিয়া থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার সেই সুযোগ ফিরে এসেছে। মহান আল্লাহ দয়া কোরে এ যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মাধ্যমে তাঁর সেই অবিকৃত এসলামের প্রকৃত রূপরেখা আবার মানবজাতির কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা শান্তির আশায় একটার পর একটা ব্যবস্থা পরিবর্তন কোরছি। রাজতন্ত্র, সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্রের পর গণতন্ত্রের ব্যর্থতাও প্রমাণিত হোয়ে গেছে। প্রকৃত সত্য হোল, ভুল সিস্টেম বজায় রেখে নেতৃত্ব পরিবর্তন কোরলে লাভ নেই, এখন মানবজাতিকে বাঁচতে হোলে এই সিস্টেমটা প্রত্যাখ্যান কোরে স্রষ্টার দেওয়া শান্তিময় সিস্টেমটি গ্রহণ কোরতে হবে। সারা পৃথিবীতে অবাধে বিচরণ, ব্যবসা বাণিজ্য, বিবাহ ও বসবাস কোরতে পারা মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার। এই অধিকার মানুষ ফিরে পাবে। পাশাপাশি যে শিল্প মানুষের কল্যাণে আসে এবং মানুষের মেধার ইতিবাচক বিকাশ ঘটায় সেই শিল্প চর্চার পথ উন্মুক্ত হবে। সুতরাং আসুন, আমরা আর দেরি না কোরে বর্তমানের এই অশান্তিময় সিস্টেমটাকে বদলিয়ে স্রষ্টার দেয়া নিখুঁত সিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পৃথিবীকে স্বর্গরাজ্যে পরিণত করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.