![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুহাম্মদ হুসাইন বিল্লাহ
মুহাম্মদ হুসাইন বিল্লাহ
-------------------------
তাং ২০-১৬-২০১৬ ইং
পৃথিবীরর মানুষ এখন দুই মেরুতে অবস্থান করছে।
ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষতা।
কেউ ধর্মকে বিশ্বাস করে আবার কেউ করেনা।
কেউ ভাবে ধর্মই মুক্তির চাবিকাঠি আবার কেউ ভাবে ধর্মই সকল অশান্তির মূল।
এই ধর্ম এবং ধর্মহীন দুটি মেরুই একে অপরের মুখোমুখি।
অথচ দুটি দর্শনই মানবতার কথা বলে!
কি আজব!
আমরা ধর্মীয় বিশ্বাসীরা যেমন মনে করি যে ধর্ম ছাড়া মানবজীবনে শান্তি আসবে না ঠিক তার বিপরীত পক্ষ ভাবে ধর্মই সকল সমস্যার মূল -তাই প্রথমেই ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিত্যাগ করতে হবে।
কিন্তু মূল বিষয় একই থাকা সত্বেও কেন এই ধর্মীয় ও ধর্মহীন কোন্দল?
সূচনা:
--------
১৮৫১ সনে জর্জ জ্যাকব সর্ব প্রথম ধর্মনিরপেক্ষতার ধারনার জন্ম দেন।
তিনি এটা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে ধর্ম কোন রাষ্ট্রের অংশ নয় বরং ধর্মই রাষ্ট্র থেকে আলাদা ও সতন্ত্র একটি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
তার এই দর্শন ছিল মূলত খৃষ্টান ধর্মকে নিয়ে।
কেননা ১৮১৫ থেকে ১৮৪৪ সাল পর্যন্ত মানুষ গীর্জাবিমূখ হতে শুরু করে।
কারণ, ১৭৬০ সালের থেকে ১৮০০ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত খৃষ্টীয় ধর্মীয় নেতারা জোরপূর্বক রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
যার থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ধর্মহীনতার পথে পা'বাড়ায়।
(নোট:১)
১৮১৫ সাল থেকে ১৮৪৪ সাল পর্যন্ত এই ক্ষোভ দানা বেধে বিক্ষোভে রুপান্ত্রিত হয়।
এর কিছুদিন পরই অর্থাৎ ১৮৫১সালে ধর্মনিরপেক্ষতার আইডিয়া তুলে ধরেন।
এটা প্রকাশ হওয়ার পরপরই বিশৃঙ্খল মানুষ পঙ্গপালের মত ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে ছুটে যায়।
জন্ম হয় ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের।
এটাই ছিল ধর্মনিরপেক্ষতার সূচনা।
(এখানে আপনি দ্বিমত পোষণ করলে যুক্তি ও তথ্য সহকারে তুলে ধরবেন বলে আশাকরি)
এখানে ইসলামের কোনো সংশ্রব ছিলোনা।
কি এই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ?
------------------------------
“ নিরপেক্ষ" শব্দের অর্থ কোনও পক্ষে নয় ৷ “ধর্ম-নিরপেক্ষ" শব্দের অর্থ, কোন ধর্মের পক্ষে নয় ৷ অর্থাৎ সমস্তর ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন ৷
উইকিপিডিয়ার মতে সেক্যুলারিজম শব্দের আভিধানিক অর্থ - একটি মতবাদ, যা মনে করে
রাষ্ট্রনীতি , শিক্ষা প্রভৃতি ধর্মীয়
শাসন থেকে মুক্ত থাকা।
জর্জ জ্যাকব ১৮৯৬ সালে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কিত এক প্রকাশনার ধর্মনিরপেক্ষতাকে নিম্ন লিখিত ভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন:" ধর্মনিরপেক্ষতার জীবন, বিশুদ্ধরূপে মানুষের বিবেচনার উপর প্রতিষ্ঠিত, যারা ধর্মের অনির্দিষ্ট বা অপর্যাপ্ত, অবিশ্বস্থ বা অবিশ্বাস্য ধর্মতত্ত্বকে বিশ্লেষণ করেতে ইচ্ছুক তাদের জন্যই এই মতবাদের উৎপত্তি। এর তিনটি মূল ভিত্তি বিদ্যমান, যথাঃ- (১) উন্নয়ন: জীবনকে নৈতিক গুণাবলীর ভিত্তিতে গড়ে তুলতে। (২) বিজ্ঞান মানুষের উপলব্ধ রিযিক. (৩) যে কাজ ভালো তাকে ভালো ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে এবং পাথির্ব জীবনের সার্বিক কল্যাণকেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি :কি পেয়েছি আমরা এ মতবাদে?
----------
যারা মনে করে ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই ধর্মীয় বিষয়ে সকল সমস্যার সমাধান- তাদের কাছে আমার প্রশ্ন যে, আপনারা ধর্মকে ত্যাগ করে ধর্মহীন উপয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন বিগত কয়েকশত বছর ধরে।
কিন্তু আপনাদের কাঙ্ক্ষিত মানবতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন কি?
জনগণও আপনাদের উপর ভরসা করেছিল।
যারা করেননি তাদেরকে কারাবন্দী করে বাধ্য করিয়াছেন।
কেন পারেন নাই আপনারা মানবজাতির সেই কাঙ্ক্ষিত শান্তি দিতে?
মানব রচিত জীবনব্যাবস্থা একটা দিয়ে নয় বার বার পরিবর্তন করেছেন।
কখনো সমাজতন্ত্র সাম্যবাদ গণতন্ত্র রাজতন্ত্র কম্যুনিজম ফ্যাসিবাদ বিভিন্ন মতবাদে প্রবেশ করেছেন।
উলটে পালটে দেখেছেন কোনটায় কি আছে।
কিন্তু ফলাফল কেউ ইতিবাচক দেখাতে পারবেন? বরং পরিস্থিতি আরোও খারাপ হয়েছে।
অস্ত্রের জোরে কোন মতাদর্শ পরাজিত করা যায় না।
মানুষের মনে পুঞ্জিভূতক্ষোভ, অস্ত্রের জোরে হয়তো সাময়িক সমাধান করা গেলেও স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব নয়।
এই স্থায়ী সমাধান কোন পথে তার খোজে বারবার মানুষ পঙ্গপালের মত ছুটে গেছে সমাজতন্ত্র রাজতন্ত্র গণতন্ত্র'র ছায়ায়।
আজো গণতন্ত্র গায়ের জোরে চাপিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে লক্ষ লক্ষ আদম সন্তানকে হত্যা করে চলেছে কতৃত্বাবাদীরা।
যে লক্ষে সমাজতন্ত্র রাজতন্ত্র একনায়কতন্ত্র গণতন্ত্রের অভূদ্যয় হয়েছে তার এক ভাগও সাফলতা দেখাতে পারিনি।
নির্বাচনের সময় মানুষ হত্যা, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা (সব দেশ) দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ,
সর্বোপরি এক ভয়ানক পরিস্থিতি এসে উপস্থিত হয়।
দিন দিন অন্যায় অবিচার জুলুম নির্যাতন খুন ধর্ষণ ছিনতাই হাইজ্যাক নারী নির্যাতন
শিশু নির্যাতন ধাঁ ধাঁ করে বেড়েই চলেছে।
যেদিকে তাকায় সেদিকে শুধুই অন্যায় অবিচার। মানুষ তার প্রকৃষ্টতা হারিয়ে অনার্যে পরিণত হয়েছে।
মানবতাবোধ শুধুই কিছু শব্দজালে বন্দী।
নিরাপরাধ মানুষগুলো বিনা বিচারে কারাভোগ করছে।
জেল বন্দী হয়ে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে (সব দেশে)।
পৃথিবীর এক ইঞ্চি জায়গা নেই যেখানে শান্তি দেখতে পাওয়া যায়।
অথচ শান্তির জন্য কত ত্যাগ কুরবানি ও বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
অর্থনীতির পাহারাদাররা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
দেশে দেশে শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায়। একটার পর একটা জোট গঠন করা হচ্ছে।
সামরিক জোটও গঠন করা হয়েছে।
নিরাপত্তাচুক্তি করা হচ্ছে।
রেলপথ নৌ-পথ কঠর নযরদারীতে আনা হয়েছে।
সিমান্তে কাটা তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে।
তবুও।
তবুও শান্তি প্রতিষ্টা হয়েছে কি?
মানব রচিত মতাদর্শ আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
জাতিসংঘের পরাজয় ঘটেছে।
কি চাই আর! আর কি চাই বিশ্ববাসী?
এই জীবনব্যস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য কোটি কটি মানুষের প্রাণ হরণ করা হয়েছে।
দেশ জনপদ মসজিদ মন্দির প্যাগোডা গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে।
আহত বিকলঙ্গ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে লক্ষ কোটি মানুষ।
শান্তি?
সুদুর পরাহত!
মানুষ ধর্মকে পৃথক করেছিল পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
ধর্ম সেখানে ব্যর্থ হয়েছে।
এই যে ধর্মের ব্যর্থতা -এর জন্য দায়ী কে?
চলবে...
[email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৯
মোহামেদ বলেছেন:
পৃথিবীতে এজাবৎ কোন সফল ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হয়নি।
১০০% মুসলিম প্রধান দেশগুলোতেও হাজার বছরেও সফল ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হয়নি।
বরং ধর্মনিরোপেক্ষ কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, সুইডেন ডেনমার্ক সুইজারলয়ান্ড, নেদারল্যান্ড, জাপান প্রভৃতি দেশ সফল শান্তিপুর্ন দেশ প্রমানিত হয়েছে।
মুসলিমরা কিভাবে সফল হবে , এদের ভেতর এত বিভক্তি, এত ফেকড়া যে নিজদের ভেতর বোমাবাজি মারমারি করে।
ইসলামে ৯৯ পদের বিভক্তি
বাংলাদেশের মুসলিমরা ১০-১২ ভাবে বিভক্ত হলেও প্রধান দু'টি দলে বিভক্ত ১. সুন্নী। ২. ওহাবী। অনেকটা অারবের শিয়া-সুন্নীদের মত। সুন্নী ওহাবীদের পার্থক্য হল সুন্নীরা মাজারপন্থী অার ওহাবীরা মাজারবিরোধী, সুন্নী রা মিলাদ কিয়াম করে অার ওহাবীরা এসবকে বিদঅা'ত বলে। বিদঅা'ত মানে হল নতুন অাবিষ্কৃত তথা যা কিছু ইসলামে নাই তা পালন করাকে বিদঅা'ত বলা হয়। সুন্নীরা মনে করে নবী মুহাম্মদ নুরের তৈরি অার ওহাবীরা মনে করে মাটির তৈরি, এছাড়াও এদের মধ্যে অারো মৌলিক পার্থক্য অাছে, এরা পরষ্পর ঘোর বিরোধী। এরা নাস্তিকদের চেয়ে বেশী ঘৃণা করে পরষ্পর কে, কয়েক মাস অাগে ওহাবীরা সুন্নী অালেম নুরুল ইসলাম ফারুকী কে হত্যা করে অার কিছুদিন পূর্বে ওহাবীদের মতে মুনাফেক মাওলানা মাসুদ উদ্দিন ফরিদকে শোলাকিয়া ঈদগা ময়দানে ঈদের নামাজের সময় হত্যা করতে চেয়েছিল।
এবার অাপনার কিছুটা বুঝতে সহজ হবে মুসলমানদের মধ্যে কোন ঐক্য নেই, এরা নিজেরাই মারামারি করে অার মরে যাওয়ার পর বেচে থাকা মুসলমানরা ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র বলে নিজেদের ব্যার্থতার ঢাকার চেষ্টা করে।