নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা বুরিগঙ্গার তীরে অবস্থিত । এটি আগে দোলাই
নদী নামে পরিচিত ছিল । এককালের স্বচ্ছ
পানি প্রবাহী বুড়িগঙ্গার বর্তমান
অবস্থা দেখলে যে কারো চোখে পানি চলে আসবে ।
পুরো ঢাকা শহরের সব কলকারখানা আর পয়ঃনিস্কাষণের
লাইনগুলো বুরিগঙ্গায় এসে মিলেছে । পানির
রং আলকাতরার মত কালো । শীতকালে যখন
নদীতে পানি প্রবাহ কমে যায় তখন অবস্থা এতটাই ভয়াবহ
থাকে যে নদীর কাছে যেতেই বমির উদ্রেক হয় ।
সোয়ারীঘাট এ আছে ব্যাপক বর্জ ফেরার সমাহার ।
হাজারীবাগের সব কারখানার বিষাক্ত বর্জ পদার্থের লাইন
নদীতে দেয়া হয়েছে । নদীর
পানি নিয়ে গবেষণা করলে যে নতুন কত প্রকারের পদার্থ
আবিস্কার হবে তা রসায়নবিদরাও চিন্তা করতে পারবেন না ।
সদরঘাটে লঞ্চ যাত্রীদের ফেলে দেওয়া ডাব আর কলার
খোসা , পাউরুটির প্যাকেট , পানীয়ের বোতল
ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের আবর্জনা নদীটার
তেরটা বাজিয়ে রেখেছে ।
তার উপর আছে লঞ্চের তেল আর বর্জ পদার্থ ।
সদরঘাটে অবস্থা এমন যে সাঁতার জানা কোন লোকও
যদি নদীতে পড়ে যায় তবে সে এসব জিনিসের সুঘ্রাণেই
মরে যাবে !!!
তবে সদরঘাটের পর থেকে অবস্থার
কিছুটা উন্নতি চোখে পড়ে । নদীর দুপাশের
ইটভাটা ছাড়া আর আগেরমত এতটা দূষণীয় কিছু নেই ।
তবে হরহামেশাই নদীর বুকে বর্জ পদার্থের লাইন
চোখে পড়বে । পোস্তগোলা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অর্থাত্
বুড়িগঙ্গা সেতু ২ এর নিচে আর্মি থাকায় ঐখানে সবাই একটু
ভদ্র(না হয়ে উপায় কি ? ) ।শ্যামপুর(ঢাকা-৪) এলাকায়
গড়ে উঠছে বুরিগঙ্গা ইকো পার্ক ।স্থানটি নয়নাভিরাম
বটে তবে
এখনো কাজ সমাপ্ত হয় নি । শ্যামপুরে আছে রোলিং মিল ,
অটবি , ঢাকা ম্যাচ , শাড়ির কারখানা , ঈগলু আইসক্রিম ,
এরিস্টোফার্মা সহ বিভিন্ন বৃহত্ শিল্পকারখানা ।
আগে এরা নদীতে ইচ্ছামত দূষিত পদার্থ ফেললেও পরিবেশ
অধিদপ্তরের তত্পরতায় এটা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ।
এছাড়া শ্যামপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নদীর
তীরে ওয়াক ওয়ে(নদীর কিনারা ঘেঁসে একটানা নির্মিত সেতু)
নির্মাণের ফলে দখলের
থেকেও নদীকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে । তবে নদীর
তীরবর্তী পরিবারগুলো এখনো নদীকে নোংরা করে চলেছে ।
হাতিরঝিলের অবস্থাও আগে খারাপ ছিল । কিন্তু সবার
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটাকে ধ্বংসের হাত
থেকে ফেরানো সম্ভব হয়েছে । সুতরাং সরকার
এবং আমরা জনগণ চাইলে বুরিগঙ্গাকেও
ফিরিয়ে দেয়া যেতে পারে তার হারানো সৌন্দর্য্য ।
আসুন আমরা সবাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়
এবং জীববৈচিত্র বজায় রাখার জন্য
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২৬৬০ বার পঠিত, কিন্তু স্বয়ং লেখক ব্যতীত অন্য কারও মন্তব্য নেই। কি আশ্চর্য!
বুড়িগঙ্গা তীরের বর্তমান অবস্থা কেমন? কিছু কি উন্নতি হয়েছে?
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: মন্তব্য নেই কারণ লেখক পোস্টটিকে কপি পেস্ট করেছে। তাও পেস্ট করার আগে ইন্ডেন্ট ঠিক করার কষ্টটুকুও করতে চায়নি। এত অবহেলার পোস্টে কার দায় ঠেকেছে, কষ্ট করে পড়বে, আবার মন্তব্যও লিখবে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১৫
রসায়ন বলেছেন: কোনও মন্তব্য নেই :-(