নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়ি তো সবই কিন্তু কিছুই মনে থাকে না ।
পড়া পড়ি কিন্তু মুখস্থ হয় না ।
পড়ি কিন্তু বুঝি না ।
পড়ায় মনই বসে না ।
এরকম প্রবেলম গুলো আমরা নিজেরাই হয়ত সম্মুখীন হচ্ছি কিংবা অন্যরা হচ্ছে । কাজেই আজকে আমি আমার পর্যবেক্ষণ এর আলোকে চেষ্টা করবো এসবের কারণ অনুসন্ধান ও সম্ভাব্য সমাধান ।
কোন পড়ায় আমাদের কিংবা পড়া কেন যেকোন কিছুতে আমাদের মনযোগ তখনই আসে যখন আমরা তার প্রয়োজন উপলব্ধি করি । যেমন আপনি এয়ারপোর্টে গেলে নানা রকম কথা শুনবেন কিন্তু আপনি একমাত্র আপনার ফ্লাইট ইনফরমেশনটাই ক্যাচ করতে পারবেন কারণ আপনি জানেন এটা মিস করলে আপনার বিমান যাত্রাই বাতিল । এটাই হলো প্রয়োজন অনুসন্ধান ।
দ্বিতীয় যেটা বলবো তা হলো আপনার স্নায়বিক সন্নিবেশন । অর্থাৎ পাশের রুমে কেউ জোরে গান বাজাচ্ছে , কিংবা টিভিতে আপনার প্রিয় কোন প্রোগাম চলছে কিংবা আপনি কারো জন্য অপেক্ষা করছেন তখন চাইলেও আপনি পড়তে পারবেন না ঠিক ভাবে।
উপযুক্ত প্রক্রিয়া আরেকটা মূল দিক । প্রতিটি জিনিস আয়ত্বের একটা সিস্টেম আছে । এটা আবার মানুষে মানুষে আলাদা । কাজেই আপনার জন্য কিংবা টপিকের উপযোগী কোন প্রক্রিয়া যদি আপনি অনুসরণ না করেন তবে কোনদিনও পড়া আপনার মাথায় ঢুকবে না ।
লাস্ট যেটা বলবো সেটা হলো সাগরে ডুব দেয়া । আমি তো কিছুই পারি না , তাই এ টু জেড সব পড়ি বা পড়তে হয় সেটা হলো এই ব্যাপারটা । যেমন কেউ যদি বলে আমি তো কম্পিউটার চালাতে জানি না !!! কিংবা আমি তো রান্না জানি না । এসব তো হওয়া অসম্ভব ।কারণ এটলিস্ট কীবোর্ড দিয়ে টাইপিং (স্লো হোক না কেন) কিংবা ভাত রান্না বা ডিম ভাজির মত বিষয়গুলো আপনি নিশ্চয়ই জানেন । সেক্ষেত্রে আমি কিছুই জানি না সেটা হলো কি করে ।
এবার আসি কি করা যায় এসব দূর করতে.......
প্ৰথমেই আপনাকে পড়ার গুরুত্বটা নির্ণয় করতে হবে । অর্থাৎ এটা জানাতে আপনার কি উপকার হবে বা না জানলে কিরকম ক্ষতি হবে । যেমন আপনি যদি বাংলাদেশ এর ইতিহাসই পড়েন । সেখানে আপনার বের করতে হবে আমি এসব জানলে লাভটা কি হবে । যেমন আপনি একটা কারণ পেলেন যে এটা জানলে আপনি চাকরি পরীক্ষায় ভালো করবেন কিংবা আমাদের সমাজের বিকাশের বিষয়টি বুঝতে পারবেন । এখন যদি আপনি কোন কারণই বের করতে না পারেন তবে সেটা কোনকালেই আপনার আয়ত্ব হবে না । কাজেই প্রথম ধাপ টা হলো পড়ার গুরুত্ব অনুধাবন , আপনার প্রয়োজন এর প্রেক্ষিতে ।
দ্বিতীয় ব্যাপারে বলবো আপনি পড়ার সময় সকল জিনিস থেকে নিজেকে আলাদা করে নিবেন । মানে ওই সময়টা কেবল পড়বেন ই । এটা করার জন্য আপনার দরকারি কাজ গুলো আগেই সেরে নিতে হবে । ফোন বা কম্পিউটার এর নেশা থাকলে সেগুলো বন্ধ করে রাখতে পারেন । আর এমন সময় বেছে নেবেন না যখন আপনার অন্য কাজ থাকে। আর মন ভাল থাকাটা জরুরি ।মন যদি খারাপ থাকে তবে পড়ায় মন দিতে পারবেন না । এছাড়া খালি পেটে , ক্ষুদা নিয়ে এভাবেও সম্ভব না । সুস্থ থাকা অবস্থায় পড়তে বসতে হবে । শরীরের উপর জোর জবরদস্তি নয় ।
তৃতীয় ধাপটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আপনাকে ঠিক করতে হবে কোনভাবে আপনার পড়াটা সোজা লাগে। যেমন হতে পারে আপনি ইংরেজি শিখতে চান , কেউ আপনাকে বললো যে বিবিসি শুনুন বেশি করে কিন্তু আপনার আবার নিউজ শুনতে ভালো লাগে না , তবে আপনার মুভি দেখতে ভালো লাগে । কাজেই যেটা ভালো লাগে ওটাই করুন । সাবটাইটেল সহ ইংরেজি মুভি দেখুন । এছাড়া হয়ত আপনি ক্যালকুলাস এর ইন্টিগ্রেশন বুঝতেই পারছেন না , আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখুন । এই ধাপে আপনি যত বেশি ইন্টারনেট ইউজ করবেন ততই ভালো ।
চতুর্থ বিষয়টা হলো দুর্বলতা অনুসন্ধান । আপনি ধরুন যে ভাবেন , আমি তো ইংরেজি ব্যাকরণ এর ডিগ্রি পারি না। তো শুরুতেই আপনি বইয়ের বা ইন্টারনেট থেকে ডিগ্রি চেঞ্জ করার একটা টেস্ট দিন । দেখুন কোন গুলো হয়েছে আর কোন গুলো হয়নি । বা কিসে বেশি ভুল হয়েছে আর কিসে কম ভুল হয়েছে । যেগুলো আপনি কম ভুল করেছেন সেগুলো আপনি জানেন মোটামুটি । কিন্তু আপনি হয়ত আগেই ভেবেছিলেন যে আপনি মোটেই ডিগ্রি পারেন না । এবারে যেগুলো ভুল হলো সেগুলো পড়ুন , পড়া শেষ হলে আবারো একটা টেস্ট দিন । দেখবেন যে আপনার ভুল উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গেছে । এবারেও এই টেস্টেও যেসব টপিকে ভুল হলো সেগুলো আবার পড়ুন , এরপর আবারো টেস্ট দিন । দেখবেন যে আপনার দুর্বলতা অনেক কমে গেছে ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৫
রসায়ন বলেছেন: লাগলেই স্বার্থকতা ।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩২
কালো আগন্তুক বলেছেন: এগুলো অবশ্য আমি অনেক আগে থেকেই জানি। এখন আরো কিছু জানতে পারলাম। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৫
রসায়ন বলেছেন: আরো লিখবো এসব নিয়ে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম । আশা করি কাজে লাগবে ।